আসামি
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
নারায়ণগঞ্জে একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ছুরিকাঘাতে কামরুজ্জামান নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা মোড়ের ভিক্টোরিয়া জামে মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন।
তিনি বর্তমানে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিকাশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার কামরুজ্জামান একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে যান। এসময় আসামি বাবু ছুরি দিয়ে তার ডান হাতের কব্জিতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে সহকর্মীরা কামরজ্জামানকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব বলেন, কামরজ্জামানকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয় বরে জানান এসআই শিহাব।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, যে বাবু ছুরিকাঘাত করেছে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। সে মাদক ব্যবসায়ী। আসামি বাবুর অবস্থান জানতে কামরুজ্জামান সেখানে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, পুলিশের লোক টের পেয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বাবু। কামরুজ্জামান বর্তমানে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত
১ মাস আগে
খুলনার আদালত থেকে পালানো আসামি ৪ ঘণ্টা পর বাগেরহাটে গ্রেপ্তার
খুলনার আদালত চত্বর থেকে পালানোর চার ঘণ্টারর মাথায় গ্রেপ্তার হয়েছেন চুরির মামলার আসামি হৃদয় সরদার।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে বাসে করে বাগেরহাট পালানোর সময় কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় কোর্ট পুলিশের এসআই কৃপাসিন্দুসহ ৪ এএসআই ও ২ কনেস্টবলকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে খুলনা মহানগর হাকিম আদালত চত্বর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় হৃদয় সরদার।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের একটি চুরির মামলায় হৃদয় সরদারকে গত ১০ জুলাই পাবলা দত্ত বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ জেল হাজতে পাঠায়। বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে মামলার হাজিরা দিতে তাকে খুলনা মেট্রোপলিটন আদালত চত্বরে নেওয়ার পথে ১২টার দিকে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পুলিশকে সর্তক করে নিরাপত্তা জোরদার ও চেকপোস্ট বসানো হয়। বাগেরহাটের দিকে বাসে পালানোর সময় বিকালের দিকে হৃদয়কে কাটাখালি চেকপোস্টে ফকিরহাট থানা পুলিশ আটক করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার প্রসিকিউশন মনিরা সুলতানা বলেন, ২০২৩ সালের একটি চুরির মামলায় হৃদয় নামে এক আসামি জেল হাজতে ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ১২টায় আদালতে নিয়ে আসার সময় দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা চৌকির মাধ্যমে কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলায় সুত্রাপুরে তাঁতী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
মাগুরায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মাগুরার সিংড়া বাজার থেকে মো. আলম নামে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে আটক করেছে শালিখা থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১০টায় উপজেলার সিংড়া বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি গ্রেপ্তার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলম (৩৮) শালিখা উপজেলার সাবলাট গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওলি মিয়া জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাতেই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
এর আগে ২০১২ সালে মাদক মামলায় আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যায় ফজলুল করিমসহ ১৬১৮ জনকে আসামি করে মামলা
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদার হত্যার ঘটনায় ১৬১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাকি সবাই অজ্ঞাত আসামি।
নিহত শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না সাবেক বিচারপতি মানিকের
এই মামলায় গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক নারী সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ১১৮ জনের নাম রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে ১২ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। মামলাটি রাজনৈতিক হত্যা মামলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার মামলায় বাদী তার অভিযোগে লিখেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী গাড়িবহর নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন।
এস এম জিলানীর সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে তার স্বামীর গাড়িবহর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের দোলা পেট্রোল পাম্পের সামনে পৌঁছালে একদল আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে গাড়ি বহরে হামলা চালায়।
এ সময় বহরে একটি গাড়িতে থাকা তার স্বামী শওকত আলী দিদারকে আসামিরা গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে রাস্তার পাশে ঢালে ফেলে রেখে যায়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ মাস আগে
ফেনীতে ৮ হত্যা মামলায় হাসিনাসহ আসামি ৩০৩৭ জন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে জেলায় ছাত্র-জনতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত আটটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৭ জনকে।
এর মধ্যে একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মামলায় ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীকে আসামি করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সর্বশেষ মামলাটি দায়ের হয়েছে। গত ৫ আগস্ট দুপুরে শহরের জেলরোডে স্বামী জাফর আহম্মদকে (৫৩) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ করে স্ত্রী আছিয়া বেগম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে আইভীসহ ৪৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে এক নম্বর ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহকে আসামি করে ২০৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করা হয়।
নিহত জাফর আহম্মদ পেশায় ব্যাটারি চালিত রিকশাচালক ছিলেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুরের মোমিন টেইলার বাড়ি।
এছাড়া গত ৪ আগস্ট মহিপালে নির্বিচারে গুলিতে মাহবুবুল হাসান মাসুম
(২৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে একই থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৬২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এদিকে শিহাব হত্যা মামলায় ৩০১ জন, শ্রাবণ হত্যা মামলায় ৩০৫ জন, মাসুদ হত্যা মামলায় ৩৩৪ জন, সবুজ হত্যা মামলায় ৪৬৫ জন, সাকিব হত্যা মামলায় ৩৭১ জন এবং অপর একটি হত্যা মামলায় ২৪৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় অধ্যক্ষের মামলা
তাদের নিহতের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দায়ের করা পৃথক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার মোহাম্মদ মমতাজুল হকের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মো. এনামুল হক, সদর উপজেলার মোটবী এলাকার মো. হানিফের ছেলে মো. আলা উদ্দিন, শহরের বারাহীপুর এলাকার মৃত মো. সাদেকের ছেলে যুবলীগ কর্মী শাহাদাত হোসেন শাহীন ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শিহাবসহ ৬ জন।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে এসব ঘটনায় দায়ের করা পৃথক আটটি মামলায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিন ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি করে অস্ত্রধারীরা। এতে নয়জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি এবং সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, অস্ত্রধারীরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: জামালপুরে দুই বছর আগে মারা যাওয়া ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলা
২ মাস আগে
চট্টগ্রামে থানায় হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা, আসামি ৪০ হাজার
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত অন্তত ৪০ হাজার মানুষকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিএমপি কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়েদুল হক বলেন, গত ৫ আগষ্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে থানায় আক্রমণ করে জনতা। হামলার সময় থানার আসবাবপত্র লুট, যানবাহন ভাঙচুর, থানায় অগ্নিসংযোগ ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাবেক এমপি এম এ লতিফ গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় দুবৃর্ত্ত ও অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের বিবিধ ধারায় বিস্ফোরক আইনের ১৯০৮ এর ৩/৬ ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সনের ১৫(৩)/২৫-ডি ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মিছিল শেষে হাজার হাজার লোক জড়ো হয় কোতোয়ালি থানার সামনে। এ সময় দুবৃর্ত্তরা থানায় হামলা চালায়। পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে চাইলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এ সময় দুর্বৃত্তরা থানার গেট ভেঙে প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাবপত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও থানার বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এছাড়াও একই দিন সিএমপির ১৬টি থানার মধ্যে ৮টি থানায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং আগুন দেওয়া হয়। এ সব ঘটনায় পুলিশের থানা ভবনের পাশাপাশি অন্তত ৪৫টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন থানা থেকে অন্তত ৫০০ অস্ত্র এবং ১২ হাজারেরও বেশি গুলি লুট করা হয়। অস্ত্র, গুলি যাবাহন ছাড়াও থানা ভবনের অবকাঠামো পুড়ে অন্তত ২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেজছাত্র হত্যায় হাসিনা-নওফেলসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ মাস আগে
খুলনায় পুলিশ হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
এতে অজ্ঞাতপরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশ ও বক্স ও আমর্ড ব্যাটালিয়নের গাড়ি ভাঙচুর, আহত ৪
শুক্রবার (২ অগস্ট) রাতে লবণচরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
সুমন ঘরামী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী এবং বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। নগরীর বয়রা এলাকায় স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ‘এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।’
তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে নিহত হন সুমন ঘরামী।
আরও পড়ুন: এক দফা দাবি: আন্দোলনকারীরা এখন শাহবাগে
রাজশাহীতে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২
৩ মাস আগে
আসামি ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু
আসামি ধরতে গিয়ে নদীর পানিতে ডুবে রায়গঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সলংগা থানার ধোপাকান্দি এলাকার স্বরস্বতী নদীতে আসামিকে ধরতে ঝাঁপ দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রেজাউল নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রামের তোজাম্মেল হক শাহর ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যান চাপায় বিএনপি নেতার মৃত্যু
তার স্ত্রী নাজমা উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে সিরাজগঞ্জ পুলিশ কোর্টে দায়িত্বে রয়েছেন এবং তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ডাকাতির মামলার আসামি নাজমুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করার জন্য এসআই রেজাউল ফোর্সসহ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নাজমুল স্বরস্বতী নদীতে ঝাঁপ দিলে তাকে ধরতে রেজাউলও নদীতে ঝাঁপ দেন। আসামি সাঁতরে নদী পার হলেও রেজাউল উঠতে পারেনি। পানির স্রোতে ডুবে যান তিনি।’
ওসি আরও বলেন, ‘পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আসামিকে ধরতে এরই মধ্যে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসআই রেজাউলের মৃত্যুতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ জনের মৃত্যু
৪ মাস আগে
এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে অপহরণ ও হত্যা মামলার আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল ভূঁইয়ার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকা মহানগর আদালতের বিচারক আতাউল্লাহ এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান আদালতে আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাপস কুমার পাল। তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।
আরও পড়ুন: অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গোলাম সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে: আইজিপি
বুধবার(২৬ জুন) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর রশীদের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পরপরই বিকালে হেলিকপ্টারযোগে তাদের ঢাকায় আনা হয়।
এমপি আনার গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান এবং ১৪ মে কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
এ ঘটনায় ২২ মে নিহতের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিনের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে খাগড়াছড়ি থেকে ২ সন্দেহভাজন আটক: ডিবি
৪ মাস আগে
মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি: হাইকোর্ট
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি বলে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।
রায়ের পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়। রায়ের প্রথম দফায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি বলা যাবে না এবং তাকে কারাগারের নির্জন ডেথ সেলে বন্দি রাখা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত বলতে, এখানে যত বিচারিক ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ হওয়াকে বোঝানো হয়েছে। যত বিচার বিভাগীয় পদক্ষেপ আছে, হাইকোর্ট বিভাগ, আপিল বিভাগ এবং রিভিউয়ের শুনানি শেষেও যদি কারো মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে তাহলে প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসেবে সে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ পান।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন খারিজের পরই একজন মানুষের মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হয়েছে বলা যাবে এবং শুধু তখনই একজন মানুষকে নির্জন কক্ষে (ডেথ সেলে) বন্দি রাখা যাবে। তার আগে ডেথ সেলে রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, বিশেষ বিবেচনায় যদি কোনো বন্দির কোনো বিশেষ অসুবিধা থাকে, এটা হতে পারে ফিজ্যিক্যাল অসুবিধা, সংক্রামক কোনো রোগ থাকলে অথবা অন্য কোনো সেক্সচ্যুয়াল রোগ থেকে থাকে, তাহলে তাকে আলাদা করে রাখা যাবে। এক্ষেত্রে এ ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখার ব্যাপারে আলাদা করে শুনানি নিতে হবে। শুনানি নেওয়ার পর তাকে নির্জন সেলে রাখা যাবে।
শিশির মনির বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার শুনানিতে আদালতে বলেছেন, নতুন জেল কোড তৈরি করতে যাচ্ছে, নতুন প্রিজন অ্যাক্ট হচ্ছে।
হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, এই রায়ে যেসব পর্যবেক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সেগুলো যেন নতুন আইনে প্রতিফলিত হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে শিশির মনির আরও বলেন, আমাদের দেশে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের দরখাস্তের শুনানি হয় না। অন্যান্য আসামিদের জামিন শুনানি হয়। তারা জামিন পেয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত একবার হলেই তাদের জামিনের আর শুনানি হয় না।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: জবির সাবেক শিক্ষার্থীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
এক্ষেত্রে হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত যাদের আপিল বিচারাধীন থাকে, তাদের জামিন আবেদনও যেন অন্যান্য আসামিদের মতো শুনানি করা হয় এবং জামিনও যেন মঞ্জুর করা হয়।
হাইকোর্ট জেল কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, মৃত্যু সেলে যারা বন্দি থাকেন, তাদের ব্যাপারে কোনো সাংবাদিক বা কোনো গবেষক বা অন্য কেউ তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত দিয়ে জানতে চেইলে, তাদের যেন বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়।
এছাড়াও সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, কতজনের মৃত্যুদণ্ড কমছে, কতজনের বহাল থাকছে- এসব ব্যাপারে কোনো ব্যক্তি তথ্য অধিকার আইনে বা সাংবাদিকরা তথ্য চাইলে তা যেন দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের এসব তথ্য পরিসংখ্যানসহ সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে এবং বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশও করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী দুই বছরের মধ্যে সব জেল কর্তৃপক্ষকে মৃত্যু সেলে যারা বন্দি আছেন, তাদের ক্রমান্বয়ে অন্য ব্যবস্থাপনা করে মৃত্যু সেল থেকে সরিয়ে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে বসবাসের সুযোগ করে দিতে হবে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি।
তারা হলেন- সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম।
ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০ বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
সেই সঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দিদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
৬ মাস আগে