রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ডিএনসিসির আওতাধীন কোভিড ও নন-কোভিড হাসপাতালগুলোতে অবস্থানরত রোগী, ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত অন্যান্যরা যাতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত না হয় সে জন্য হাসপাতালগুলোতে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
২০ জুন থেকে হাসপাতালসমূহে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনার করছে। দুদিনে মোট ৫৮টি হাসপাতালে এ বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
হাসপাতালগুলো হলো- উত্তরা অঞ্চলে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, নস্ট্রাম হাসপাতাল, ল্যাব এইড হাসপাতাল উত্তরা, নগর মাতৃসদন, আইচি হাসপাতাল, মিরপুর অঞ্চল-২ এর কিংস্টোন হাসপাতাল, দি মার্কস হাসপাতাল, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল, বিজিএমইএ হাসপাতাল, আধুনিক হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, রাড্ডা এমসিএইচ-এফপি সেন্টার মিরপুর-১০, আল শাফি হাসপাতাল, রাবেয়া ম্যাটারনিটি ক্লিনিক, রহিমা ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, রাড্ডা ক্লিনিক বাউনিয়াবাধ, বাপসা ক্লিনিক, মুক্তি ওয়েলফেয়ার ক্লিনিক, মহাখালী অঞ্চল-৩ এর ইউনাইটেড হাসপাতাল, লেক ভিউ ক্লিনিক, সাহাবুদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ল্যাব এইড হাসপাতাল, প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট বনানী, বনানী ক্লিনিক, প্রাভা হেলথ, বারিধারা জেনারেল হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল বারিধারা, মিরপুর অঞ্চল-৪ এর বিএভিএস হাসপাতাল মিরপুর-২, এবং কারওয়ান বাজার অঞ্চল-৫ এর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল, মোহাম্মাদপুর ফার্টিলিটি সেন্টার, এশিয়ান কার্ডিয়াক এন্ড জেনারেল হাসপাতাল।
চলমান মশকনিধন সম্পর্কে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, ‘হাসপাতালে সাধারণত রোগীর চাপ বেশি থাকলে বা রোগীর স্বজনেরা রাতে হাসপাতালে অবস্থান করলে বেশিরভাগ সময়ে রোগীদের বা রোগীর স্বজনদের জন্য পর্যাপ্ত মশারি থাকে না বা মশারি টানানোর ব্যবস্থা থাকে না। সেখানে কোন একজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুতই সেখানে সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য রোগীসহ আরও অনেকের সংক্রমিত হওয়ার আশংকা থাকে।
তাই হাসপাতাল এলাকায় এডিস মশার বিস্তার রোধে আগামী এক সপ্তাহ হাসপাতাল এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেন তিনি।
একইসাথে রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মশার বিস্তার ও মশারি ব্যবহার করার বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, সপ্তাহব্যাপী এ অভিযানে প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত লার্ভিসাইডিং (মশার লার্ভার কীটনাশক) ও এডাল্টিসাইডিং (পরিণত মশার কীটনাশক) প্রয়োগ করা হবে। ইতোমধ্যে ডিএনসিসি কর্তৃক বিভিন্ন হাসপাতালের আঙ্গিনায় এবং আশেপাশে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান সম্পন্ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকায় স্বাভাবিক মশকনিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।