তিনি বলেন, ‘সরকারের ভিজিডি কর্মসূচি দারিদ্রপীড়িত ও দুঃস্থ গ্রামীণ নারীদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ভিজিডির মাধ্যমে এসব নারীরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতাকে সফলভাবে অতিক্রম করে চরম দারিদ্রতার স্তর থেকে বের হয়ে আসার সক্ষমতা অর্জন করেছে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে 'ভিজিডি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির' সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘করোনা সময়ে আমাদের সকল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান আছে। পাশাপাশি অসহায় ও দুঃস্থ নারীদের মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের খাদ্য পুষ্টি ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম। মহিলা ও শিশু বিষক মন্ত্রণালয় থেকে সাত লাখ ৭০ হাজার মাকে মাতৃত্বকাল ও দুই লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী নারীকে ল্যাক্টেটিং মা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মোট সামাজিক নিরাপত্তায় উপকারভোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৮৫ হাজার নারী। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০০১-০২ থেকে ২০৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত ভিজিডির মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ৪০ হাজার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সমাজের নিম্ন আয় ও দিন আনে দিন খায় এমন শ্রেণির মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী নারীরা অনেক কষ্টে আছে। এই সময়ে প্রকৃত দুঃস্থ ও অসহায় নারী যারা ভিজিডিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করবে তাদের নির্বাচন করতে হবে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটিগুলোকে শতভাগ নিরপেক্ষতার সাথে ভিজিডি উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ভিজিডি বাছাই প্রক্রিয়া মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ইআরডি, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।