বর্তমান কৃষি ও কৃষকবান্ধব সরকার ফসল উৎপাদনকারীদের দুরবস্থা লাঘবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাওয়ার অংশ হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে বর্তমান আমন মৌসুম থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধান সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য ‘কৃষকের অ্যাপ’ নামে স্মার্টফোনে ব্যবহারোপযোগী একটি অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এ অ্যাপটি ডিজিটাল উপায়ে ধান/খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের অংশ হিসেবে শুধুমাত্র কৃষকরা ব্যবহার করবেন। কৃষক যেন আঙ্গুলের ছোঁয়ায় সরকারি সেবা পেতে পারেন, সেজন্য সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে। এটি ব্যবহার করে কৃষক ঘরে বসেই সরকারের কাছে ধান বিক্রয়ের আবেদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কারিগরি সহযোগিতায় তৈরি করা ‘কৃষকের অ্যাপ’ কৃষককে গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে। সারা দেশের কৃষকরা এটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন। এর নিবন্ধন প্রক্রিয়া খুবই সহজ। একজন কৃষককে শুধুমাত্র একবারই নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের সময় সংশ্লিষ্ট কৃষকের জাতীয় পরিচয়পত্রটি নম্বর ব্যবহার করতে হবে যা নির্বাচন কমিশন থেকে অনলাইনে যাচাই করা হবে।
এরই মধ্যে, এবারের আমন মৌসুমে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ১৬টি জেলার ১৬টি উপজেলায় ‘কৃষকের আ্যাপ’ চালু হয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অ্যাপের মাধ্যমে ১৬টি জেলায় মোট এক লাখ ৪১ হাজার ৯৮৯ জন কৃষক নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ধান বিক্রির আবেদন করেছেন ৭৬ হাজার ৫৮৩ জন। এরপর আবেদনকারী কৃষকদের মধ্যে থেকে কম্পিউটার ভিত্তিক লটারির মাধ্যমে ধান ক্রয়ের জন্য কৃষক নির্বাচন করা হয়।
পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে কৃষকদের জন্য ‘কৃষকের অ্যাপ’ চালু করা হবে।
অ্যাপ থেকে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃষক ঘরে বসেই সরকারের কাছে ধান বিক্রির আবেদন করতে পারবেন।
কৃষকের আবেদনটি কখন, কী অবস্থায় আছে তা জানতে পারবেন।
ধান বিক্রির নির্বাচনী লটারি কৃষক পেয়েছেন কি না এবং কতটুকু বিক্রির বরাদ্দ পেয়েছেন তা জানতে পারবেন।
কৃষক ধান সরবরাহের ওজন মান মজুদ সনদ (ডব্লিউকিউিএসসি) সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এছাড়াও অ্যাপটির মাধ্যমে কৃষক তার মতামত বা অভিযোগ জানাতে পারবেন।