সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে হাজির করে অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তুরাগ থানায় করা পৃথক দুই মামলায় মালেককে সাতদিন করে ১৪ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানায় পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী জি এম মিজানুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
তুরাগে গাড়িচালক আবদুল মালেকের রয়েছে ২৪টি ফ্ল্যাটবিশিষ্ট সাত তলার দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। একই এলাকায় ১২ কাঠার প্লট রয়েছে। এছাড়া হাতিরপুলে ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনকে জিম্মি করে চিকিৎসকদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেন মালেক। চিকিৎসকদের বদলি-পদোন্নতিতেও ছিল তার হাত। নিয়োগ, বদলি ও পদন্নোতিতে তদবিরের নামে-বেনামে আদায় করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। যার বদৌলতে অল্পদিনেই শতকোটি টাকারও বেশি অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন এই মালেক ড্রাইভার।