বিচারপতি
জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করা যেতে পারে বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রবিবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ।
এই রায়ের ফলে বিচারকদের বিরুদ্ধে অক্ষমতা বা পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তের ভার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের থাকলো।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: ছুটিতে পাঠানো হলো ১২ বিচারপতিকে
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পাস করা ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদে স্থানান্তরের কথা বলা হয়।
তবে সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ মে এক রায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তে ওই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেন একটি বিশেষ বেঞ্চ। এর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সরকার আপিল করলেও একই বছরের ৩ জুলাই সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে তা খারিজ করে দেন। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এই রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতা বজায় রেখেছে এবং এটি নিশ্চিত করেছে যে তদন্ত ও বিচারকদের অপসারণ রাজনৈতিক বিষয় নয় বরং বিচারিক বিষয় হিসেবে থাকবে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি গোলাম মর্তুজাকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন
৪ সপ্তাহ আগে
হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ২৩ জন
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৩ জন শপথ গ্রহণ করেছেন।
বুধবার সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল আজিজ আহমেদ।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সুপ্রিমকোর্টের উভয় (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভাগের বিচারপতিরা ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বৈত শাসনব্যবস্থার বিলোপ না হলে বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না: প্রধান বিচারপতি
শপথ নেওয়া ২৩ বিচারপতি হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে তাদের হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না সাবেক বিচারপতি মানিকের
১ মাস আগে
বিচার বিভাগে বড় রদবদল: ৮১ বিচারপতিকে বদলি
বিচার বিভাগে বড় ধরনের রদবদলের মধ্য দিয়ে ৮১ জন বিচারপতিকে বদলি ও নতুন পদায়ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত চারটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শেই এই বদলি করা হয়েছে।
জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক বিচারপতি মানিক কারাগারে, আদালত প্রাঙ্গণে ডিম-জুতা নিক্ষেপ
উপসচিব (প্রশাসন-১) মোহাম্মদ ওসমান হায়দারের সই করা প্রজ্ঞাপনে একজন ছাড়া বদলিকৃত সব বিচারককে তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খানকে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে। তাকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব হস্তান্তর করে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালতে যাওয়ার সময় কারো ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য নয়: আইন উপদেষ্টা
২ মাস আগে
বিজেএসসির চেয়ারম্যান হলেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) চেয়ারম্যান হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়নে ১০ সদস্যের প্যানেল অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারে ফের রদবদল, পদ পুনর্বিন্যাস করলেও নেই চাকরির বিজ্ঞপ্তি
২ মাস আগে
সাবেক বিচারপতি মানিক আটক
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে জুলাই মাসে ‘চ্যানেল আই’ প্রচারিত একটি টকশোতে মানিকের নারীবিদ্বেষী এবং অপমানজনক আচরণ সহ মন্তব্যগুলো জনসাধারণের চোখে পড়ে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে তিনি টিভি উপস্থাপকের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
২ মাস আগে
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৪ বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত চার বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।
এর আগে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি থেকে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নতুন বিচারপতিদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতিসহ আরও দুই উপদেষ্টা
নবনিযুক্ত চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ নিয়োগ দিয়েছেন, যা শপথের দিন থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গত শনিবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এখন থেকে প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের সঙ্গে এই চার বিচারপতি দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন ড. ইউনূস
৩ মাস আগে
পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা না থাকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নীতিমালা তৈরিতে কেন নির্দশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১১জন বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজওয়ার পার্থ।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা: হাইকোর্টের রায় বহাল
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘নারীর একার পক্ষে একটি বাচ্চা সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। তাছাড়া সিজারিয়ানদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরও প্রকট। সিজার করার পর একজন নারী তেমন কোনো কাজই করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে পুরুষকেই বাচ্চার দেখাশোনা করতে হয়। এ কারণে পিতৃত্বকালীন ছুটির প্রয়োজন। আদালতে এসব বিষয় তুলে ধরেছি। এছাড়া বলেছি, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ ৭৮টির বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু রয়েছে।’
এর আগে, গত ৩ জুলাই ছয় মাসের শিশু নুবাইদ বিন সাদী ও তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টে এ রিট করেন।
রিটে বলা হয়, নবজাতকের যত্নে কেবল মায়ের ভূমিকা মুখ্য— এই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বাবার ভূমিকাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ সীমিত। এছাড়া সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার আমাদের দেশে অনেক বেশি। সিজারের পর সুস্থ হতে মায়ের সময় লাগে। এই সময়ে নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়।
রিটে আরও বলা হয়, পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায় যারা নতুন বাবা হন, তাদের স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ৭৮টিরও বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে।
পিতৃত্বকালীন ছুটি নীতিমালা সংবিধানের ৭, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও উল্লেখ করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টেও ‘সিরিয়াল কিলার’ রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল
চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২ শিক্ষার্থীর আবেদন
৪ মাস আগে
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব চেয়েছেন হাইকোর্ট
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল ও প্রকাশ সংক্রান্ত বিধিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবির নন্দী দাস। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুদকের আইনজীবী ফজলুল হক।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ইয়াজদানির বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে বাতিল
রুলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা- ১৯৭৯ এর ১৩ বিধি অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল ও প্রকাশ করতে কেন নির্দশ দেওয়া হবে না এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে একটি গাইডলাইন তৈরির কেন নিদের্দশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী সুবির নন্দী দাস আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ আদেশের আগে শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, দুর্নীতি উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্তরায়; তাই যেকোনো মূল্যে এটি থামাতে হবে। শুধু সরকার নয়, জনগণকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।
প্রতি বছর সরকারি চাকরিজীবীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আরও বলেন, দুর্নীতি বন্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে হারে দুর্নীতির খবর দেখা যাচ্ছে, তা বিস্ময়কর।
আদালত বলেন, সোনার মানুষ তৈরি করলে সোনার দেশ গড়া যাবে। সরকার একাই এটি রোধ করতে পারবে তা নয়, সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু বড় বড় কথা বললে হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে।
এর আগে, সোমবার দুর্নীতিরোধে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব আইন অনুযায়ী দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।
এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছি।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে না পারায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চান হাইকোর্ট
সানভীস বাই তনি শোরুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
৪ মাস আগে
ইচ্ছেমতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
নিজেদের ইচ্ছেমতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে স্বাস্থ্য সচিব ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ২০২৩ সালের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের ৩০ ধারা অনুযায়ী ওষুধের দাম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এছাড়া রুলে একই আইনের ৭৬ ধারা অনুযায়ী একটি বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে সব ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পরিবহন-যোগাযোগ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাবের) করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এমন নির্দেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় এবং সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।
পরে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, খেয়াল খুশি মতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে স্বাস্থ্যসচিব ও ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোকে বলা হয়েছে যাতে সরকারের অনুমোদন ব্যতীত কাঁচামাল আমদানি করতে না পারে।
এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
‘দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করে ক্যাব।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের। সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম।
এছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন সিরাপও।
বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রি থেকে আয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দাম বাড়ানোর হার অস্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে জানানোর আহ্বান
এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে।
এসময় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানিগুলোর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সরকার একটি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে সরকার এ ধরনের কোনো গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেনি।
দ্যা ড্রাগস অ্যক্ট-১৯৪০ ও দ্যা ড্রাগস (কন্ট্রোল) অর্ডিন্যান্স ১৯৮২-তেও একই ধরনের বিধান রয়েছে।
একইসঙ্গে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট-২০২৩ সরকার ওষুধের দাম নির্ধারণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
গত ১৫ মাসে ১১৭টি ওষুধের দাম ১৩ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে কিন্তু সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো দৃষ্টিপাত করেনি।
ওষেুধের দাম বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণ এবং পর্বেক্ষণের দায়িত্ব সরকারের স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপিরিচালকও ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালকের।
কিন্তু তারা ওষুধের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
আরও পড়ুন: টিপু-প্রীতি হত্যা: আ. লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
৬ মাস আগে
রোহিঙ্গা ভোটার সংখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হাইদার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৬ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
এর আগে মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না দিয়েই কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ওই ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ।
রিটে কক্সবাজারের সব ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকা যাচাই করে রোহিঙ্গাদেরকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, তাদের নাগরিকত্ব প্রদান সংক্রান্ত সব নথি বাতিল করা এবং রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদানের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ জন রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।
এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছে রিটে।
এই রিটের উপর বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল ও আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধ: মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানি
সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের সম্পত্তি স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ আপিল বিভাগের
৬ মাস আগে