বুধবার সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জেরর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ঢাকা মেট্রোপলিটন সেশন জজ আদালত এলাকায় নেয়া হয়।
এদিকে, জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর আদালত চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই আদালত চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুরোপুরি চেকিং প্রক্রিয়া সম্পন্নের পরেই মানুষকে আদালত চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আজ হলি আর্টিজান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। বিচারক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করবেন।
গত ১৭ নভেম্বর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করে ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় পুলিশ আট অভিযুক্ত জঙ্গির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই অভিযোগপত্র জমা দেয়। একই বছরের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী রিপন কুমার দাসের ট্রাইব্যুনালের সামনে জবানবন্দি দেয়ার মাধ্যমে এ চাঞ্চল্যকর মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়।
মামলায় আট অভিযুক্তের সবাই এখন কারাগারে আছেন। তারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধি, মাহমুদুল হাসান মিজান, সোহেল মাহফুজ, রাশিদুল ইসলাম ওরফে রায়াশ, বড় মিজান, হাদিছুর রহমান সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।
২০১৬ সালের ১ জুলাই ওই ক্যাফেতে সশস্ত্র জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে ইতালির নয়, জাপানের সাত, ভারতের এক, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান এক, বাংলাদেশি দুজন নাগরিক এবং দুজন পুলিশ সদস্যও নিহত হন।
হামলার পেছনে ২১ জন জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। যাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩ জন নিহত হন।