তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা-কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সংসদ সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকা আর এখনই সেটা বাস্তবায়নের উপযুক্ত সময়।
এ সময় তিনি সংসদ সদস্যদের লিঙ্গসমতা অর্জনে ক্ষমতা-কাঠামো পরিবর্তনে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
সোমবার সকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘টেকসই বিশ্বের জন্য লিঙ্গসমতা ও নারী নেতৃত্ব’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত লিঙ্গসমতা বিষয়ক বৈশ্বিক নেতাদের অনানুষ্ঠানিক সভায় ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য লিঙ্গসমতা ও একীভূত সমাজ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে লিঙ্গসমতা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি অতিদরিদ্র নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি, বিধবা ভাতা, প্রসূতি নারীদের ভাতা, পেশা উন্নয়ন ও তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধসহ যে সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ সংসদ নারী ক্ষমতায়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা এবং বর্তমান মন্ত্রী পরিষদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নারীরা রয়েছেন। নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসন রয়েছে এবং বর্তমান সংসদে ২৩ জন নারী সংসদ সদস্য সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সামরিক বাহিনী, প্রশাসন, পুলিশ, আইন ও বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রেই নারীর দৃশ্যমান উপস্থিতি রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের নারীরা সুনামের সাথে কাজ করছেন। দেশে ৪০ লাখেরও বেশি নারী তৈরি পোশাক শিল্পে কাজ করছে যা লিঙ্গসমতার উজ্জ্বল উদাহরণ।
সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দে এসপিনোসা গার্সেজ।
পরে স্পিকার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এইচএলপিএফের পার্লামেন্টারি ফোরাম আয়োজিত ‘গ্রোয়িং ইনিকোয়ালিটিস অ্যান্ড ডিসট্রাস্ট ইন গভর্ণমেন্ট: ব্রেকিং দ্য সাইকেল’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।