বিশ্বের সব থেকে রহস্যময় জায়গাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ডেভিল্স ট্রায়াঙ্গেল, সবাই যেটাকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল হিসেবেই জানে। আসলে মিথোলোজি ও সত্যি ঘটনার মাঝের নো ম্যান্স ল্যান্ডে লোক মুখে হাজারো কথা প্রচলিত থাকে, যেগুলো সেই সত্যি ঘটনাটির সামনে ধোয়ার মেঘ তৈরি করে। সব তর্ক-বিতর্কের ঊর্ধ্বে যে ভাবনাটি সময়ের দাবি তা হলো, এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অদ্ভুতুড়ে ব্যাপারগুলো যদি আসলেই নিরঙ্কুশ ঘটনা প্রবাহ হয়ে থাকে, তখন কি হবে! চলুন, নতুন করে হয়ে যাক এই পুরনো রহস্যটির জট ছাড়ানোর চেষ্টা।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের ত্রিভুজ অঞ্চল
মায়ামির সান জুয়ান, পুয়ের্তো রিকো এবং বারমুডা। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের এই তিনটি স্থানে পড়েছে ত্রিভজাকৃতির অঞ্চলটির তিনটি শীর্ষবিন্দু। মাঝের জায়গাটির পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ থেকে ৩৯ লাখ বর্গকিলোমিটার। অবশ্য এটি একদম নির্ধারিত নয়। বিভিন্ন সময় যে অংশে রহস্যময় ঘটনাগুলো ঘটেছে তাকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত হয়েছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল।
পড়ুন: নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্যময় ঘটনাপ্রবাহের এক ঝলক
১৮৮০ সালের ৩১ জানুয়ারি এলেন অস্টিন নামের একটি জাহাজ ইংল্যান্ডের বারমুডা থেকে ফ্যালমাউথের উদ্দেশে রাজকীয় বন্দর ছেড়ে যায়। ধারণা করা হয়- জাহাজটি পথিমধ্যে ঝড়ের কবলে পড়ে পথভ্রষ্ট হয়ে বিশাল নাবিকদল নিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে। ১৮৮১ সালে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় এবং বন্দরে নিয়ে আসা হয়। এর মাধ্যমেই শুরু হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের সূত্রপাত।