তিনি বলেন, ‘শুধু এই এলাকা নয়, জনগণের দুর্ভোগ এড়াতে ঢাকার সবগুলো সড়ক দখলমুক্ত রাখবো। সেলক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।’
রবিবার তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকায় বেদখল হওয়া সড়কগুলো পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্যানেল মেয়র এসব কথা বলেন। এসময় ডিএনসিসির কর্মকর্তা ও ট্রাক ইউনিয়ন সমিতির মালিক ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নের কার্যালয়ে ট্রাক মালিক-শ্রমিকদের সাথে বৈঠক করেন প্যানেল মেয়র ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, তেজগাঁও এলাকা দখলমুক্ত রাখতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাউল ইসলামকে প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এলাকা যাতে দখল না হয়, জনগণের ভোগান্তি না হয় তা মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্টরা সর্বাত্মক কাজ করে যাবেন।
তিনি বলেন, ‘এ সড়কটা কিছুদিন আগেও দখলমুক্ত ছিল। আজ এখানে সরেজমিনে দেখতে এসেছি। আমরা মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, ঈদের কারণে এখানে কিছু ট্রাক জমা ছিল। সেগুলো সরিয়ে দেয়া হয়েছে।’
ডিএনসিসির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে স্মরণ করে জামাল মোস্তফা বলেন, ‘যানজটমুক্ত ও দুর্ভোগমুক্ত সুন্দর একটি নগর উপহার দেয়ার ব্যাপারে আনিসুল হকের যে লক্ষ্য ছিল সেটি বাস্তবায়নে আমরা একনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। তাই শুধু এ তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড নয়, ঢাকা শহরের সব ট্রাকস্ট্যান্ড আমরা দখলমুক্ত রাখবো। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। শ্রমিক ও মালিক সমিতির লোকজন সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।’
বৈঠকে বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তালুকদার মোহাম্মদ মনির বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় যেভাবে দখলের কথা লেখে সেগুলো সঠিক না। আমরা কোনো অবস্থাতেই প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্বপ্নের এই সড়ক দখল হতে দেবো না। তবে ঈদসহ নানা আন্দোলন, হরতালের সময় টার্মিনালে গাড়ি বেশি হয়ে যায়, তখন অনেক সময় সড়কে থাকে। সেসময় আমরা মাইকিং করে ট্রাক সরিয়ে দিতে বলি।’
সভায় ট্রাক-কভার্ডভ্যান ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মকবুল আহমেদ বলেন, সড়কে ট্রাক রাখার জন্য যানজট সৃষ্টি হচ্ছে- এ কথাটি ঠিক নয়। স্ট্যান্ডের সামনে কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং থাকায় ৫ মিনিট পর পর রেল আসে-যায়। রেলের কারণে জানজট হয় বলে দাবি করেন তিনি।