সম্প্রতি রাজধানীর নিউ বেইলি রোডে রাজউকের নিয়ম ভেঙে বাড়ি নির্মাণ হয়েছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ভবনে অভিযান চালিয়ে এ কথা জানায় দুদক কর্মকর্তারা।
দুদকের সহকারী পরিচালক মইনুল হাসানের নেতৃত্বে রাজউকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পাঁচ সদস্যের একটি দল এ অভিযানে অংশ নেয়।
দলটি সরেজমিনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে, ১৭/২ নং নিউ বেইলী রোডস্থ প্লটটিতে রাজউকের বিধান মতে চারপাশে ৩০ শতাংশ জায়গা সংরক্ষণের কথা থাকলেও কোনো জায়গা না ছেড়ে সমগ্র প্লট জুড়েই বহুতল ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে রাজউকের সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. আবদুল লতিফ ও ইন্সপেক্টর জুলফিকার আলী সিদ্দিকি ভবনটিতে নিয়মবহির্ভূত স্থাপনা হয়েছে বলে অভিমত জানান।
দুদক দলের সদস্যরা ইউএনবিকে জানান, রাজউক অতিসত্বর ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণ ও জরিমানাসহ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
দুদক দলের সদস্যরা আরো জানান, রাজউকের আইনানুগ প্রক্রিয়ায় গৃহীত সকল পদক্ষেপ দুদক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এছাড়া রাজউকের কোনো কর্মকর্তার গাফিলতি আছে কিনা দুদক সে দিকটিও খতিয়ে দেখবে।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ২৬ জুলাই গুলশানের নিকেতন এলাকার একটি প্লটে রাজউকের নকশা বহির্ভূতভাবে ইমারত নির্মাণ কাজ বন্ধ এবং রাজউকের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে দুদক। একইভাবে চলতি বছরের ৭ আগস্ট দুদকের হস্তক্ষেপে নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকার একটি প্লটে রাজউকের নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়।
এ অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী ও দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, ‘সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি থেকেই আইন ভাঙার সংস্কৃতি জন্ম নেয়। এ প্রবণতা বন্ধে দুদকের নজরদারি অব্যাহত থাকবে।’