আগামী রবিবারের মধ্যে চট্টগ্রামের ডিসি, এসপি ও সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে এ বিষয়ে হাইকোর্টকে জানাতে হবে।
বিষয়টি নজরে আনার পর বৃহস্পতিবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শিশুটিকে নির্যাতনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আরও পড়ুন: মাদরাসায় শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটুনির ভিডিও ভাইরাল, শিক্ষক গ্রেপ্তার
পরে তিনি জানান, আদালতের নজরে আনার পর ওই ঘটনার সার্বিক বিষয়ে রবিবারের মধ্যে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, শিশুর চিকিৎসাসেবা ও শিশুর পরিবারের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা, ইত্যাদি বিষয় প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানাতে হবে।
জানা গেছে, মারকাজুল কোরআন ইসলামি একাডেমি মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ৭ বছর বয়সী শিশু ইয়াসিনকে মঙ্গলবার বিকালে দেখতে যান মা পারভিন আক্তার ও বাবা মোহাম্মদ জয়নাল। কিন্তু ফেরার সময় ছোট্ট শিশুটি মা-বাবার সাথে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরে। এক পর্যায়ে শিশুটি মা-বাবার পিছু পিছু মাদরাসার মূল ফটকের বাইরে চলে গেলে ক্ষিপ্ত হন মাদরাসার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া। মূল ফটকের বাইরে যাওয়ায় শিশুটিকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন তিনি। এ সময় শিশুটির বাঁচার আকুতিও শোনেননি ওই শিক্ষক। মঙ্গলবার রাত থেকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
রাতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুকে উদ্ধার করেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে শিশুটির বাবা-মায়ের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে তখন ছেড়ে দেয়া হয়। পরে ওই ঘটনায় থানায় মামলা করে শিশুটির পরিবার। ওই মামলায় অভিযুক্ত মারকাজুল কোরআন ইসলামি একাডেমি মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।
বুধবার বিকালে হাটহাজারী থানায় এ মামলা দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনুর রশিদ।
হারুনুর রশিদ জানান, শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ জয়নাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে বিকালে হাটহাজারী পৌরসভার কামাল পাড়া পশু হাসপাতালের পাশ থেকে গ্রেপ্তা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তৌহিদ।