একইসাথে আদেশের কপি পাওয়ার ১০দিনের মধ্যে তাদের সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আত্মসমর্পণ না করলে তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আদেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া জালিয়াতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করতে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জামিন বাতিল হওয়া আসামিরা হলেন- শেখ সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, খালিদ শেখ, ইস্কান্দার শেখ, জমির শেখ, জিয়ারুল শেখ ও আব্বাস শেখ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। তবে শুনানিকালে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত বছরের ৭ আগস্ট গভীর রাতে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের পহরডাঙ্গা গ্রামের নাঈম নামের একজন খুন হন। এ ঘটনায় পরদিন ৮ আগস্ট নিহতের মা মাফুজা বেগম বাদী হয়ে তেরখাদা থানায় মামলা করেন। ঘটনার দিন আহত নাঈমের পিতা পিরু শেখ আড়াই মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ২১ অক্টোবর খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ মামলার এজাহার জাল করে হাইকোর্টে দাখিল করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জামিন নেন সাত আসামি। বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের নজরে আসার পর আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়। এ আবেদনের শুনানি শেষে জামিন বাতিল করা হয়।