শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানী গেণ্ডারিয়া এলাকার আসগর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে তার ছেলে আনাস মাদানি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিকালে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজধানীতে আনা হয়।
তার আগে ছাত্রদের দাবির মুখে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
বৈঠক শেষে মজলিসে শুরার একাধিক সদস্য জানান, মাদরাসার মজলিসে শুরার (নীতি নির্ধারনী বোর্ড) বৈঠকে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এদিকে, পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই আল্লামা শফী অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার দুপুর থেকে আল্লামা শফী ও তার ছেলে মাওলানা আনাস মাদানীর পদত্যাগসহ বেশকিছু দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্ররা। তারা মাদরাসার মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় বাইরে গেটের সামনে অবস্থান নেন র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে মাদরাসার সামনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দেয়। এ সময় মাদরাসার ভেতর ভাংচুর করেন ছাত্ররা। আনাস মাদানীসহ কয়েকজন শিক্ষকের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়।
বিক্ষোভের সময় মাদরাসার ভেতরে বিভিন্ন প্রচারপত্র বিলি করে মাওলানা আনাসের অব্যাহতির পাশাপাশি তার অব্যাহতি দেয়া তিনজন শিক্ষককে পুনর্বহাল, মাওলানা আনাস কর্তৃক নিয়োগ করা সব অযোগ্য শিক্ষককে ছাঁটাই ও ছাত্রদের ওপর জুলুম-হয়রানি বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বুধবার রাতে মজলিসে শুরা কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকেন আল্লামা শফী। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বৈঠক শেষ হয়।
বৈঠক শেষে শুরা কমিটির সদস্য মাওলানা নোমান ফয়েজী ছাত্রদের বলেন, আনাসকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মাওলানা আনাস হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব। একই সাথে তিনি হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক।