আইফোনের চার্জার ও ইয়ারফোন
চলুন আইফোন ১২ নিয়ে কথা বলা যাক। এটা ধরে নেয়াই যেতে পারে প্রতিষ্ঠানটি তাদের সর্বশেষ ঘোষণায় অ্যাপলকে অপ্রত্যাশিত কোনো কিছুর ঘোষণা দিবে তা মেনে নেয়া যেতে পারে না। মোবাইল প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড নির্বিশেষে, কোনো একটি নতুন ফোন কেনার ক্ষেত্রে এর সাথে একটি চার্জার ও ইয়ারফোন থাকবে এটা প্রতিটি গ্রাহক আশা করতেই পারেন। তবে আইফোন ১২ এ ধারণা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ জন্য আমরা চিন্তিত যে সামনের দিনগুলোতে অন্য ফোন কোম্পানিগুলোও তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করবে। বৃহৎ আকারে কার্বন হ্রাস করার তাদের প্রচেষ্টা আমরা বুঝতে পারছি। এটি প্রশংসনীয় তবে এর জন্য মূল্য দিতে হবে কাদের? অ্যাপল স্বীকার করেছে বাজারে ২ বিলিয়নেরও বেশি চার্জার ও ৭০০ মিলিয়নের বেশি ইয়ারফোন (অন্য কোম্পানিরগুলো ছাড়া) রয়েছে। লজিস্টিকের দৃষ্টিকোন থেকে যা উৎপাদনের অনেক বেশি অপচয় মনে হতে পারে। এ পরিসংখ্যান নিয়ে তর্ক করা কঠিন তবে আইফোনের সাথে এগুলো সরবরাহ না করার আগে বিকল্প ভাবতে পারলে দুর্দান্ত হত।
হেডফোন জ্যাক
প্রযুক্তিগত অগ্রগতির চেয়ে ওয়্যারলেসকে বেশি পছন্দ হিসেবে দেখা হয়। কখনও কখনও, আমরা এমন তারহীন বিকল্প হেডফোন খুঁজছি যা নিখুঁত সাউন্ড দিবে এবং পকেটে সহজে রাখা যাবে। হেডফোন জ্যাক থাকা আমাদের একটা বিকল্প দিয়েছিল যা এখন আর নেই। নতুন পরিবর্তনগুলো গ্রহণযোগ্য হলেও আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিস্ময়কর পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। অতিরিক্ত একটি স্পিকারের সাথে জ্যাকের প্রতিস্থাপনের ফলে সাউন্ডের মান হয়তো আরও ভাল করে তুলেছে। ফলে কেউ কেউ যুক্তি দিতেই পারেন যে এটা মূল্যহীন নয়। সর্বোপরি, কোনো অ্যাডাপ্টার ছাড়া গান শুনতে শুনতে ফোন চার্জ করার পুরানো দিনের অভ্যাসগুলোকে আমাদের বিদায় জানাতে হয়েছে। মেনে নিতেই হবে যে, আইফোন ব্যবহারকারীদের জ্যাক-লেস হতে হতে বেশ কয়েক বছর লেগেছে। তবে, আমরা নিশ্চিতভাবেই এ ফিচারটিকে খুব মিস করবো।
আরও পড়ুন: এবছর নতুন ৫ আইফোন আনবে অ্যাপল
বাটন
আইফোনের ম্যাজিক হোম বাটন সরিয়ে ফেলা কোনোভাবেই আইফোন সিরিজের আকাঙ্খা কমিয়ে দেয়নি। ব্যবহারকারীদের কেউই এ ফিচারটিতে ফিরে যেতে চান না বলা ঠিক হবে না। আইফোন এক্স বাজারে ছাড়ার সময় এতে ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি যুক্ত করা গেম-চেঞ্জার হয়ে থাকবে এবং অভিনব প্রযুক্তিতে অ্যাপল যে পিছিয়ে নেই তার প্রমাণ দিয়েছে (ভাবুন এ মুহুর্তের স্যামসাং নেই)। ফেস রিকগনিশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন। যা আঙুলের ছাপের স্ক্যানার ব্যবহারের চেয়ে বেশি সুরক্ষা দিবে। তবে ফোন আনলক করার গতি ও সুবিধা বিষয়গুলোকে আমরা পর্যালোচনা করে দেখতে পারি। অ্যাপল এমন এক সেটিং ব্যবহার করেছে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর স্ক্রিনের যে কোনো স্থানকে ডিজিটাল হোম বাটন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। তবে, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেখানে মহামারি থেকে সুরক্ষিত থাকতে সকলের মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে এ পরিস্থিতিতে কতজন অ্যাপলের ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন তাই এখন দেখার বিষয়।