রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে ‘৫জি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘৫জি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ ও সাবমেরিন ক্যাবল-৩ আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন করে চালু করতে পরব। এ লক্ষ্যে কাজ করছি।’
মন্ত্রী জানান, ২জি, ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্ক ঠিকভাবে না পাওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে। মোবাইল অপারেটরদের যে মানের সেবা দেয়া উচিত ছিল তা দিতে পারছে না। একজন মন্ত্রী পর্যন্ত সংসদে দাঁড়িয়ে নেটওয়ার্ক সমস্যার সমালোচনা করেছেন। ‘এমন কোনো দিন নেই যে নেটওয়ার্ক নিয়ে ২-৪টি বকা খাই না। বহু জায়গায় অভিযোগ যে নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করে না।’
এ জন্য দেশের পরবর্তী শিল্প রূপান্তরে ৫জি নেটওয়ার্কের প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে শিক্ষা, শিল্প, ব্যবসা ও কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে ৫জি।
এত দিন ৫জির পরিকল্পনা নিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে কাজ করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী সেমিনারে বলেন, ‘আজকে আপনাদের সবার মতামত নিতে উন্মুক্ত সভা করেছি এবং অনেক মতামত পেয়েছি।’
৫জি নীতিমালা তৈরিতে জনগণ ছাড়াও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনা চলছে এবং মতামত নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
৫জিকে শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক হিসেবে আখ্যায়িত করে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘২জি, ৩জি ও ৪জির সেবার মান কতটা উন্নত করতে পারব তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমি ৫জির মহাসড়ক যথাসময়ে নির্মাণ করতে পারব কি না।’
পৃথিবীর খুব কম কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ৫জির পরীক্ষা চালিয়েছে এবং এতে ৪ দশমিক ১৩ জিবিপিএস (গিগাবিট প্রতি সেকেন্ড) গতি পেয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত এ সেমিনারে জানানো হয় যে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে ৫জি চালু করা হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘৫জির মাধ্যমে আরও মানসম্মত টেলিকম সেবা দিতে চাই। দেশে বর্তমানে গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছি এবং ব্যান্ডউইথের দাম আগের চেয়ে কমিয়েছি। ২০২৪ সালে এমন কোনো বাড়ি থাকবে না যেখানে ইন্টারনেট থাকবে না।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস।