আসামি
নড়াইলে হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আইচপাড়া গ্রামের আব্দুল আহাদ মল্লিক হত্যা মামলায় ইলিয়াস সরদার নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় দিয়েছেন।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত ইলিয়াস সরদার খুলনা জেলার তেরখাদা থানার পারখালি গ্রামের সবুর সরদার এর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১২ সালের ১৭ আগস্ট রাতে কালিয়া উপজেলার বড়নাল মাদরাসার কাছে এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা নড়াগাতি থানার আইচপাড়া গ্রামের আব্দুল আহাদ মল্লিককে কুপিয়ে জখম করে। এ নিয়ে মামলার পর আসামিদের জেল-জরিমানা হয়। এ ঘটনায় বিগত ২০১৮ সালের ৪ জুলাই আপিল করে জামিনে বাড়িতে আসে আসামিরা। পরে এদিন রাতে ইলিয়াছ সরদার আব্দুল আহাদ মল্লিককে ফোন করে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে কথা বলার জন্য বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। এরপরে তিনি বাড়িতে না ফিরলে পরেরদিন ৫ জুলাই সকালে গ্রামের একটি পাটখেতে স্বজনরা ও থানা পুলিশ তার লাশ শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
এসময় লাশটির শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও গলায় রশি পেচানো অবস্থায় দেখা যায়।
এ ঘটনার দুইদিন পর ৭ জুলাই নিহতের ভাই আবুল বাসার মল্লিক বাদী হয়ে আইচপাড়া গ্রামের জুয়েল মল্লিক, সোহেল মল্লিক, সাজেল মল্লিক, টুয়েল মল্লিক ও পাশ্ববর্তী খুলনা জেলার তেরখাদা থানার পারখালি গ্রামের ইলিয়াস সরদারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার আদালত ইলিয়াছ সরকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন। বাকি আসামিদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন।
৭ দিন আগে
পুলিশ ফাঁড়ির জানালার রড ভেঙে পালালো আসামি
দিনাজপুরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আটকের কয়েকঘণ্টা পরেই পুলিশ ফাঁড়ির জানালার রড ভেঙে পালিয়েছেন এক আসামি। পালানোর পর থেকে এ পর্যন্ত ওই আসামির আর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
রবিবার (২৩ মার্চ) দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মঞ্জুরুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গতকাল (রবিবার) ভোরের দিকে নবাবগঞ্জের কুশদহ ইউনিয়নের কাজীপাড়ায় ৩ বোতল ফেনসিডিল সিরাপসহ রয়েল (৩৫) নামে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে রয়েলকে আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে (আইসি ফাঁড়ি) হস্তান্তর করে যৌথ বাহিনী।
এসময় তদন্ত কেন্দ্রের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় তাকে। থানায় হস্তান্তরের আগে কক্ষের জানালার রড় ভেঙ্গে কোনো এক সময় রয়েল পালিয়ে গেছেন বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া ভেঙে আসামি পালালো!
ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, কক্ষের দরজায় তালা দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন অন্যরা। এ সুযোগে কোনো এক সময় পালিয়ে গেছেন আসামি রয়েল।
এএসপি মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, ওই পুলিশ কেন্দ্রে কোনো হাজতখানা নেই। পুরাতন ভবনের একটি কক্ষে রয়েলকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।
ভবনটির নড়বড়ে রড টেনে খুলেই আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করছেন তারা। তাকে আবারও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান এএসপি। দ্রুতই ওই আসামি ধরা পড়বেন বলে আশাবাদী পুলিশ।
২৩ দিন আগে
পোষা বিড়াল হত্যা: আসামি ধরতে পরোয়ানা জারি
পোষা বিড়াল হত্যা মামলায় আসামি আকবর হোসেন শিবলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রবিবার (২৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক এ আদেশ দেন।
আকবর হোসেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এরাকার মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের বাসিন্দা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি পিপলস ফর এনিম্যাল ওয়েলফেয়ারের পক্ষে নাফিসা নওরীন চৌধুরী এ মামলার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ আকবর হোসেন শিবলুকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করে আজ (রবিবার) আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় যুবককে মারধর, মোটরসাইকেলে আগুন
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের নবম তলার মনসুর নামে এক ব্যক্তির বিড়াল হারিয়ে যায়।
পরে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আসামি আকবর হোসেন শিবলু বিড়ালটিকে ফুটবলের মতো লাথি মারছেন। লাথির আঘাতে বিড়ালটির নিথর দেহ পড়ে থাকার পরও পা দিয়ে পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে দেখা যায় তাকে।
২৪ দিন আগে
আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, মেয়েসহ বিএনপি নেত্রী গ্রেপ্তার
বরগুনায় গ্রেপ্তার করা এক আসামিকে ছিনতাই ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় পাথরঘাটা মহিলা দলের সভানেত্রী ও তার মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন— পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ইসরাত জাহান শিরিন (৪০) ও তার মেয়ে সারজিনা মিম (২৩)।
শিরিন ও সারজিমা মিম গ্রেপ্তার আসামি মো. সোহানকে ছিনতাই করার চেষ্টা করেছিল। সোহান বরগুনা থানার নিয়মিত মামলার আসামি।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিয়মিত মামলার আসামি সোহানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এর কিছুক্ষণ পর মহিলা দলের সভানেত্রী পরিচয় দিয়ে ইসরাত জাহান ও তার মেয়ে সারজিনা মিম থানার অফিস কক্ষ ও থানা হাজতখানার সামনে থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
২৮ দিন আগে
এসআইকে মেরে হাতকড়াসহ পালাল ধর্ষণ মামলার আসামি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাতকড়াসহ পুলিশের হাত থেকে পালিয়েছে ধর্ষণ মামলার আসামি। এ ঘটনায় পরে হাতকড়া উদ্ধার করলেও আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে যাদুরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধনারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পলাতক আসামি শাহনেওয়াজ আবির রাজু যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আলী আজগরের ছেলে।
পুলিশের দাবি, আসামিকে আটক করে হাতকড়া পরানোর পর তার পরিবারের লোকজন রৌমারী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আউয়াল হোসেনের ওপর হামলা করলে আসামি হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। আহত এসআইকে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারসহ স্থানীয়দের দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগও রয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, রাজুকে আটক করতে সোমবার রাতে এসআই আউয়াল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল অভিযানে যায়। তাকে আটকের পর হাতকড়াও পরায় পুলিশ। এ সময় রাজু, তার মা ও খালাতো বোন পুলিশের ওপর হামলা করে। ঘটনার একপর্যায়ে এসআই আউয়ালের হাতে সে কামড় দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই আউয়ালকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীক মারধর করে ‘স্বর্ণালংকার ও টাকা’ ছিনতাই
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে রাজুর মা আবেদা আক্তার রাজিয়া এবং খালাতো বোন রুনা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মাদক ও দেশীয় রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নবিউল ইসলাম বলেন, ‘একজন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়।’
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালানো ধর্ষণ মামলার আসামি। পুলিশের অভিযানে হাতকড়া উদ্ধার হলেও, আসামিকে আটক করা যায়নি, তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
৫০ দিন আগে
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ সব আসামি খালাস
নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
একই সঙ্গে মামলার অভিযোগপত্রও অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
এর আগে মামলাগুলো রায় (সিএভি) অপেক্ষমাণ রেখে গত ২১ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ করেন আদালত।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) মামলা দুটি রায়ের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একটি মামলার রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে ২০১৮ সালে মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ডেথ রেফারেন্স এবং এ সংক্রান্ত আপিলের জন্য শুনানি সাধারণত একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গত ৩১ অক্টোবর গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের সমন্বয়ে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার লক্ষ্যে জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে বলে ২০০৮ সালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২২ জনকে অভিযুক্ত করে।
পরে আওয়ামী লীগ সরকারের অধিকতর তদন্তে তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অতিরিক্ত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
১৩৭ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
নারায়ণগঞ্জে একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ছুরিকাঘাতে কামরুজ্জামান নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা মোড়ের ভিক্টোরিয়া জামে মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন।
তিনি বর্তমানে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিকাশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার কামরুজ্জামান একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে যান। এসময় আসামি বাবু ছুরি দিয়ে তার ডান হাতের কব্জিতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে সহকর্মীরা কামরজ্জামানকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব বলেন, কামরজ্জামানকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয় বরে জানান এসআই শিহাব।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, যে বাবু ছুরিকাঘাত করেছে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। সে মাদক ব্যবসায়ী। আসামি বাবুর অবস্থান জানতে কামরুজ্জামান সেখানে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, পুলিশের লোক টের পেয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বাবু। কামরুজ্জামান বর্তমানে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত
১৭৬ দিন আগে
খুলনার আদালত থেকে পালানো আসামি ৪ ঘণ্টা পর বাগেরহাটে গ্রেপ্তার
খুলনার আদালত চত্বর থেকে পালানোর চার ঘণ্টারর মাথায় গ্রেপ্তার হয়েছেন চুরির মামলার আসামি হৃদয় সরদার।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে বাসে করে বাগেরহাট পালানোর সময় কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় কোর্ট পুলিশের এসআই কৃপাসিন্দুসহ ৪ এএসআই ও ২ কনেস্টবলকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে খুলনা মহানগর হাকিম আদালত চত্বর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় হৃদয় সরদার।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের একটি চুরির মামলায় হৃদয় সরদারকে গত ১০ জুলাই পাবলা দত্ত বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ জেল হাজতে পাঠায়। বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে মামলার হাজিরা দিতে তাকে খুলনা মেট্রোপলিটন আদালত চত্বরে নেওয়ার পথে ১২টার দিকে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পুলিশকে সর্তক করে নিরাপত্তা জোরদার ও চেকপোস্ট বসানো হয়। বাগেরহাটের দিকে বাসে পালানোর সময় বিকালের দিকে হৃদয়কে কাটাখালি চেকপোস্টে ফকিরহাট থানা পুলিশ আটক করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার প্রসিকিউশন মনিরা সুলতানা বলেন, ২০২৩ সালের একটি চুরির মামলায় হৃদয় নামে এক আসামি জেল হাজতে ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ১২টায় আদালতে নিয়ে আসার সময় দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা চৌকির মাধ্যমে কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলায় সুত্রাপুরে তাঁতী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
১৮০ দিন আগে
মাগুরায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মাগুরার সিংড়া বাজার থেকে মো. আলম নামে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে আটক করেছে শালিখা থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১০টায় উপজেলার সিংড়া বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি গ্রেপ্তার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলম (৩৮) শালিখা উপজেলার সাবলাট গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওলি মিয়া জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাতেই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
এর আগে ২০১২ সালে মাদক মামলায় আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
১৮৬ দিন আগে
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যায় ফজলুল করিমসহ ১৬১৮ জনকে আসামি করে মামলা
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদার হত্যার ঘটনায় ১৬১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাকি সবাই অজ্ঞাত আসামি।
নিহত শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না সাবেক বিচারপতি মানিকের
এই মামলায় গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক নারী সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ১১৮ জনের নাম রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে ১২ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। মামলাটি রাজনৈতিক হত্যা মামলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার মামলায় বাদী তার অভিযোগে লিখেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী গাড়িবহর নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন।
এস এম জিলানীর সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে তার স্বামীর গাড়িবহর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের দোলা পেট্রোল পাম্পের সামনে পৌঁছালে একদল আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে গাড়ি বহরে হামলা চালায়।
এ সময় বহরে একটি গাড়িতে থাকা তার স্বামী শওকত আলী দিদারকে আসামিরা গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে রাস্তার পাশে ঢালে ফেলে রেখে যায়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২১১ দিন আগে