শুনানিতে গ্রাহকরা নেটওয়ার্ক সমস্যা, ইন্টারনেট ধীরগতি, প্যাকেজের নামে প্রতারণা, অহেতুক এসএমএস ও বিজ্ঞাপন, কল ড্রপ, ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপত্তাসহ বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন।
গ্রাহকদের অভিযোগ শোনার পর গণশুনানি কমিটির সভাপতি ও বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, অভিযোগগুলোর সমাধান কমিশন নিশ্চয় করবে।
পাশাপাশি গ্রাহকদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে ও সেবা দেয়ার জন্য কল সেন্টার সপ্তাহের ৭ দিন এবং প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ সেবা সংক্রান্ত সকল অভিযোগ নেয়ার জন্য এখন থেকে ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কল সেন্টার চালু রয়েছে।
গ্রাহকদের সমস্যা প্রসঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, সমস্যা একদিনে দূর হয়ে যাবে না, কেয়ামত পর্যন্ত সমস্যা থাকবে। আমরা কতটুকু এগোতে পারলাম সেটি বড় কথা।
‘অপারেটর যারা আছেন, কী কী অভিযোগ এসেছে তা তারা শুনেছেন। আমরা এটুকু শুনেছি আমরা আপনাদের বেশি বেশি সমর্থন করি! সত্যিকার অর্থে বিটিআরসি কখনও কাউকে সমর্থন করে না। আইন যেভাবে আছে সেভাবে আচরণ করে’, যোগ করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিজ্ঞাপন নিয়ে কম বেশি সবাই কথা বলেছেন। এটা আমারও কথা। …আমিও বিব্রত হই। কীভাবে সমস্যা সমাধান হয় সে ব্যাপারে তৎপর হন (অপারেটরদের প্রতি)।
ফেসবুকে নানা সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফেসবুকের সদস্য না। ফেসবুক আমাদের কথা কখনও শুনে না। তবে বেশি গ্রাহক থাকার জন্য বিটিআরসি যখন অনুরোধ করে তখন কিছু কিছু কাজ করে।
নেটওয়ার্কের রেডিয়েশন নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে জহুরুল হক বলেন, রেডিয়েশনের ব্যাপারে হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছে আমরা তাতে খুবই তৎপর। আমরা পরীক্ষা করেছি, রেডিয়েশন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
ইন্টারনেটের মূল্য কমানো ও ন্যূনতম মেয়াদ ৮ দিন করার ব্যাপারে একজন গ্রাহকের প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক এবিএম হুমায়ুন কবির বলেন, আশা করছি অপারেটররা বিবেচনায় নেবেন। তারপরও এসবরে মূল্য পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যবেক্ষণ শেষে মূল্য ও সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বিটিআরসি কতৃত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ সংক্রান্ত বিষয়ে রমনায় আইইবি মিলায়তনে প্রায় ৫০০ জন অথিতির উপস্হিতিতে এ গনশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গনশুনানিতে বিটিআরসি চেয়ারমযান ছাড়াও সকল কমিশনার ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।