আসামি
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: সাবেক এমপি হাবিবসহ সব আসামি খালাস
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় সাতক্ষীরা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজিবুর রহমান।
এর আগে, ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আলাদা দুটি মামলায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল ওই রায় দেন। অপর ৪৫ আসামিকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আসামিরা হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।
আজ আপিলের শুনানি শেষে সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। আসামীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।
আডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০০২ সালে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর ২০১৪ সালে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা পেনাল কোড অনুযায়ী, একটি অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে এবং একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে।
তিনি আরও জানান, পেনাল কোডের মামলায় ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে প্রধান আসামি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনকে ১০ বছর করে এবং বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলার সাজা থেকে হাবিবুল ইসলাম খালাস পেয়েছেন। অন্য আসামিদের বিষয়ে মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা দুটি পৃথক মামলায় সাতক্ষীরার আদালত হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন এবং বাকি আসামিদের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন। আজ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৪৩ দিন আগে
খুমেক হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে পালাল আসামি
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মাদক মামলার ইউসুফ (২৩) নামে এক আসামি পালিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি নগরীর খালিশপুর থানার আলমনগর মোড়ের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে আলমনগর মোড় থেকে ২০ পিস ইয়াবাসহ ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে খালিশপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। রাতে বুকে ব্যথা অনুভব হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
খুলনা মেডিকেল কলেজের একটি সূত্র জানা যায়, ৬ আগস্ট খালিশপুর থানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলায় আসামি ইউসুফ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বুকে ব্যাথা উঠলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই সেলে মাকসুদ আলম নামে আরও একজন আসামি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
পড়ুন: পাঁচ দফা দাবিতে খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাকসুদ বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন জানায়। এ সময়ে সেখানে উপস্থিত পুলিশ কনস্টেবল রাব্বি আলী তালা খুলে দেয় এবং তাকে বাথরুমে নিয়ে যায়। তবে পুলিশ কনস্টেবল দরজার তালাটি বন্ধ করতে ভুলে যায়। পরবর্তীতে বাথরুম থেকে মাকসুদকে ফেরত নিয়ে আসার সময় অপর আসামি ইউসুফ সেলে আর নেই। সেখান থেকে সে পালিয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল এলাকায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক জানান, প্রিজন সেলের অপর প্রান্তে কারারক্ষীদের অবস্থানের স্থান। সেই গেটে তালা না থাকার সুযোগে রাত সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মাদক মামলার আসামি ইউসুফ পালিয়ে যায়। ওই আসামিকে গ্রেপ্তারে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় দায়িত্বরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১৯ দিন আগে
ফেনীতে পুলিশ পিটিয়ে হাতকড়াসহ পালাল আসামি
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পলাতক আসামি কবির আহম্মদ চৌধুরী প্রকাশ একটি নারী নির্যাতন মামলার আসামি। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফুলগাজীর আমজাদহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা ছাগলনাইয়া থানায় কর্মরত। এ ঘটনায় হামলাকারী ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন— ফুলগাজী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাফিদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দিদার ও কনস্টেবল সুমন।
পুলিশ জানায়, পলাতক আসামি কবির আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ছাগলনাইয়া থানায় করা একটি নারী নির্যাতন মামলার আসামি।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে পালালেন হত্যা মামলার আসামি
মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের একটি দল। এ সময় তারা কবিরকে গ্রেপ্তার করলেও তিনি পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে তার সহযোগী ও স্বজনদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আসামির স্বজনদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখরুল আলম জানান, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে গত বছরের ৬ অক্টোবর কবিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছিল। তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তখন তার সাংগঠনিক পদ স্থগিত করা হয়।
১৪২ দিন আগে
শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
মাগুরায় আলোচিত শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটু শেখের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। হিটু শেখ শিশুটির বোনের শ্বশুর।
বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার(১ জুলাই) এ আদেশ দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হিটু শেখের করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন।
আইনজীবী মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হিটু শেখের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। তার অর্থদণ্ডও স্থগিত করা হয়েছে।’
শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।
পরে ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ৬ মার্চ ঘটনার দিন থেকে গণনা করলে ৭৩ দিনের মাথায় গত ১৭ মে রায় ঘোষণা করেন মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২৫ জুন হাইকোর্টে আপিল করেন হিটু শেখ। এছাড়া ডেথ রেফানেন্স হিসেবে গত ২১ জুন মামলাটির যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এখন একসঙ্গে ডেথরেফারেন্স ও আসামির করা আপিলের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
পড়ুন: আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড
১৫৬ দিন আগে
আদালত থেকে পালালেন হত্যা মামলার আসামি
ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে পুলিশকে মারধর করে পালিয়েছেন হত্যা মামলার এক আসামি।
আসামি শরিফুল ইসলাম (২২) দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামের মৃত শফিক আহম্মেদের ছেলে। তিনি রাজধানীর খিলগাঁও থানার জিসান হোসেন (১৪) হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টার পর সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল শহিদুল্লাহকে মারধর করে ছুটে পালিয়ে যান আসামি শরিফুল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ এসআই রিপন।
তিনি বলেন, আসামিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় পুলিশকে আঘাত করে তিনি পালিয়ে যায় আসামি শহিদুল।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, আসামি ছিনিয়ে নিতে থানা ঘেরাও
ডিএমপির প্রসিকিশন বিভাগের এডিসি মাইন উদ্দিন বলেন, আসামির হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। তিনি ধাতব কিছু দিয়ে হাতকড়া ঢিলা করে কৌশলে খুলে ফেলে। পরে পুলিশ কনস্টেবলের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোতোয়ালি থানাকে জানানো হয়েছে আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলমান।
১৬৮ দিন আগে
যশোরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য
যশোরের চৌগাছায় আসামি ধরতে গিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের সাত সদস্য হামলার শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লাবলুর রহমানকে আহত অবস্থায় চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহত ছয় পুলিশ সদস্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মাকাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হলেন— এএসআই মিরাজুল ইসলাম, কনস্টেবল ভিক্টর ঘোষ, রবিউল ইসলাম, সুলতান আহমেদ ও মেহেদী হাসান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত মামলার আসামি মাকাপুর গ্রামের সাজেদুর রহমানের ছেলে সিয়াম (২৩) কে গ্রেপ্তারে উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান মারুফ ও এসআই উত্তমের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা অভিযানে যান। সেখান থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং পুলিশের ওপর চড়াও হন তারা। খবর পেয়ে ওসি আনোয়ার হোসেন পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এরপর আসামিকে নিয়ে ফেরার পথে আবারও ওসিসহ পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা হয়। এতে ওসিসহ সাতজন আহত হন।
আরও পড়ুন: শেখ হেলাল-তন্ময়ের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আনোয়ারুল আবেদীন জানান, ওসির চোখে ও আরেক সদস্যের মাথায় আঘাত রয়েছে। আহত ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তবে এএসআই লাবলুর রহমান হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে, চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, আসামি সিয়ামকে আটক করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
২১২ দিন আগে
টাঙ্গাইলে হত্যা আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রায়হান (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত রায়হান ওই গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে৷ তার নামে একটি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সোমবার (৫ মে) সকালে উপজেলার রামপুরের কুকরাইল এলাকায় নিহতের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ওই যুবকের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে হবিগঞ্জে আহত অর্ধশতাধিক
নিহতের পরিবার জানায়, ভোর ৪টার দিকে এক যুবক তাদের খবর দেয় রায়হানকে একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছে। এ খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে একটি পুকুরে রক্তাক্ত অবস্থায় রায়হানের লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নামে অনেক আগের একটি হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে। সে মাদক সেবন করতো। ঘটনাস্থলে নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়া গেছে।’
হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
২১৩ দিন আগে
কারাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ৭ জন
ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তিন বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন সাতজন। এর মধ্যে একজন পরোয়ানাভুক্ত আসামি।
বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
তারা হলেন— রবিউল ইসলাম (২৮), ফয়সাল (৩০), মিন্টু বারাই (৩২), আয়নাল মাতব্বর (৩৫), রিপন খোলিফা (৩৫), শাহিদুল শেখ (৩৩) ও আলামিন হোসেন (২৬)।
তারা যশোর, নড়াইল, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বরিশাল জেলার বাসিন্দা।
ফেরত আসা রিপন খোলিফা জানান, ভালো কাজের আশায় দালালচক্রের মাধ্যমে তারা সাড়ে তিন বছর আগে ভারতের কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ করার সময় তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হন। এরপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সে দেশের আদালত তাদের তিন বছর সাজা দিয়ে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। কারাভোগ শেষে ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের দায়িত্ব নিয়ে শেল্টার হোমে রাখে। পরে উভয় দেশের দূতাবাসের সহযোগিতায় এবং ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় তারা দেশে ফিরেছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহম্মেদ বলেন, ‘ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত সাত বাংলাদেশিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে ফয়সাল পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীননগর থানায় অস্ত্র মামলা রয়েছে। তাকে রবিবার যশোর আদালতে সোর্পদ করবে পোর্ট থানা পুলিশ।’
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি
তিনি আরও বলেন, ‘বাকি ছয়জনকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের দায়িত্ব নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।’
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রামার অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ‘ফেরত আসাদের মধ্যে ছয় জনকে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
২২১ দিন আগে
নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই সন্তানকে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড
বরগুনায় এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে দুই শিশুসন্তান বাধা দেওয়ায় তাদের হত্যা মামলায় ইলিয়াস পহলান নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মো. ইলিয়াস পহলান (৩৪) বরগুনা সদর উপজেলার পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রঞ্জু আরা শিপু, আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আহসান হাবীব স্বপন। আইনজীবী রঞ্জু আরা শিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট রাতে বরগুনা সদর উপজেলার ওই নারী তার মেয়ে তাইফা (৩) ও ছেলে হাফিজুলকে (১০) নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ইলিয়াস তাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে পড়েন। বিষয়টি টের পেয়ে বাধা দেন ওই নারী। এ সময় তাইফা ও হাফিজুলের ঘুম ভেঙে গেলে ইলিয়াস ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনজনকেই কুপিয়ে আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় হাফিজুল নিহত হয়, আর বরিশালে নেওয়ার পথে মারা যায় শিশু তাইফা।
তবে গুরুতর আহত ওই নারী দীর্ঘ চিকিৎসার পর প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনার পরই ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়।
আরও পড়ুন: মসজিদে শিশু বলাৎকার, যুবকের যাবজ্জীবন
তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে ইলয়াস পহলানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দোষী তাকে সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়াও ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছর করে আরও ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২২১ দিন আগে
নড়াইলে হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আইচপাড়া গ্রামের আব্দুল আহাদ মল্লিক হত্যা মামলায় ইলিয়াস সরদার নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় দিয়েছেন।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত ইলিয়াস সরদার খুলনা জেলার তেরখাদা থানার পারখালি গ্রামের সবুর সরদার এর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১২ সালের ১৭ আগস্ট রাতে কালিয়া উপজেলার বড়নাল মাদরাসার কাছে এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা নড়াগাতি থানার আইচপাড়া গ্রামের আব্দুল আহাদ মল্লিককে কুপিয়ে জখম করে। এ নিয়ে মামলার পর আসামিদের জেল-জরিমানা হয়। এ ঘটনায় বিগত ২০১৮ সালের ৪ জুলাই আপিল করে জামিনে বাড়িতে আসে আসামিরা। পরে এদিন রাতে ইলিয়াছ সরদার আব্দুল আহাদ মল্লিককে ফোন করে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে কথা বলার জন্য বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। এরপরে তিনি বাড়িতে না ফিরলে পরেরদিন ৫ জুলাই সকালে গ্রামের একটি পাটখেতে স্বজনরা ও থানা পুলিশ তার লাশ শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
এসময় লাশটির শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও গলায় রশি পেচানো অবস্থায় দেখা যায়।
এ ঘটনার দুইদিন পর ৭ জুলাই নিহতের ভাই আবুল বাসার মল্লিক বাদী হয়ে আইচপাড়া গ্রামের জুয়েল মল্লিক, সোহেল মল্লিক, সাজেল মল্লিক, টুয়েল মল্লিক ও পাশ্ববর্তী খুলনা জেলার তেরখাদা থানার পারখালি গ্রামের ইলিয়াস সরদারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার আদালত ইলিয়াছ সরকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন। বাকি আসামিদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন।
২৩৯ দিন আগে