সিলেটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী-জনতার সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষে এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নগরীর আখালিয়া এলাকার সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিলে বাধা দিলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ডিবি আমাদের জোর করে আটকে রেখেছিল, আন্দোলন চলবে: মুক্তির পর কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক
ছাত্র-জনতা মিছিল শুরু করলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় আন্দোলকারীরাও ইটপাটকেল ছুড়ে।
প্রত্যক্ষর্শীরা জানান, জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টার দিকে নগরীর আখালিয়ার সুরমা গেট এলাকায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা জড়ো হয়। আন্দোলনকারীরা মিছিল শুরু করলে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয় বলেও জানা গেছে। এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিকাল ৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছিল।
এ ঘটনায় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি মিঠু দাস জয় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করলে পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। তবে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় সাতজনকে পুলিশ আটক করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে গণহত্যা-নিপীড়নবিরোধী শিল্পীদের প্রতিবাদ সমাবেশ, সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ