বইয়ের পাতা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রের পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় এলিয়েনের রাজকীয় বিচরণ থাকলেও এলিয়েন কি পৃথিবীতে সত্যি এসেছিলো! দৈহিক গড়ন থেকে আচার-আচরণ; এমনকি এলিয়েনদের আবেগগুলো যেখানে অস্বাভাবিকতার উপকূল অনেক পেছনে ফেলে এসেছে, তবুও এই ২১ শতকে এসে তাদের অস্তিত্বের প্রশ্নটি অবান্তর নয়। চলুন যাচাই করে নেয়া যাক পৃথিবীতে তাদের পদচিহ্নের সত্যতা। এরই নিরিখে আরও একবার নতুন করে উত্তর মিলবে সেই চিরায়ত প্রশ্নের- এলিয়েন বলে আদৌ কোন কিছু আছে কিনা।
এলিয়েন-এর ধারণাটিকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়
পৃথিবীর চিরচেনা পরিবেশের আওতাধীন খাদ্য শৃঙ্খলের বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক প্রাণী বোঝানো হয় এলিয়েনকে। এর পরিসরটি আনবিক্ষণিক ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে বুদ্ধিমান প্রাণী পর্যন্ত বিস্তৃত।
এমন চিন্তার খোরাকের উদ্ভব ঘটেছিলো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীগুলো থেকে। সবচেয়ে পুরনো সাহিত্যের মধ্যে ২০০ খ্রিষ্টাব্দের গ্রীক রম্য গল্পকার লুসিয়ানের গল্পে পাওয়া যায় মহাজাগতিক প্রাণীর সন্ধান। ‘ট্রু স্টোরি’ নাম হলেও উপন্যাসটির কাহিনী পুরোটাই ছিলো চন্দ্রাভিযানের কল্পকাহিনী নিয়ে। আর বর্তমান সময়ের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছেন জুলভার্ন, এইচ জি ওয়েলস ও আইজাক আসিমভের মত লেখকরা। তাদের সৃষ্ট কাহিনীগুলোতে শতাব্দি ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এলিয়েনের ধারণা। কখনও বেশ বন্ধুভাবাপন্ন আবার কখনও রক্ত হিম করা কোন অনাসৃষ্টি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এই এলিয়েনের ধারণা।
আরও পড়ুন: বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য: গল্প নাকি সত্যি?
এলিয়েন কি পৃথিবীতে এসেছিলো?
১৯৪৭ সালের ২৪ জুন শিকাগো সান-এ ফ্লাইং সসার নিয়ে বেশ চমকপ্রদ একটি নিউজ কভার করা হয়। তাতে বলা হয়েছিলো যে, কেনেথ আর্নল্ড নামের একজন পাইলট নয়টি চকচকে অজানা উড়ন্ত বস্তুকে রেইনিয়ার পাহাড়ের উপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখেছেন।
একই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি এয়ার ফোর্স অফিসাররা রসওয়েল আর্মি এয়ার ফিল্ড থেকে নিউ মেক্সিকোর করোনার কাছে একটি খামার থেকে একটি বেলুনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে। এর কয়েক দশক পরে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দানা বাঁধে কন্সপিরেসি থিওরি, যার দাবি ছিলো, সেই বেলুনটি ছিল মূলত একটি উড়ন্ত সসার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ব্যাপারটি গোপন রেখেছিলো।