হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
হলি আর্টিজান হামলা: রায়ের আগে আদালতে অভিযুক্ত ৮ আসামি
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আরিফুল ইসলাম ও আইনজীবী মো. আমিমুল এহসান জুবায়ের।
আইনজীবী আরিফুল ইসলাম বলেন, ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আনা হয়েছিল এবং খালাস চেয়ে আপিল করা হয়েছিল। হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে দেন এবং আপিল আংশিকভাবে গ্রহণ করে সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন।
হলি আর্টিজান হামলার রায়ে সরকার সন্তুষ্ট: আইনমন্ত্রী
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ ছাড়া একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ক্যাফেতে ১২ ঘণ্টা ধরে জঙ্গিরা কয়েক ডজন মানুষকে জিম্মি করে এবং ১৭ জন বিদেশি ও দুই পুলিশ সদস্যসহ ২২ জনকে হত্যা করে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলায় অন্তত ৫০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
হলি আর্টিজান হামলার রায় জঙ্গিদের প্রতি অশনিসংকেত: কাদের
নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয়, একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান ও দুইজন বাংলাদেশি।