বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইডিএফ) ২০২০ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের অধীনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করে আরো বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হব।’
তিনি উল্লেখ করেন, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, অটোমোবাইল, অটো পার্টস, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি, সোলার ফটো-ভল্টিং মডিউল ও বিভিন্ন খেলনা সামগ্রীসহ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বাংলাদেশ আরো পণ্য উৎপাদন করতে পারে।
‘বিনিয়োগ আকৃষ্টে আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে আমাদের বিশাল বাজার রয়েছে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সহ-সভাপতি ফাতিমা ইয়াসিন বক্তব্য রাখেন।
এবারের বাণিজ্য মেলায় ৪৮৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়নে দেশ ও বিদেশের পণ্য বেচা-কেনা হবে। এসবের মধ্যে ১১২টি প্যাভিলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৪৩টি স্টল রয়েছে।
২৫তম এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান ও ব্রুনাইসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।
মাসব্যাপী এ মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে এ বাণিজ্য মেলা রাত সাড়ে ৯টায় শেষ হবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য হিসেবে বড়দের জন্য জনপ্রতি ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকার টিকিট নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১০ টাকা বেশি।
মেলা কর্তৃপক্ষ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানায়, গত বছরে মেলা থেকে ১০.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছিল। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে এ পরিমাণ ছিল ৩৫.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রসঙ্গত, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে ১৯৯৫ সাল থেকে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন থেকে মাসব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।