২০৪১ সালে ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি আরও জানান, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উত্তরণ করেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশ আয়োজিত ফাইনাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ফেয়ার অব আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রজেক্টের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মৎস্য সম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশকে আমরা যেখানে দেখতে চাই, সেখানে দেখতে হলে আমাদের এই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে সমৃদ্ধ করতে হবে। এই দুই খাতে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয়, বরং কাঙিক্ষত পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা যেন অর্জন করা যায় সেভাবে প্রস্তুত হতে হবে।’
ওয়ার্ল্ড ফিশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে আগামী দিনেও নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মৎস্যমন্ত্রী আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ড ফিশের উদ্যোগে দেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ চাষের পাশাপাশি আর্টিমিয়া চাষ করা হচ্ছে যার ফলে মাছ বিশেষত চিংড়ি জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ সময় আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পসহ এ ধরনের উৎপাদনশীল প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ল্ড ফিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মো. আব্দুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে মাছের এ ধরনের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, আর্টিমিয়া মৎস্য খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা উৎপাদনের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়। এছাড়া আর্টিমিয়া রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব।
আর্টিমিয়া চাষ ও মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পলিসি সাপোর্ট প্রদানের বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এ খাতকে উত্তরোত্তর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ধরনের পলিসি সাপোর্টের প্রয়োজন হবে তা অবশ্যই মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী ও বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক প্যাট্রিক সরগেলুস।