মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৭১’র পরাজিত শক্তিরা ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘৭১ এর পরাজিত অপশক্তিরা নতুন কায়দায় ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল। এই দেশে নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাস করে কেউ যদি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে তাহলে সেটা হবে দিবালোকের স্বপ্ন। এছাড়া ক্ষমতায় যেতে চাইলে আগামী ২০২৯ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্ভাবনার এই বাংলাদেশকে কেউ হত্যা করতে চাইলে তা বরদাশত করা হবে না। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, সেতু ভবনে অগ্নিসন্ত্রাস করে, সরকারি স্থাপনা ধ্বংস করে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শুক্রবার (২ আগস্ট) ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘রায়ের পর আন্দোলনকারীদের উৎসব করা উচিৎ ছিল। কারণ তাদের দাবির চেয়েও তারা বেশি পেয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে আন্দোলনের ওপর ভর করে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ৭১- এর পরাজিত অপশক্তিরা দেশবিরোধী স্লোগান দিয়ে সরকারি স্থাপনা ও সম্পদ ধ্বংস করেছে। অর্থাৎ কোটা আন্দোলন নয় বরং তাদের ইস্যু ছিল সরকার পতনের আন্দোলন। তারা সরকার পতন করতে চেয়েছিল। তারা শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে নৈরাজ্য করে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল।’
তিনি বলেন, ’৭১- এর পরাজিত অপশক্তিরা নতুন কায়দায় ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল। বিদেশ থেকে অর্থের যোগান দিয়ে এবং বিশ্বব্যাপী গুজব ছড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যদি আমরা এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই নয় বরং এ দেশ হবে পৃথিবীর উন্নত দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। আমরা এ উন্নয়নকে ধুলায় লুটিয়ে যেতে দেব না। এছাড়া দেশের সংকটকালে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও তৃণমূল ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রতিটি কর্মীকে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
বিশেষ বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও মেয়র সেলিম রেজা লিপনসহ নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনের সফলতা অর্জনে ছাত্রদের উৎসব করা উচিত: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
পদ্মা সেতু প্রতিবাদের ভাষা, বাঙালির উন্নয়নের প্রতীক: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৩ মাস আগে
‘মাছের উৎপাদন বাড়াতে সরকার কাজ করছে’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক আয় বাড়ানোর জন্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ফলে আমরা মাছ রপ্তানি করছি। এখন আমাদের লক্ষ্য রপ্তানি আয় বাড়ানো।’
বুধবার (৩১ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, মাছ হবে আমাদের দ্বিতীয় প্রধান অর্থনৈতিক মুদ্রা অর্জনের খাত। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন রপ্তানির দিকে মনোযোগী হতে হবে। সব নদী, নালা, খাল, বিল, মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। পুরাতন ও পরিত্যক্ত পচা, ডোবা, পুকুর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে মাছের উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাছে চাষের উপযোগী যত স্থান আছে তা খুঁজে বের করে মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই ২০৩০ সালে ৬৫ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা আমরা অর্জন করতে পারব।’
নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্ষতিকর কারেন্ট জাল, বেহুন্দী জাল, চায়না জালের ব্যবহার বন্ধের জন্য তিনি সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি এসময় আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহসেনা বেগম তনু ও বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনের সফলতা অর্জনে ছাত্রদের উৎসব করা উচিত: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
পদ্মা সেতু প্রতিবাদের ভাষা, বাঙালির উন্নয়নের প্রতীক: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৩ মাস আগে
সহিংসতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ক্ষতি সাড়ে ৫ কোটি টাকা: আব্দুর রহমান
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় প্রাণহানিতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয় ও দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও মোবাইল ভেটেরিনারি হাসপাতাল ভাঙচুরের ফলে আনুমানিক ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া রংপুর জেলা ও বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসে ভাঙচুরের ফলে সর্বমোট পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
রবিবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সাভারে এমনভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে চোখে না দেখলে এগুলো বিশ্বাস করা যায় না। দেখে মনে হয়েছে এসব স্থাপনার সঙ্গেই যেন যুদ্ধ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
তিনি বলেন, ‘সাভার প্রাণিসম্পদ অফিসে ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ সব আসবাবপত্র ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনার পরদিন দুইজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে দেখতে গেলে তাদেরও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের কাছ থেকে লুট করা মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।’
দুষ্কৃতিকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয় আর যাই হোক তারা কোনো স্কুল-কলেজের ছাত্র নয়। স্কুল-কলেজের নিয়মিত ছাত্র হিসেবে তাদের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।’
সহিংসতায় প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যেকোনো প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি অপূরণীয় ও দুঃখজনক। আমরা প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। আমাদের সরকার ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনাও আন্তরিকভাবে এটি চান।’
সাভারে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক ভাঙচুর করায় সেবা প্রদান করা ব্যাহত হবে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এটি চালু করা সম্ভব না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাহত হবে। তবে এই মুহূর্তে এটি চালু করার মতো অবস্থায় নেই।’
সহিংসতায় খামারিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে কি না-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই কমিটি এটি নির্ণয় করে প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে প্রাণিজ পণ্য যেমন- দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, পরিবহন ও বিপণনের জন্য খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খামারিদের ক্ষতির বিষয়টি মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে দেখবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ অফিসে অগ্নিসংযোগে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে: আব্দুর রহমান
পদ্মা সেতু প্রতিবাদের ভাষা, বাঙালির উন্নয়নের প্রতীক: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৩ মাস আগে
মিঠা পানির মাছ আহরণে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ: মৎস্যমন্ত্রী
মিঠা পানির মাছ আহরণে চীনকে টপকে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২৪-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ চীনকে টপকে বিশ্বে ২য় অবস্থানে উঠে এসেছে। বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম স্থানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে, ক্রাস্টাশিয়ান্স উৎপাদনে বিশ্বে ৮ম এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১৪তম স্থান অধিকার করেছে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরও জানান, দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চীন এর মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ছিল ১.৪৬ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে ২য়। অপরদিকে বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১.২৫ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে ৩য়। গত দুই বছরে বাংলাদেশের মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ১.২৫ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ১.৩২ মিলিয়ন টন এ উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে চীনের উৎপাদন ১.৪৬ মিলিয়ন টন থেকে কমে ১.১৬ মিলিয়ন টন হয়েছে। ফলে দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২৪-এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ চীনকে টপকে ২য় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু আবেগঘন এক বক্তব্যে বলেছিলেন- আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমার মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। এসব ডেভেলপ করতে পারলে এদিন আমাদের থাকবে না। তার সেই কথা আজ বাস্তবায়ন হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ৪৯.১৫ লক্ষ মেট্টিক টন।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে সেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে।
এছাড়াও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ শীর্ষক একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে, যা সুনীল অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা সংযোজনের পাশাপাশি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে জানান মন্ত্রী।
মাছ চাষে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জ। তবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে। মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশীয় প্রজাতির মাছের জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে, অভয়াশ্রম করা হচ্ছে। উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার, ১২ জেলেকে মামলা
কারেন্ট জাল দিয়ে মাছের রেনু পোনা ধরার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন মৎস্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা দেশে এটি নিষিদ্ধ করেছিলাম কিন্তু উৎপাদনকারীরা কোর্টে রিট করেছে। আমরা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
মাছ রপ্তানির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা মাছ রপ্তানি করছি। তবে ভবিষ্যতে রপ্তানি আয় বাড়াতে আরও নিরাপদভাবে মাছ প্রসেসিং করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ১ কোটি ৭ লাখ, সেখানে প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। ফলে চাহিদার চেয়ে যোগান বেশি আছে।
চাহিদার বেশি যোগান বেশি থাকলে গরুর দাম এত বেশি কেন এ প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, বাজারে কারসাজি করে দাম বাড়ালে বাজার নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে দাম নির্ধারণের দায়িত্ব আমাদের না। এটি চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। সরবরাহ বাড়ানোর দায়িত্ব আমাদের এবং আমরা সেটি করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশের: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৫ মাস আগে
২০৪১ সালে ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশের: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
২০৪১ সালে ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি আরও জানান, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উত্তরণ করেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশ আয়োজিত ফাইনাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ফেয়ার অব আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রজেক্টের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মৎস্য সম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশকে আমরা যেখানে দেখতে চাই, সেখানে দেখতে হলে আমাদের এই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে সমৃদ্ধ করতে হবে। এই দুই খাতে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয়, বরং কাঙিক্ষত পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা যেন অর্জন করা যায় সেভাবে প্রস্তুত হতে হবে।’
ওয়ার্ল্ড ফিশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে আগামী দিনেও নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মৎস্যমন্ত্রী আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ড ফিশের উদ্যোগে দেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ চাষের পাশাপাশি আর্টিমিয়া চাষ করা হচ্ছে যার ফলে মাছ বিশেষত চিংড়ি জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ সময় আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পসহ এ ধরনের উৎপাদনশীল প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ল্ড ফিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মো. আব্দুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে মাছের এ ধরনের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, আর্টিমিয়া মৎস্য খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা উৎপাদনের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়। এছাড়া আর্টিমিয়া রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব।
আর্টিমিয়া চাষ ও মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পলিসি সাপোর্ট প্রদানের বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এ খাতকে উত্তরোত্তর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ধরনের পলিসি সাপোর্টের প্রয়োজন হবে তা অবশ্যই মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী ও বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক প্যাট্রিক সরগেলুস।
৫ মাস আগে
খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি। এলক্ষ্যে সরকার দেশে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসাধারণের প্রয়োজনীয় প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ এবং এ খাতকে রপ্তানিমুখী করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (এলডিপিপি) উল্লেখযোগ্য যা ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নবান্ধব বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ সব জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শনিবার (১ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪’ ও ‘ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন’ উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত খামারিদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে যেমন দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন তেমনি আপনারা নিজেদেরও সমৃদ্ধ করেছেন। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি এসময় খামারিদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দুধ শুধু একটি আদর্শ খাবারই কেবল নয় বরং মেধাবী জাতি গঠনে দুধ পান অপরিহার্য। তাই নিয়মিত দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, পরবর্তীতে এ ধরনের অনুষ্ঠান পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় করা হবে এবং সে অনুষ্ঠানে খামারিরা প্রধান স্টেকহোল্ডার হবেন। তিনি গুড়াদুধ আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য অধিকহারে শুল্ক আরোপের বিষয়ে খামারিদের দাবিকে সাধুবাদ জানান এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খামারিদের আশ্বস্ত করেন।
উল্লেখ্য, দেশে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এ বছর ডেইরি খামার ক্যাটাগরিতে ২৬টি, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ৯টি, দুধ/মাংস প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ১১টি এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে ৫টিসহ মোট ৫১ টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি পুরষ্কারের মূল্যমান এক লাখ টাকা।
অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশের দুগ্ধ খাতের ৫১ জন সফল খামারি ও উদ্যোক্তার হাতে এসময় মন্ত্রী ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষ্যে খামারিদের এ ধরনের সম্মাননা প্রদান তাদের দুগ্ধ উৎপাদনে আরও উৎসাহিত করবে এবং ফলে এ সেক্টরের উন্নতি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে মন্ত্রী এসময় মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৫ মাস আগে
জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ)’ শীর্ষক প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায় এ কথা জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাছ উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সব স্টেকহোল্ডারদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সব প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা হলে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায়। এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ বিধায় বাস্তবতা মেনে আমাদের পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকল্পটি দেশের আরও নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ করে দেশব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে মৎস্য খাতের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করে মৎস্যসম্পদের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির করে দরিদ্র জেলে ও মৎস্য চাষিদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে।
এ সময় জলবায়ু সহনশীল ও উপযোগী মাছ চাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষায়িত মাছ চাষ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সমাজভিত্তিক মাছ চাষ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন, মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কারেন্ট জালের উৎস নির্মূল করতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বর্তমান সরকারের মৎস্য খাতের সাফল্য বিশেষ করে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের গুরুত্ব, খাদ্য নিরাপত্তা, জনগণের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পূরণ এবং গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের অবদানের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৮ লাখ ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৭ মাস আগে
জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ শুরু ১১ মার্চ
‘ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা’ এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে আগামী ১১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, জাটকা সংরক্ষণে হাট-বাজার ও আড়তে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া প্রতিবছরের মতো এবারও জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি হচ্ছে জাটকা
কর্মসূচির মধ্যে থাকবে- ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মাছের আড়ত, বাজারসহ জনাকীর্ণ স্থানে জাটকা সংরক্ষণের গুরুত্ব ও এ সংক্রান্ত আইন বিষয়ে প্রচার কার্যক্রম, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপনের লক্ষ্যে ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটি’র সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় জাটকা ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
মন্ত্রী আরও বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নৌকা বাইচ, হা-ডু-ডু, সাঁতার ইত্যাদি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন, জাটকা সমৃদ্ধ এলাকায় ভিডিও চিত্র প্রদর্শন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মৎস্যজীবী ও জেলেপল্লিতে সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণে পথ নাটক, আঞ্চলিক ও লোক সংগীত পরিবেশন এবং জাটকা রক্ষায় জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব সৈয়দ মো. আলমগীর, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: মেঘনায় জাটকা ধরায় ৭ জেলে আটক, কারেন্ট জাল ও জাটকা জব্দ
৮ মাস আগে
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। সব পণ্যই উৎপাদন এবং মজুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরও দাম বেশি কেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাংস, ডিম এবং মাছের মূল্য কেন বেশি, এসব কেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজানে এক সপ্তাহ আগে থেকে ন্যায্যমূল্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মাছ, মাংস ডিম ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হবে।
মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে ভর্তুকি দিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রমজানের কয়েকদিন আগে থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।
বস্তি এলাকা এবং কিছুটা দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় এ কার্যক্রম চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
মন্ত্রী বলেন, আমি একটা সম্পূর্ণ নতুন জায়গায় এসেছি। এই জায়গাটা নিয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠেনি। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার একটি পরিপূর্ণ অংশ এই মন্ত্রণালয়টি।
তিনি বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে পুষ্টিজনিত খাবারের ব্যাপারটি এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত। সেই ক্ষেত্রে এই জায়গাটিতে কিছু মৌলিক কাজ আছে, সেগুলো আমাদের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আমরা এখন সারা পৃথিবীতে তৃতীয় অবস্থানে আছি। আমরা যাতে আরও বেশি দূর যেতে পারি, এমনকি আমাদের অবস্থান, আরও উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
তিনি বলেন, আজ আমরা মাছে ও গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় যে এক কোটি পশু কোরবানি হয়, সেটার জন্য বাইরে থেকে আমদানি নির্ভরতা একেবারেই নেই।
তিনি বলেন, এতে দুটো জিনিস হয়েছে। এসব গরু-ছাগল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যাটা হতো। যেহেতু বাইরে থেকে গবাদিপশু আনা বন্ধ হয়েছে, সেহেতু সীমান্ত হত্যাটাও কমে গেছে, নেই বললেই চলে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এখন ডেইরিতে আরও কিছু কাজ করার প্রয়োজন। আমাদের দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আরও কিছু কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মা ইলিশ ও বাচ্চা ইলিশ ধরার যে প্রবণতা ছিল, সেগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাছ ধরা নিষেধ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেটার সুফল পেয়েছি। এ বিষয়টি অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবীদের যে প্রণোদনা দেওয়া হয়, সেটা একটু বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব। যাতে তাদের প্রণোদনা বাড়িয়ে মাছ ধরার নিষিদ্ধের সময়টা আরেকটু বাড়ানো যায়। তাতে আমরা আরও সমৃদ্ধ হব।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
১০ মাস আগে
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধের জন্য বর্তমান সরকার অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রোধকল্পে বর্তমান সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনের যথাযথ ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে এমন মানহীন অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য ওষুধ যারা তৈরি করবে, ব্যবহার করবে বা এটি নিয়ে যারা ব্যবসা করবে তাদের বিশেষ আইন ও আদালতে বিচার করা হবে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, কিছু ফার্মেসিতে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা হচ্ছে, কিছু চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার করছেন। গ্রাম পর্যায়ে বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু ফার্মেসি অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার করছে। আইনানুগভাবে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধই শুধু নয়, মানবস্বাস্থ্য, প্রাণিস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য যা কিছু ক্ষতিকর সেটি নিয়ে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, ওয়ান হেলথ ধারণা সারাবিশ্বে জনপ্রিয়। বর্তমান সরকার ওয়ান হেলথ ধারণা কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার সমন্বিতভাবে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নে কাজ করছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, তার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, মানুষের সুস্বাস্থ্য, নিরাপদ খাবার ও জীবনমান উন্নত করার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা, ওষুধের যথাযথ ব্যবহার, গুণগত মানের ওষুধ তৈরি এবং এটি তৈরিতে নজরদারির ক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এক সময় মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন না করার কারণে সরকার বিপুল সংখ্যক ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে। ওষুধে ভেজাল দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখনও বড় বড় কোম্পানির ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য সরকার নজরদারি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন, বাংলাদেশে এফএও-একটাডেরর কান্ট্রি লিড এরিক ব্রাম, এফএও-একটাডের জ্যেষ্ঠ কারিগরি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার কনসালট্যান্ট নূর ই আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফ্লেমিং ফান্ড কান্ট্রি গ্র্যান্টের টিম লিড ডা. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ।
এর আগে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
১১ মাস আগে