আসামি
আসামি ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু
আসামি ধরতে গিয়ে নদীর পানিতে ডুবে রায়গঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সলংগা থানার ধোপাকান্দি এলাকার স্বরস্বতী নদীতে আসামিকে ধরতে ঝাঁপ দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রেজাউল নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রামের তোজাম্মেল হক শাহর ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যান চাপায় বিএনপি নেতার মৃত্যু
তার স্ত্রী নাজমা উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে সিরাজগঞ্জ পুলিশ কোর্টে দায়িত্বে রয়েছেন এবং তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ডাকাতির মামলার আসামি নাজমুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করার জন্য এসআই রেজাউল ফোর্সসহ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নাজমুল স্বরস্বতী নদীতে ঝাঁপ দিলে তাকে ধরতে রেজাউলও নদীতে ঝাঁপ দেন। আসামি সাঁতরে নদী পার হলেও রেজাউল উঠতে পারেনি। পানির স্রোতে ডুবে যান তিনি।’
ওসি আরও বলেন, ‘পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আসামিকে ধরতে এরই মধ্যে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসআই রেজাউলের মৃত্যুতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ জনের মৃত্যু
এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে অপহরণ ও হত্যা মামলার আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল ভূঁইয়ার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকা মহানগর আদালতের বিচারক আতাউল্লাহ এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান আদালতে আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাপস কুমার পাল। তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।
আরও পড়ুন: অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গোলাম সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে: আইজিপি
বুধবার(২৬ জুন) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর রশীদের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পরপরই বিকালে হেলিকপ্টারযোগে তাদের ঢাকায় আনা হয়।
এমপি আনার গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান এবং ১৪ মে কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
এ ঘটনায় ২২ মে নিহতের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিনের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে খাগড়াছড়ি থেকে ২ সন্দেহভাজন আটক: ডিবি
মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি: হাইকোর্ট
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি বলে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।
রায়ের পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়। রায়ের প্রথম দফায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি বলা যাবে না এবং তাকে কারাগারের নির্জন ডেথ সেলে বন্দি রাখা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত বলতে, এখানে যত বিচারিক ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ হওয়াকে বোঝানো হয়েছে। যত বিচার বিভাগীয় পদক্ষেপ আছে, হাইকোর্ট বিভাগ, আপিল বিভাগ এবং রিভিউয়ের শুনানি শেষেও যদি কারো মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে তাহলে প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসেবে সে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ পান।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন খারিজের পরই একজন মানুষের মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হয়েছে বলা যাবে এবং শুধু তখনই একজন মানুষকে নির্জন কক্ষে (ডেথ সেলে) বন্দি রাখা যাবে। তার আগে ডেথ সেলে রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, বিশেষ বিবেচনায় যদি কোনো বন্দির কোনো বিশেষ অসুবিধা থাকে, এটা হতে পারে ফিজ্যিক্যাল অসুবিধা, সংক্রামক কোনো রোগ থাকলে অথবা অন্য কোনো সেক্সচ্যুয়াল রোগ থেকে থাকে, তাহলে তাকে আলাদা করে রাখা যাবে। এক্ষেত্রে এ ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখার ব্যাপারে আলাদা করে শুনানি নিতে হবে। শুনানি নেওয়ার পর তাকে নির্জন সেলে রাখা যাবে।
শিশির মনির বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার শুনানিতে আদালতে বলেছেন, নতুন জেল কোড তৈরি করতে যাচ্ছে, নতুন প্রিজন অ্যাক্ট হচ্ছে।
হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, এই রায়ে যেসব পর্যবেক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সেগুলো যেন নতুন আইনে প্রতিফলিত হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে শিশির মনির আরও বলেন, আমাদের দেশে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের দরখাস্তের শুনানি হয় না। অন্যান্য আসামিদের জামিন শুনানি হয়। তারা জামিন পেয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত একবার হলেই তাদের জামিনের আর শুনানি হয় না।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: জবির সাবেক শিক্ষার্থীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
এক্ষেত্রে হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত যাদের আপিল বিচারাধীন থাকে, তাদের জামিন আবেদনও যেন অন্যান্য আসামিদের মতো শুনানি করা হয় এবং জামিনও যেন মঞ্জুর করা হয়।
হাইকোর্ট জেল কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, মৃত্যু সেলে যারা বন্দি থাকেন, তাদের ব্যাপারে কোনো সাংবাদিক বা কোনো গবেষক বা অন্য কেউ তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত দিয়ে জানতে চেইলে, তাদের যেন বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়।
এছাড়াও সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, কতজনের মৃত্যুদণ্ড কমছে, কতজনের বহাল থাকছে- এসব ব্যাপারে কোনো ব্যক্তি তথ্য অধিকার আইনে বা সাংবাদিকরা তথ্য চাইলে তা যেন দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের এসব তথ্য পরিসংখ্যানসহ সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে এবং বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশও করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী দুই বছরের মধ্যে সব জেল কর্তৃপক্ষকে মৃত্যু সেলে যারা বন্দি আছেন, তাদের ক্রমান্বয়ে অন্য ব্যবস্থাপনা করে মৃত্যু সেল থেকে সরিয়ে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে বসবাসের সুযোগ করে দিতে হবে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি।
তারা হলেন- সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম।
ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০ বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
সেই সঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দিদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: বিমানবন্দরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার(২ মে) মধ্যরাতে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে সাব্বির ওরফে আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের একটি দল র্যাব-১ এর সহযোগিতায় ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাব্বির আহমেদের সঙ্গে বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের এক কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর সাব্বির মেয়েটিকে কালাম মির্জাপুর গ্রামে নিয়ে যান। পরে মির্জাপুর ঈদগাহের কাছে বন্ধুদের নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
পরে মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৯০ হাজার দিরহামসহ যাত্রী আটক
এ ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
দীর্ঘ শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাব্বির আহমেদ, রেজাউল ওরফে রাব্বি, নাজমুল হক, রাজিবুল হাসান, রিপন ও শহিদুল।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মনিরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আতাউল ইসলাম ও রেজাউল করিম।
এরপর থেকে সাব্বিরসহ কয়েকজন আসামি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার আটক
হাসপাতালের প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুনের অভিযোগ
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের প্রিজন সেলে মো. মোতাহার নামে হত্যা মামলার এক আসামিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তরিকুল ইসলাম নামে অপর এক আসামির বিরুদ্ধে। এসময় অজিত নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
নিহত মো. মোতাহার বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে। তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
এছাড়া আহত অজিত হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে।
হামলাকারী তরিকুল ইসলাম পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী ওই আসামি অপর দুই আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুইজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারব না।
এদিকে হাসপাতালের একটি সূত্র বলছে, প্রিজন সেলের দায়িত্বে এক নায়েক ও দুই কনস্টেবল ছিলেন। মানসিক রোগীসহ তিনজন প্রিজন সেলের একটি কক্ষে ছিলেন। ভোরে আকস্মিকভাবে মানসিক রোগী অপর দুই আসামিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ট্যান্ড দিয়ে বেধড়কভাবে পেটাতে থাকেন।
এতে মোতাহারের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। অজিত আঘাত পেলেও ততটা গুরুতর নয়। ঘটনার সময় সেলের তালার চাবি নিয়ে একজন বাইরে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন। তাই দায়িত্বরতরা দ্রুত সময়ে প্রিজন সেলে ঢুকতে পারেননি।
হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল।
এ বিষয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারব। দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় কার্গোডুবির ঘটনায় আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
ফেনীতে চুরির অভিযোগে মাকে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
থানায় ঢুকে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা
বগুড়ার শাজাহানপুরে থানায় ঢুকে আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাতে শাজাহানপুর থানা থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালান তারা। এ সময় থানার ওসি শহিদুল ইসলামসহ ৮ পুলিশ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের চেষ্টার মামলায় ৭ আসামি কারাগারে
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাঝিড়া এলাকা থেকে নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে আড়িয়া বাজারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিঠুনকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি বার্মিজ চাকু ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে। পরে তাকে ছাড়িয়ে নিতে মাঝিড়া নুরুজ্জামানসহ ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী রাত ১০টায় শাজাহানপুর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়।
খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম থানায় এলে নুরুজ্জামান ও তার বাহিনী বাদা দেয়। সে সময় ওসিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন নুরুজ্জামান এবং তার সঙ্গীরাও অন্য পুলিশ সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এর কিছু সময় পরে নুরুজ্জামান লোকজন নিয়ে মাঝিড়া বটতলা এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করার চেষ্টা করলে পুলিশ নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করে।
এ ঘটনায় নূরুজ্জামানের বাসা থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসনের বাসা থেকে ৩ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করে পুলিশ।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় থানায় ঢুকে পুলিশকে আহত করে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টায় নুরুজ্জামানসহ আরও ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের উপর হামলা, অবৈধ অস্ত্র-মাদক জব্দ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পৃথক কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ১৫ বছর পালিয়ে থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
আদালত ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
সিলেটে আদালত পাড়ায় ১০ তলা ভবনের চারতলা থেকে শাকিল আহমদ নামে এক আসামি লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনার পর আদালত পাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে পুলিশ পাহারায় বেরিয়ে আসার পথে চার তলা ভবনের বারান্দা থেকে লাফ দেন শাকিল।
আরও পড়ুন: নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেশি যে কারণে
পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাকিল আহমদ সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার নোয়াগ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে। তিনি একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে ছিলেন।
আদালতের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জানান, জকিগঞ্জ থানায় করা একটি হত্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন শাকিল। সোমবার আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের হাত ফসকে আদালত ভবনের চার তলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পিপি আরও জানান, শাকিল আহমদ অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। আদালতে শুনানির সময় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি নিজে নিজেই আদালতের কাছে জামিন চাচ্ছিলেন। আদালতের বিচারক ও তার পক্ষে আইনজীবী মনোনীত করার জন্য নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: বিচারের দাবিতে জবি আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ডে জবি’র সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী
যশোরে মামলার আসামি যুবক খুন
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ায় রমজান আলী নামে এক যুবককে খুন করা হয়েছে।
বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকানে খড়কি কলাবাগান এলাকার চিহ্নিত মাদক-অস্ত্র কারবারি ও কিশোর গ্যাংয়ের লিডার পিচ্চি রাজা ও তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
নিহত রমজান আলী (৩২) রেলগেট পশ্চিমপাড়ার ফয়েজ শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। সে রেলগেটে বসবাস করলেও বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।
পারিবারিক সূত্র জানা গেছে , শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত সোয়া ৯টার দিকে বাড়ির সামনের বাবুর চায়ের দোকানে বসে ছিলেন রমজান আলী। এ সময় অতর্কিতভাবে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এমএম কলেজ রোড সংলগ্ন কলাবাগান এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মাদক ও অস্ত্র কারবারী চক্রের অন্যতম সদস্য ও কিশোর গ্যাংয়ের লিডার রাজা ওরফে পিচ্চি রাজা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফারকে খুন, গ্রেপ্তার ৫
রজমান আলীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, থানা সূত্র জানা গেছে, ২০২২ সালে শহরের মুজিব সড়ক থেকে রমজানকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব-৬ এর একটি দল।
রমজানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ২৫ টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে সাতটি অস্ত্র, পাঁচটি বিস্ফোরক, একটি হত্যা, একটি ডাকাতি, চারটি হত্যা চেষ্টা ও সাতটি মাদকসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী জানান, রমজান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। থানা পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে নেমেছে।
জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রবাসী যুবক খুন!
মুন্সীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ, পৌরসভার কর্মচারী খুন
জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রূপসা বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী শরীফ খানকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মো. তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশ।
এর আগে, বুধবার শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
নিহত শরীফ কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ধামবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাকিম খানের ছেলে।
আসামি মো. তরিকুল শেখ কালুখালী উপজেলার রুপসা বাজারের চাঁদ আলী শেখের ছেলে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে কালুখালি উপজেলার রূপসা সুইচ গেট বাজার এলাকায় জদুর সেলুনের দোকানের সামনে শরীফ খানের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শরীফের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর কালুখালী থানা পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল জানান, তিনি ও শরীফ একই বাজারে ব্যবসা করতেন। তরিকুল অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন এবং এভাবে অনেক টাকা হেরেছেন।
আরও পড়ুন: খতনার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
তিনি পরিকল্পনা করেন, বিকাশের এজেন্ট শরীফকে হত্যা করে টাকা হাতিয়ে নেবেন। শরীফকে হত্যা করার জন্য তরিকুল তার চাচাতো ভাইয়ের ঘর থেকে দা সংগ্রহ করেন।
শরীফ রাতে বাড়িতে খাবার খেয়ে রূপসা বাজারের পাশে গাঁয়েবি মসজিদে ছেলেকে নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে আসেন। বাবা-ছেলে দুইজন বসে ওয়াজ শোনার সময় তরিকুল তাকে ডেকে নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রুপসা সুইচ গেট এলাকায় জদুর দোকানের সামনে আসামি তরিকুল তাকে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর আত্মগোপনে থেকে অবশেষে গ্রেপ্তার!
গাজীপুরে সাজাপ্রাপ্ত ২৭ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ১৯ মামলায় সাজাপ্রাপ্তসহ ২৭ মামলার আসামি মোফাজ্জলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আশুলিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মোফাজ্জল হোসেন গাজীপুর নগরীর সামন্তপুর এলাকার ধীরাশ্রম রোডের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উৎপল কুমার জানান, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে জেলার আশুলিয়া থানাধীন রপ্তানি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোফাজ্জলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, মোফাজ্জল সদর থানার দীর্ঘদিন যাবৎ মুলতবি থাকা বিভিন্ন মেয়াদে ১৯টি (সিআর প্রতিটি এক বছর করে) সাজাপ্রাপ্ত ও আটটি (সিআর) মামলা মোট ২৭টি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত ছিল।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আলোকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোর বিরুদ্ধে অভিযানে গ্রেপ্তার ২
সিরাজগঞ্জে ধানখেত থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার, সৎ বাবাসহ গ্রেপ্তার ২