হেফাজতে ইসলাম
দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
২০২১ সালে ঢাকার পল্টন থানায় করা মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৪ জুন) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এক জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘এ দুই মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষে আদালত জামিন দিতে চাননি। তখন তার আইনজীবী আবেদন দু’টি ফেরতের আবেদন জানান। তখন আদালত আবেদন দু’টি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীর পল্টন থানা ২০২১ সালের এপ্রিলে দু’টি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল। ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারিতে রেখেছিল।
পরে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটার থানায় একটি, মোহাম্মদপুর থানায় একটি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক
১ বছর আগে
ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় এক নারীর করা ধর্ষণ মামলায় আরও দুইজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাক্ষ্য প্রদানকারিরা হলেন-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এজাজুল হক ও মামলার বাদি জান্নাত আরা ঝর্ণার বাড়িওয়ালা মোশারফ হোসেন।
এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামি মামুনুল হককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে আনা হয়। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে হেফাজতের নেতাকর্মীরা এসে জড়ো হতে থাকেন। পরে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পুনরায় মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা নামের এক নারী।
আরও পড়ুন: মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা: আদালতে সাক্ষ্য দিলেন রিসোর্টের তিনজন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটির অ্যাডভোকেট রকিব উদ্দিন জানান, এই মামলায় এখন পর্যন্ত বাদি এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিশজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত আগামী ৬ জুন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেক সাক্ষী আদালতে বলেছেন যে মামুনুল হক বাদি জান্নাত আরা ঝর্ণাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। বাদি নিজেই তা স্বীকার করে অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে আসামি মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নয়ন বলেন, যে দুজন সাক্ষী দিয়েছে তাদের জবানবন্দিতে কারও কথার সঙ্গে ঘটনার মিল নেই।
ন্যায়বিচার পেলে মামুনুল হক খালাস পাবে বলে তিনি দাবি করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল নয়টায় কঠোর নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সেই সাথে আদালতপাড়া জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ
ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
১ বছর আগে
নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে হেফাজতে ইসলাম
হেফাজতে ইসলাম সোমবার জানিয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার ও যারা কারাবন্দী আছে তাদের মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেবে তারা।
হেফাজত আগামী ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় ইসলামী স্কলারদের সম্মেলন (উলামা মাশায়েখ সম্মেলন) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় (হাটহাজারী মাদ্রাসা নামে পরিচিত) কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সংগঠনটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের প্রধান মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। সিনিয়র নায়েবে আমীর মুহাম্মদ ইয়াহিয়া ও নায়েবে আমীর সালাহউদ্দিন নানুপুরীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মারা গেছেন
বৈঠকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগর কমিটির সম্প্রসারণ ও রদবদলের সিদ্ধান্ত হয় এবং সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার জন্য তাজুল ইসলামকে ইউনিট আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
হেফাজতের জেলা পর্যায়ের কমিটি গঠনের জন্য মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে পাঁচ সদস্যের একটি উপ-কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বৈঠকে হেফাজত প্রধান তাদের সাংগঠনিক পদবি জাতীয় পর্যায়ে কোনো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার না করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশ
বগুড়ায় হেফাজতে ইসলামের মিছিল ও সমাবেশ
২ বছর আগে
কারাগারে থেকে চেয়ারম্যান হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে কারাগারে থেকে বিজয়ী হয়ে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল।
নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী এই ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (চশমা) প্রতীকে তিনি পান তিন হাজার ৯৬১ ভোট, আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম পান দুই হাজার ৪৭২ ভোট।
গত বছরের মার্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ১৪টি মামলার আসামি মনিরুল। এর মধ্যে ১৩টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।
মনিরুলের নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মো. হোসেন মিয়া বলেন, মিথ্যা অভিযোগে মনিরুলকে কারাগারে রাখা হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে, তার আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: ইউপি সদস্য হলেন তৃতীয় লিঙ্গের কাজলী
ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা: চট্টগ্রাম, বগুড়া ও চাঁদপুরে নিহত
২ বছর আগে
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ‘কথিত’ দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
বুধবার বেলা সোয়া ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রাকিবুজ্জামান রকিব জানান, কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। সেই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
বাদীকে উভয় পক্ষ জেরা করেছেন। আদালতের কাঠগড়ায় প্রথমে মামুনুল হক বার বার বাদীকে উদ্দেশ্য করে দিক নির্দেশনা মূলক কথা বলার চেষ্টা করেছে। পরে অনুরোধ করার পর তিনি চুপ থাকেন।
তিনি আরও বলেন, সাক্ষ্য গ্রহণের শুরুতে আদালত ঝর্ণার মুখের হিজাব খুলতে বলেন। ওই সময়ে মামুনুল হক কিছুটা উচ্চস্বরে বলেন, ‘শরীয়তের হুকুম হিজাব খুলবে না ঝর্ণা।’ ওই সময়ে ঝর্ণা একবার হিজাব খুলে বিচারককে মুখ দেখিয়ে ফের হিজাব দিয়ে মুখ ডেকে রাখেন।
এসময় বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের পিপি রকিবুজ্জামান রাকিবকে সহযোগিতা করেন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহসিন মিয়া, সাবেক সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েলসহ কয়েকজন।
অপর দিকে আসামি পক্ষে ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মো. জয়নুল আবেদীন মেসবাহ্ সহ কয়েকজন।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) নাজমুল হাসান জানান, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাজিপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। ২টায় সাক্ষী শেষে মামুনুল হককে ফের কাশিমপুর কারাগারে নেয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শহীদুল ইসলামের সাথে ঝর্ণার দাম্পত্য জীবন সুখে-শান্তিতে অতিবাহিত হচ্ছিল। তাদের ১৭ ও ১৩ বছরের দুটি সন্তান আছে। স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে ২০০৫ সালে মামুনুলের সঙ্গে ঝর্ণার পরিচয় হয়। তাদের বাসায় যাতায়াতের সুবাধে সংসারের মতানৈক্যে ভূমিকা রাখেন মামুনুল। এসব কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মামুনুলের পরামর্শে ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট শহীদুলের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
বাদী অভিযোগ করেন, বিচ্ছেদের পর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল তাকে ঢাকায় যেতে প্ররোচিত করেন। সেখানে বিভিন্ন অনুসারীর বাসায় রেখে নানাভাবে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। পরে মামুনুলের পরামর্শে তিনি কলাবাগানের একটি বাসায় সাবলেট থাকতে শুরু করেন। এ সময় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মামুনুল তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
বাদীর অভিযোগ, ঘোরাঘুরির কথা বলে ২০১৮ সাল থেকে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে তাকে নিয়ে যেতেন। সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানেও মামুনুল তাকে ধর্ষণ করেন।
প্রসঙ্গত, মামুনুল হক গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সাথে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গিয়ে তাকে ঘেরাও করেন। পরে ওই রিসোর্টে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। তবে ঘেরাও থাকাবস্থায় এই হেফাজত নেতা জানান, সাথে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে তাকে শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেছেন। বিষয়টি তার প্রথম স্ত্রী জানতেন না।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে মামুনুল
৩ বছর আগে
ঝুমন দাশের জামিন আদেশ বৃহস্পতিবার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
ঝুমনের করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখ রাখেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এনটিভির সাংবাদিক আবু তৈয়ব গ্রেপ্তার
হাইকোর্টে ঝুমনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, নাহিদ সুলতানা ও আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন ঝুমন।
১৬ মার্চ ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগ তুলে ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়। তার আগে ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে আটক করা হয়। তাঁকে ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার রুহুল আমিনের জামিন
গত ২২ মার্চ শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় গত ২৩ মার্চ ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৩০ মার্চ তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এই মামলায় ঝুমন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইলে তা ১৮ জুলাই নামঞ্জুর হয়। এরপর দায়রা আদালতে জামিন চান ঝুমন, যা ৩ আগস্ট খারিজ হয়। তারপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ঝুমন। এই আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
৩ বছর আগে
হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা, বিতর্কিত নেতাদের বিদায়
হেফাজতে ইসলাম জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির হিসেবে বহাল রেখে ও বিতর্কিত নেতা মামুনুল হককে বাদ দিয়ে ৩৩ সদস্যের একটি নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে।
সোমবার ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন এ কমিটি ঘোষণা করে ‘অরাজনৈতিক’ এই দলটি।
হেফাজত নেতা নুরুল ইসলামকে কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নুরুল ইসলাম জিহাদী রাজধানীর খিলগাঁও মোড়ে জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটির ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে মামুনুল
দলটি সাবেক কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী সহ অন্যান্য বিতর্কিত নেতাদের এবার কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে ধর্মীয় এই সংগঠনটি।
বর্তমান কমিটিতে হযরত মাওলানা আতাউল্লাহকে নায়েবে আমির এবং হযরত মাওলানা সাজেদুর রহমানকে যুগ্ম মহাসচিব করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, হযরত মাওলানা মীর ইদ্রিসকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং হযরত মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানিকে প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে হেফাজত নেতা মুফতি ফারুক গ্রেপ্তার
এছাড়া হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীকে প্রধান করে ১৬ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটিও ঘোষণা করেছে দলটি। একই সাথে ৯ সদস্যের খাস কমিটি বা মজলিসে সুরা গঠন করা হয়।
২৬ শে মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতের তাণ্ডব এবং পরবর্তী অন্যান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ এপ্রিল হেফাজত প্রধান বাবুনগরী তখনকার কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ
সারাদেশে হেফাজতের তাণ্ডবকে কেন্দ্র করে অন্তত ৬৯ হাজারে অধিক ব্যক্তিকে আসামি করে অন্তত ৭৭টি মামলা করা হয়। ওই সকল মামলার পর থেকেই প্রতিদিনই হেফাজতের প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে কর্মী পর্যায়ের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে থাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ৫ জুন নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত পৃথক ছয় মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড শেষে হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল মামুনুলকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হেফাজতের ২৬ শে মার্চের তাণ্ডব ও নারী কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন কারণে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন হেফাজতের এই সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা।
৩ বছর আগে
হেফাজতের মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ
নারায়ণগঞ্জের ছয়টি মামলায় আঠারো দিনের রিমান্ডে থাকা হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নিজ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশে কাসিমপুর কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। এ কারণে সকাল থেকেই জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মামুনুল ৭ দিনের রিমান্ডে
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম ইউএনবিকে জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ছয়টি মামলায় আলাদাভাবে ছয়জন তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী নিখোঁজ; পল্টন থানায় জিডি
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক মামলায় আদালত তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করায় তদন্তকারী কর্মকর্তারা পৃথকভাবে তিনদিন করে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যেসব তথ্য পাওয়া যাবে সেগুলো নথিভুক্ত করে আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: এক পুলিশ কর্মকর্তার অনুরোধে বায়তুল মোকাররমে গিয়েছিলাম: আদালতকে মামুনুল
গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও সানারপাড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির ঘটনায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
এরপর ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে নারী কেলেংকারি ইস্যুতে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের হামলা ভাঙচুর ও নাশকতার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় দায়েরকৃত আরও দু’টি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়।
সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা ও একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুলের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী।
এই ছয় মামলায় পুলিশের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল শুনানিতে আদালত তিনদিন করে ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
৩ বছর আগে
হেফাজতের তাণ্ডব: জামায়াতের সাবেক এমপি শাহজাহান ৩ দিনের রিমান্ডে
সাতকানিয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতকানিয়ার সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরীকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
জেলার হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী গ্রেপ্তার
জেলা কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ূন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ভোরে সাতকানিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছমদর পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে শাহজাহান চৌধুরীকে সাতকানিয়া থানা পুলিশ আটক করে। পরে হাটহাজারীর তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে তোলা হয়। এর আগে তাকে হাটহাজারী থানা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের অর্থাদাতাদের শনাক্তে তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জামায়াতের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহজাহান চৌধুরী পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করলেও ঈদ করতে ঈদের আগের দিন রাতে গ্রামের বাড়িতে আসেন। ঈদের দিন দলীয় নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে রাতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল রাতে চন্দনপুরা দারুল উলুম মাদরাসা থেকে তিনি ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।
৩ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব: হেফাজত নেতা ইয়াকুব উসমানী ফেনী থেকে গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সহিংস ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন পালিয়ে থাকা হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী (৪৪)।
বৃহস্পতিবার বিকালে ফেনী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইয়াকুব উসমানী হেফাজত ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহকারি প্রচার সম্পাদক ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পদত্যাগ করা হেফাজত নেতা আব্দুর রহিম কাসেমী গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন উসমানীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে পুলিশের বিশেষ সূত্র থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় অভিযানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবু তাহেরসহ আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ২৭ মার্চ আবু তাহের মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের নিয়ে সরাইলের অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পে আক্রমন করে তাণ্ডবলীলা চালায়। গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আশুগঞ্জ ও সরাইলে তাণ্ডব চালায় হেফাজত ইসলাম। এ ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা হলে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ ৪৪০ জনকে গ্রেপ্তার করে।
৩ বছর আগে