ক্রাক্সের দলনেতা এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাবিল জানান, করোনায় সংকটাপন্ন রোগীদের কথা মাথায় রেখে গত প্রায় চার মাসে তারা এই ভেন্টিলেটর তৈরি করেছেন। তাদের তৈরি ভেন্টিলেটর সহজে বহনযোগ্য এবং এটা চালাতে কম বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় বলে অ্যাম্বুলেন্সেও ব্যবহার করা যাবে। এই ভেন্টিলেটরে শব্দ কম হওয়ায় রোগীদের কোনো অসুবিধা হবে না।
‘এটাতে একটা আপস্ ব্যবহার করা হয়েছে। এই আপসের মাধ্যমে ভেন্টিলেটরকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ভেন্টিলেটরের বিভিন্ন প্যারামিটার দেখা যায়’ বলেন তিনি।
নাবিল বলেন, ‘‘আমাদের স্টার্টআপ কোম্পানি ‘ক্রাক্স’ থেকেই আমরা এটা তৈরি করেছি। এটা তৈরি করতে আমাদের প্রায় ১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রথমদিকে স্পন্সরশিপের জন্য চেষ্টা করলেও স্পন্সর না পেয়ে আমরা নিজেদের টাকায় তৈরি করেছি। আমাদের তৈরি ভেন্টিলেটরের সকল তথ্য ও ডকুমেন্ট আমাদের ওয়েবসাইট www.cruxbd.com এ দিয়ে দিয়েছি। যেন যে কেউ এটা দেখে তাদের প্রয়োজনে তৈরি করে নিতে পারে।’’
ক্রাক্স দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, শাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন এবং সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি শাফি ও ইলেক্টি্রক্যাল অ্যান্ড ইলেক্টনিক বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান সোহাগ।
উল্লেখ্য, করোনা শুরুর দিকে চিকিৎসকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ফেইসশিল্ড তৈরি করেছিল এই দল। ফেইসশিল্ড তৈরির পরে বাংলাদেশ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের প্রশংসা করেন।