অ্যাপল
আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে ব্যবহৃত বস্তুটি হওয়ায় ক্রমশ মূল্যবান হয়ে উঠছে স্মার্টফোনগুলো। বিশেষ করে পুনঃবিক্রয় মূল্য এবং জনপ্রিয়তার কারণে রীতিমতো সম্পদতুল্য বস্তু আইফোনগুলো। তাই ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ফোনগুলো চুরি হওয়ার পরিমাণ। এই সমস্যার নিরসনে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের রয়েছে অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা। এই প্রতিরক্ষামূলক ফিচারগুলো চুরি করা ডিভাইস ব্যবহার বা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে, ব্যবহারকারীর ডেটাগুলোর চূড়ান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। চলুন, আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের কয়েকটি কার্যকরী ফিচার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আইফোন চুরি প্রতিরোধে কয়েকটি কার্যকরী নিরাপত্তা ফিচার
.
অ্যাক্টিভেশন লক
ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাপলের তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা বা ক্লাউড সার্ভিসটি আইক্লাউড নামে পরিচিত। এখানে আইফোনকে একটি অনন্য অ্যাপল আইডির সঙ্গে লিংক করা হয়। যখন ডিভাইসে থাকা ফাইন্ড মাই আইফোন ফিচারকে সক্রিয় করা হয়, তখন তার সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায় অ্যাক্টিভেশন লক। এর ফলে চুরির পর ডিভাইসটি পুরো ফর্মেট দেয়া বা রিসেট করা হলেও, আসল মালিকের অ্যাপল আইডি ও পাসওয়ার্ড ছাড়া ফোন খোলা যাবে না। সঙ্গত কারণেই কল করা বা এসএমএস পাঠানোসহ বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের মতো কাজগুলো করা সম্ভব হবে না। এতে করে বিক্রয়ের জন্য একের পর এক হাত বদল হলেও প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়ে ফোনটি আর বিক্রয় উপযোগী থাকে না।
ফেস ও টাচ আইডি
মুখের ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ আইফোন আনলক করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায়গুলোর শীর্ষে রয়েছে। এখান ফেস আইডি মূলত উন্নত ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য একটি অনন্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করে। বিষয়টি টাচ আইডির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যেখানে আঙ্গুলের ছাপও প্রতিটি মানুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই কোনোভাবে পিন কোড বা পাসওয়ার্ড যোগাড় করা সম্ভব হলেও এই বায়োমেট্রিক তথ্যগুলোর অভাবে ফোনটি আনলক করা দুষ্কর হয়ে পড়ে।
টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক
অ্যাপলের এই উদ্ভাবনী ব্যবস্থাটি হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া আইফোন খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর। এমনকি অফলাইনে থাকলেও এই ট্র্যাকিং সিস্টেমটি চালু থাকে। অবশ্য এখানে ব্লুটুথ অন থাকার প্রয়োজন হয়। ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক প্রধানত কাছাকাছি থাকা অ্যাপল ডিভাইসের ব্লুটুথ সংকেত ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া আইফোনের অবস্থান চিহ্নিত করে। এই বেনামী ও এন্ক্রিপ্ট করা সংকেতগুলো চোরের অলক্ষ্যেই ফোনের অবস্থানটি আসল মালিককে জানিয়ে দিতে পারে।
দূর থেকে ডেটা মুছে ফেলা
এখানে আগে থেকে আইফোনে ফাইন্ড মাই আইফোন অ্যাপটি চালু বা আইক্লাউডের সঙ্গে ফোনকে লিংক করে রাখতে হয়। এতে করে পরবর্তীতে চুরি হলে ব্যবহারকারীরা দূর থেকেই ডিভাইসে থাকা যাবতীয় সংবেদনশীল তথ্য মুছে ফেলতে পারে। ফলে কোনোভাবে ফোনের নিরাপত্তা বূহ্য ভাঙা সম্ভব হলেও ফোনের আসল মালিকের গোপনীয়তাগুলো প্রকাশিত হয় না। ফোনের ডেটা নিয়মতি আইক্লাউডে ব্যাকআপ রাখা হলে, ডিভাইস পুনরুদ্ধারের পর সেই মুছে ফেলা তথ্যগুলোও ফিরে পাওয়া যেতে পারে।
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (টুএফএ)
পিন কোড বা পাসওয়ার্ডের ওপর নিরাপত্তার অতিরিক্ত স্তর যোগ করে এই টুএফএ সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে অ্যাপল আইডিতে সফলভাবে সাইন ইন করার জন্য ডিভাইসে নিবন্ধিত ফোন নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। ফলে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জেনে যাওয়ার পরেও যাচাইকরণ কোড ছাড়া অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না। এই পদ্ধতিটি আইক্লাউড ও আইটিউন্সসহ অন্যান্য অ্যাপল পরিষেবাগুলোকে অননুমোদিত লগইন থেকে বিরত রাখে।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
সিকিউর ইন্ক্লেভ
বর্তমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি তথ্যচুরির মতো সাইবার অপরাধগুলোতেও ব্যবহৃত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ফলে প্রায় ক্ষেত্রে পেশাদার হ্যাকারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীরা। এই পেশাদার চৌর্যবৃত্তি থেকে সাধারণ আইফোন ব্যবহারকারীকে নিরাপত্তা দিতেই ডিজাইন করা হয়েছে সিকিউর ইন্ক্লেভের। এটি অনেকটা ব্যক্তিগত লকারের মতো কাজ করে, যেখানে সংরক্ষিত থাকে ফেস আইডি, টাচ আইডি এবং অ্যাপল পে-এর মতো বায়োমেট্রিক তথ্যাদি। প্রত্যেকটি গোপনীয় তথ্য এখানে এমনভাবে এন্ক্রিপ্ট করা থাকে যে আপাত অবস্থায় এগুলোকে কোনো পাসকোড বলে মনে হয় না। ফলে হ্যাকিংয়ের জন্য এগুলো খুঁজে বের করাটাই যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অবশ্য এই প্রচেষ্টাটি একেবারে ব্যর্থ হয় না; তবে তাতে অনেক বেশি সময় লাগে। আর এই সময়টি অ্যাপলের ট্র্যাকিং সিস্টেম কাজে লাগিয়ে ফোনের অবস্থান শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট।
পরিশিষ্ট
আইফোন চুরি প্রতিরোধে এই নিরাপত্তা ফিচারগুলো সামগ্রিকভাবে ডিভাইসের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। অ্যাক্টিভেশন লক, টুএফএ, এবং ফেস ও টাচ আইডি আইফোনকে অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করে। অপরদিকে ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক ও রিমোট ডেটা ইরেজ ফোন চুরির পরেও ডেটা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলো ফিচারই আইফোন এক্স ও এর পরবর্তী মডেলগুলোতে পাওয়া যায়। তবে টাচ আইডি আইফোন ৬ থেকে ৮ এবং আইফোন এসই-এর ২য় প্রজন্ম ও তার পরবর্তী মডেলগুলোতে রয়েছে। উপরন্তু, সিকিউর এন্ক্লেভ ফিচারটি রয়েছে আইফোন ৫এসসহ তার পরবর্তী ভার্সনগুলোতে।
রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
১ মাস আগে
অ্যাপলের আইফোন ১৬ সিরিজ উদ্বোধন: নতুন ফিচার ও মূল্য তালিকা
প্রযুক্তি উৎসাহীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর অ্যাপল সাম্রাজ্যে শুরু হলো আইফোন ১৬-এর যুগ। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বেসিকের পাশাপাশি এবারও উন্মোচিত হয়েছে প্লাস, প্রো ও প্রো ম্যাক্স ব্র্যান্ড বিভাজনগুলো। তন্মধ্যে প্রো ও প্রো ম্যাক্সের সজ্জায় দেখা গেছে কালো, সাদা, গোলাপি ও আল্ট্রামেরিন রঙ। বাকি দুটোতে ফুটে রয়েছে কালো, ন্যাচারাল, সাদা ও ডেজার্ট টাইটেনিয়াম। নতুন কি কি ফিচার থাকছে, আর কেমনই বা দাম হতে চলেছে অ্যাপলের আইফোন ১৬ সিরিজের এই নতুন ফোন গুলোর, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আইফোন ১৬ সিরিজের ফিচারগুলো
ডিসপ্লে
নতুন আইফোনে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হলো এর অতিকায় লম্বা স্ক্রিন। এর প্রো ম্যাক্সের স্ক্রিনটি ৬ দশমিক ৯ ইঞ্চির, যা পূর্ববর্তী ১৫ সিরিজের সবচেয়ে বড় স্ক্রিনের (৬ দশমিক ৭-ইঞ্চি) মডেল প্রো ম্যাক্স থেকেও বড়। অবশ্য উভয় সিরিজের স্ক্রিনেই রয়েছে সুপার রেটিনা এক্সডিআর প্যানেল, যা ১২০ হার্ট্জ রিফ্রেশ রেট এবং ২ হাজার নিট্সের সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা দিতে সক্ষম। অর্থাৎ সামগ্রিক অর্থে ডিসপ্লে প্রযুক্তি মূলত একই, নতুনটাতে শুধু আকারটা বেড়েছে।
ক্যামেরা
এবারের প্রো ম্যাক্স ভ্যারিয়েন্টের আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা আগের সিরিজগুলো থেকে অনেকটা এগিয়ে। ল্যান্ডস্কেপ ও ম্যাক্রো শট নেওয়ার ক্ষেত্রে এখানে ক্যামেরার গুণগত মানকে দ্বিগুণ করা হয়েছে। বিগত প্রো ম্যাক্সের ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্সের জায়গায় এবার যুক্ত হয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স। অ্যাপলের ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তির কারণে এর নতুন সেন্সরটি অল্প আলোয় ফটোগ্রাফির জন্য যথেষ্ট উপযোগী।
আরো পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন ছবিটি এআই দিয়ে বানানো কিনা
আগের বছরের প্রো ম্যাক্স-এ ফোর কে রেজুলেশনের ভিডিও নেওয়া যেত সর্বোচ্চ ৬০ এফপিএস (ফ্রেম-পার-সেকেন্ড)-এ। সেখানে এ বছরে উন্মোচিত একই ভ্যারিয়েন্টটি স্ট্যান্ডার্ড ও স্লো-মোশন দুই মোডে ১২০ এফপিএস-এ ফোর কে ভিডিও করতে সক্ষম। এছাড়া অতিরিক্ত যুক্ত হয়েছে ফুটেজ ক্যাপচার করার পর প্লেব্যাকের গতি সামঞ্জস্য করার অপশন।
প্রসেসর
১৫ সিরিজের মতো এবারের ফোনগুলোতেও মূল শক্তি হিসেবে থাকছে ২য় প্রজন্মের ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি। তবে অ্যাপল চিপসেট এ১৭ থেকে উন্নীত করা হয়েছে এ১৮-এ। স্পষ্টত বেসিক মডেলে এ১৮ বেসিক, প্লাস-এ এ১৮ বায়োনিক এবং প্রো ও প্রো ম্যাক্সে দেওয়া হয়েছে এ১৮ প্রো। এগুলোর মধ্যে এ১৮ প্রো ফোনের সিপিইউর (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট)-এর কার্যক্ষমতাকে ১৫ শতাংশ এবং জিপিইউকে (গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট) ২০ শতাংশ দ্রুততর করতে পারে।
নতুন চিপসেটে একটি ১৬-কোর নিউরাল ইঞ্জিনও রয়েছে, যেটি ফোনের বুদ্ধিমত্তাকেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে আগের তুলনায় আরও দক্ষ করে তোলে।
অবশ্য স্মার্টফোনের দৈনন্দিন সাধারণ কাজকর্মে এ১৭ এবং এ১৮-এর সূক্ষ্ম পার্থক্যগুলো তেমন দৃষ্টিগোচর হবে না।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
গেমিং
প্রসেসরের দুই প্রজন্মের মধ্যকার সুক্ষ্ম তারতম্যগুলো খুব ভালোভাবে বোঝা যাবে এএএ তথা হাই প্রোফাইল গেমগুলো খেলার সময়। ‘ডেথ স্ট্র্যান্ডিং’ ও ‘অনার অফ কিংস: ওয়ার্ল্ড’ গেমগুলোর ব্যাপারে নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে নতুন প্রো ম্যাক্সে। কেননা পারফরমেন্স বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন এ১৮ চিপের আরও একটি বিশেষত্ব হচ্ছে অতিরিক্ত ব্যাটারি লাইফ।
তাছাড়া হার্ডওয়্যারভিত্তিক রে ট্রেসিংয়ের দৌলতে গতানুগতিক সফ্টওয়্যারভিত্তিক রে ট্রেসিংয়ের তুলনায় ৫ গুণ পর্যন্ত ফ্রেম রেট পাওয়া যাবে। এর ফলে গেমের ভিজুয়ালে আলোর কারসাজিগুলো আরও নিখুঁতভাবে বোঝা যাবে।
ব্যাটারি
প্লাস ভ্যারিয়েন্ট বাদে বাকি সবগুলোর ব্যাটারি ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাড়ানো (প্রায় ৬ শতাংশ) হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড মডেলের ব্যাটারিতে। যেখানে আগে ছিলো ৩ হাজার ৩৪৯ এমএএইচ (মিলি অ্যাম্পিয়ার পার আওয়ার), সেখানে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৬১ এমএএইচের ব্যাটারি। সবচেয়ে কম (২ দশমিক ৫ শতাংশ) প্রো-তে; ৩ হাজার ২৭৪ থেকে ৩ হাজার ৩৫৫ এমএএইচ। আর প্রো ম্যাক্সে ৪ হাজার ৪২২ এমএএইচ থেকে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে যুক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৭৬ এমএএইচের ব্যাটারি।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
১৫ সিরিজের ফোনগুলো যেখানে সারাদিন ব্যবহারে ২০ ঘণ্টা চলতো, সেখানে ১৬ সিরিজের ভ্যারিয়েন্টগুলো প্রায় ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। ব্যাটারিগুলো কেবল দীর্ঘায়ুর দিক থেকে নয়, দ্রুত চার্জিংয়ের ক্ষেত্রেও বিগত বছরের থেকে অনেকটা এগিয়ে। ঐতিহ্যবাহী ইউএসবি-সি টাইপসমৃদ্ধ নতুন সেটগুলোতে তারযুক্ত চার্জিং ক্ষমতা ২৭ ওয়াট এবং তারবিহীন ১৫ ওয়াট।
সফটওয়্যার ও এআই
আইফোন ১৬-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হলো অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। এর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা চ্যাটজিপিটির সাহায্যে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করতে সক্ষম। অবশ্য এই সুবিধা শুধুমাত্র প্রো এবং প্রো ম্যাক্সের জন্য সংরক্ষিত।
আইওএস (আইফোন অপারেটিং সিস্টেম)-১৮-এর আপডেটসহ এখানে বিভিন্ন ধরনের এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ফিচার রয়েছে। যেমন গুরুত্বপূর্ণ নোটিফিকেশনগুলো ফিডের শীর্ষে রাখা বা বড় নোটিফিকেশনগুলোর সারাংশ দেখানো এবং ছোট নোট বা ই-মেইল লেখা। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে এআই ছবি তৈরি এবং অডিও থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে টেক্সট লেখা। এছাড়া অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারকারীদের জন্য থাকবে নিজস্ব প্রাইভেট ক্লাউড কম্পিউট, যা তাদের যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্যাবলি সুরক্ষিত রাখবে।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
৩ মাস আগে
অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজে নতুন কি থাকছে
ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে বাজারে নিজেদের নতুন ফোন আনতে যাচ্ছে অভিজাত ইলেক্ট্রনিক্স ও সফ্টওয়্যার কোম্পানি অ্যাপল। সে অনুযায়ী আইফোনের নতুন সংস্করণ নিয়ে ইতোমধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে নিয়মিত গ্রাহক ও প্রযুক্তি উৎসাহীদের মধ্যে। পুরনো ঐতিহ্য অনুসারে এবারও বেসিকের পাশাপাশি আকর্ষণের খোরাক যোগাবে প্লাস, প্রো এবং প্রো ম্যাক্স ব্র্যান্ড বিভাজনগুলো। আগামী সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ বাজারে আসার কথা থাকলেও এর আগেই প্রকাশ পেয়ে গেছে ফোনটির বেশ কিছু নতুন ফিচার। চলুন, ব্যাপকভাবে আলোচিত আইফোন ১৬ সিরিজের সেই নতুন ফিচারগুলোর সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অ্যাপল আইফোন ১৬-এর নতুন ফিচারগুলো
ফোনের আকৃতি, ওজন ও ডিসপ্লে
নতুন আইফোনের প্রো ও প্রো ম্যাক্স দুটোরই স্ক্রিন আগের সংস্করণগুলোর তুলনায় বেশ বড় হবে। আইফোন ১৫ প্রো-এর ডিসপ্লে যেখানে ছিল ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি, সেখানে এবারের প্রো-তে ডিসপ্লে থাকবে ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চির। আর প্রো ম্যাক্স-এও আগের ৬ দশমিক ৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে বদলে করা হবে ৬ দশমিক ৯ ইঞ্চি।
২০২০ সালে আইফোন ১২ প্রো ও প্রো ম্যাক্স-এর পর থেকে এই প্রথমবারের মতো আইফোনের স্ক্রিনের আকারে পরিবর্তন আনা হলো। সেই সূত্রে, আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স হতে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সবচেয়ে বড় আইফোন।
আরো পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
এই বড় স্ক্রিনের পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটবে সামগ্রিক ফর্ম ফ্যাক্টরগুলোতে। আকার-আকৃতিগত দিক থেকে আইফোনের প্রো আর প্রো ম্যাক্সের সাথে এর ঠিক আগের সংস্করণের প্রো ও প্রো ম্যাক্সের তুলনা করলে তা স্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। উভয়ের ক্ষেত্রে একমাত্র সাদৃশ্য হলো পুরুত্ব, যেটি ৮ দশমিক ২৫ মিলিমিটার।
টেবিলঃ আইফোন ১৫ ও ১৬ সিরিজের প্রো এবং প্রো ম্যাক্স-এর ফর্ম ফ্যাক্টরগত পরিবর্তন
ফর্ম ফ্যাক্টর
আইফোন ১৬ প্রো
আইফোন ১৫ প্রো
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স
আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স
উচ্চতা (মিলিমিটার)
১৪৯ দশমিক ৬
১৪৬ দশমিক ৬
১৬৩
১৫৯ দশমিক ৯
প্রস্থ (মিলিমিটার)
৭১ দশমিক ৪৫
৭০ দশমিক ৬০
৭৭ দশমিক ৫৮
৭৬ দশমিক ৭০
ওজন (গ্রাম)
১৯৪
১৮৭
২২৫
২২১
ক্যামেরা আপগ্রেড
বর্তমানে বাজারে চলমান আইফোন প্রো ম্যাক্স-এর আকর্ষণীয় ফিচার ৫এক্স জুম টেট্রাপ্রিজম ক্যামেরা আইফোন ১৬ প্রোতেও থাকবে। তবে প্রো ম্যাক্সের ক্ষেত্রে অপটিক্যাল জুম রেঞ্জকে আরও বিস্তৃত করা হতে পারে।
প্রো এবং প্রো ম্যাক্স দুটোরই প্রধান ক্যামেরায় থাকবে নতুন সনি ক্যামেরা সেন্সর। এতে করে স্বল্প আলোতে ছবি তোলার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।
আরো পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
২০২১ সালে আইফোন ১৩ প্রো-এর পর থেকে ক্যামেরার আল্ট্রা-ওয়াইড সেকশনটিতে একদম গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার আইফোন ১৬ প্রো’তে ব্যবহৃত ক্যামেরার রেজুলেশন হবে ৪৮ মেগাপিক্সেল, যা এতদিন পর্যন্ত ১২ মেগাপিক্সেলে সীমাবদ্ধ ছিলো।
দ্রুততর ওয়াই-ফাই এবং ৫জি
পূর্ববর্তী সংস্করণের থাকা ওয়াই-ফাই ৬ই থেকে সরাসরি আপগ্রেড নিয়ে নতুন আইফোনের প্রো মডেল হবে ওয়াই-ফাই ৭ সমর্থিত। ওয়াই-ফাই ৭ প্রযুক্তিতে ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি সর্বোচ্চ ৪০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড)-এরও বেশি, যা ওয়াই-ফাই ৬ই থেকে চারগুণ দ্রুত। ওয়াই-ফাই ৭ সংযোগে অনেকটা কমে আসবে লেটেন্সি, যা স্মার্ট হোম ডিভাইস বিশেষ করে হেডফোনে ভালো পারফরমেন্স পাওয়ার জন্য জরুরি।
অবশ্য এই নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক পেতে ওয়াই-ফাই রাউটারটি অবশ্যই ওয়াই-ফাই ৭ সমর্থিত হতে হবে। আর প্রাথমিক স্তরে এরকম রাউটারের জন্য অতিরিক্ত খরচে বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
এছাড়াও আইফোন ১৬ প্রোর মডেমটি হবে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন এক্স৭৫, যার সাথে রয়েছে ৫জি অ্যাডভান্সড প্রযুক্তি। ফলে এর মাধ্যমে ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড গতি পাওয়া যাবে।
এ১৮ চিপ এবং অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স
নতুন আইফোনের জন্য নতুন প্রসেসর খুব একটা আকর্ষণীয় কিছু নয়। তবে এই বছরের বিষয়টি একটু ভিন্ন, কেননা এবার ফোনের প্রসেসর হিসেবে থাকবে এ১৮ চিপ। এখানে আইফোন ১৫ প্রো-এর মতই ব্যবহার করা হবে ৮ জিবি (গিগাবাইট) র্যাম। তবে সেটা মূল বিষয় নয়, আসল ব্যাপার হচ্ছে এ১৮ চিপটিতে রয়েছে প্রগতিশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য পূর্বাপেক্ষা অধিক সহায়ক পরিবেশ।
এ১৮ প্রো চিপে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রানজিস্টর এবং বিশেষ ইলেক্ট্রনিক উপাদান। এতে করে শক্তিশালী নিউরাল ইঞ্জিন সহ বিল্ট-ইন এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) কম্পিউটিং কোরের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এই টিপটি এ১৭ প্রো-এর মত ৬-কোর জিপিইউ (গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট) ডিজাইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
আরো পড়ুন: ডিপ ফ্রিজ খুঁজছেন? যেসব বিষয় জানা প্রয়োজন
বর্তমানে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ফিচারগুলো শুধুমাত্র আইফোন ১৫ প্রো মডেলগুলোতে আছে। তবে এবার পুরো আইফোন ১৬ সিরিজ এআই সমর্থিত হবে। প্রথম অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স বৈশিষ্ট্যগুলো বর্তমানে আইওএস (আইফোন অপারেটিং সিস্টেম) ১৮ দশমিক ১ এর সঙ্গে বেটা পরীক্ষায় রয়েছে। এগুলো পুরোদমে কার্যকর হতে পারে চলতি বছরের অক্টোবরে।
অ্যাকশন বোতাম
আইফোন ১৫ প্রোর যে ফিচারটি গোটা সিরিজের মধ্যে এটিকে অনন্যতা দিয়েছিল, তা হলো এর অভিনব মিউট সুইচ। এই অ্যাকশন বোতামটি পাওয়া যাবে আসন্ন আইফোনের প্রতিটি মডেলে। অ্যাকশন বোতামটি ক্যামেরা, সাইলেন্ট মোড, শর্টকাট, ফ্ল্যাশলাইট এবং অনুবাদ অ্যাপসহ আরও বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করা যায়। এছাড়া আইওএস-১৮ এর সঙ্গে অ্যাকশন বোতামটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
ক্যাপচার বোতাম
অ্যাকশন বোতাম ছাড়াও আইফোন ১৬-এ ফোনের ডানদিকে থাকবে একটি নতুন ক্যাপচার বোতাম। এই বোতাম ক্যামেরা ওপেন করার একটি দ্রুত উপায় হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া এটি টাচ সেন্সিটিভও হবে। অর্থাৎ এর সাহায্যে জুম ইন-আউট করার জন্য বাম এবং ডানদিকে সোয়াইপ করা যাবে।
আরো পড়ুন: স্মার্ট টিভি খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার ও দাম
ফলশ্রুতিতে, ডিসপ্লেতে ট্যাপ না করেই ছবিকে ফোকাসে আনা সহজ হবে। ছবিকে ফোকাসে আনার জন্য বোতামের পৃষ্ঠে হাল্কা সোয়াইপ করে উল্লম্বভাবে চাপ দিলেই কাঙ্ক্ষিত ছবিটি তোলা হয়ে যাবে।
ছোট ক্যামেরা বাম্প
অ্যাপলের বর্গাকার ক্যামেরা বাম্প ডিজাইনটি চলে আসছে সেই আইফোন ১১ থেকে। এবার এই ক্যামেরা বাম্পে আনা হবে নতুনত্ব। দুটি ক্যামেরার লেন্স তির্যকভাবে না রেখে সাজানো হবে পরস্পরের উপর উল্লম্বভাবে। এতে ক্যামেরার বাম্পের আকার প্রস্থের দিক থেকে অর্ধেক হয়ে যাবে। ফলে আইফোন ৮-এর পর এই প্রথমবারের মতো ক্যামেরার ফ্ল্যাশকে রাখা হবে বাম্পের বাইরে।
এটি মূলত করা হয়েছে যে কোনও স্থানের থ্রিডি ভিডিও শট নেওয়ার জন্য। বর্তমানে আইফোন ১৫ প্রোতে রয়েছে এই সুবিধা। আইফোন ১৬-এর বেসিক ও প্লাস মডেলে থ্রিডি ভিডিও রেকর্ড করা যাবে, যা ভিশন প্রোতে দেখা যাবে।
আরো পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
ব্যাটারি স্থায়িত্ব
পুরনো মডেলগুলো তুলনায় নতুন আইফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা হবে সবচেয়ে বেশি। সম্পূর্ণ নতুনভাবে ডিজাইন করা ব্যাটারি হবে অপেক্ষাকৃত বেশি ঘনত্বের। ব্যাটারির ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণে ছোট আকৃতির ব্যাটারিও দীর্ঘ সময় ধরে ফোনকে ব্যাকআপ দিতে পারবে। জায়গা সঙ্কুলানের এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আইফোন ১৬ প্লাস-এ ব্যবহার করা হবে ছোট ব্যাটারি।
আইফোন ১৬ প্লাস-এর ব্যাটারি হবে ৪ হাজার ৬ এমএএইচ (মিলি অ্যাম্পিয়ার পার আওয়ার)-এর, যা আইফোন ১৫ প্লাস-এর ব্যাটারির তুলনায় ৮ দশমিক ৬ শতাংশ ছোট (৪ হাজার ৩৮৩ এমএএইচ)।
অবশ্য আইফোন ১৬-এর ব্যাটারি (৩ হাজার ৫৬১ এমএএইচ) আইফোন ১৫-এর ব্যাটারির (৩ হাজার ৩৪৯ এমএএইচ) তুলনায় প্রায় প্রায় ৬ শতাংশ বড় হতে পারে।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
উপরন্তু, নতুন সংস্করণে তারযুক্ত চার্জিংয়ের জন্য চার্জিং গতি সীমাবদ্ধ থাকবে ২০ ওয়াট থেকে ৪০ ওয়াটের মধ্যে। সেখানে তারবিহীন চার্জিংয়ের গতি ১৫ ওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ২০ ওয়াট পর্যন্ত উঠতে পারে।
শেষাংশ
আইফোন ১৬ সিরিজের নতুন ফিচারগুলোর মাধ্যমে দুর্দান্ত কিছু পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে আইফোনে, যা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যণীয় হচ্ছে এর আকার। তিন প্রজন্ম পর বর্ধিত স্ক্রিন নিয়ে এবারের সংস্করণটি হতে পারে অ্যাপলের সব থেকে বড় ফোন। ক্যামেরা বাম্প যথেষ্ট ছোট হয়ে আসায় নতুন করে এর সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে নিয়মিত গ্রাহকদের। কেননা একটানা সাত প্রজন্ম পর প্রথমবারের মতো ফ্ল্যাশের জায়গা ক্যামেরা বাম্পের বাইরে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাযুক্ত ফোনের যথেষ্ট বিকল্প থাকায় আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরার আপগ্রেডেশনটা মোবাইল ফটো উৎসাহীদের খুব একটা চমকে দেবে না। তবে অ্যাপেল এআইয়ের সংযোজনটি নিশ্চিতভাবে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে স্মার্টফোন ব্যবহারে।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
৪ মাস আগে
আইফোন ১৪: স্যটেলাইট এসওএস ও উন্নত ক্যামেরায় চমক
অ্যাপলের আইফোন ১৪ তে নতুন একটি সেবা যুক্ত করা হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে স্যাটেলাইট সংযোগ। এর মাধ্যমে জরুরি অবস্থায় মোবাইল ডাটা বা ওয়াইফাই কাজ না করলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জরুরি সেবা ব্যবহার করা যাবে।
স্যাটেলাইটের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে এবং সেই সংযোগ বজায় রাখার জন্য আইফোনের সর্বশেষ মডেলটি কোন অবস্থায় ধরে রাখতে হবে তার নির্দেশনা দেবে।
নতুন এই সেবাটি দুই বছর বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। তবে আপাতত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শুরু হবে নভেম্বরে।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্মার্টফোনে ছবি তোলার সময় একটি বড় সমস্যা হল কম আলো। নতুন আইফোনে ফটোনিক ইঞ্জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ফোনটির প্রধান ক্যামেরা ছবি তোলার সময় আগের চেয়ে ৪৯ শতাংশ বেশি আলো ধারণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: নতুন আইফোনে যে তিনটি পুরানো ফিচার মিলবে না
সিনেটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আইফোনের নতুন মডেলগুলোতে নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সেলফি ক্যামেরাতেও একইভাবে কাজ করবে। প্রধান ক্যামেরার ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্সে থাকছে এফ১/৫ অ্যাপারচার। যার জন্য এই লেন্স দিয়ে অধিক পরিমাণে আলো প্রবেশ করতে পারবে।
অ্যাপলের বার্ষিক পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠান বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক প্রযুক্তি ক্যালেন্ডারে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এই ক্যামেরা প্রযুক্তি। এবারের পরিবর্তনের কথা বলতে গেলে বড় পরিবর্তন এই ক্যামেরাতেই।
এ বছর একজন ব্যবহারকারী প্রফেসরে খুব একটা পরিবর্তন না দেখতে পেলেও ছবি তোলার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। বিশেষ করে টেলিফটো ও আল্ট্রাওয়াইড ছবি তোলায় থাকবে বিস্তর পার্থক্য।
অনুষ্ঠানে আইফোন ১৪ ও আইফোন ১৪ প্লাস দেখানো হয়েছে। তবে এবার কোনো ‘মিনি’ ভার্সন থাকছে না। পাশাপাশি এয়ারপডস প্রো’র একটি নতুন ভার্সন ও অ্যাপল ওয়াচের সিরিজ ৮ দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবছর নতুন ৫ আইফোন আনবে অ্যাপল
এক নজরে
বড় সেন্সরসহ নতুন প্রযুক্তির ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
দ্রুতগতির এফ১/৫ অ্যাপারচার, সাথে সেন্সর-শিফট ওআইএস।
কম আলোয় ৪৯ শতাংশ উন্নত ছবি।
সামনের ক্যামেরায় অটোফোকাস।
ভিডিওর জন্য নতুন অ্যাকশন মোড।
মার্কিন সংস্করণে থাকছে না সিম ট্রে।
ক্র্যাশ ডিটেকশন।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এমারজেন্সি এওএস সুবিধা।
আরও পড়ুন: অ্যাপল ছেড়ে যাচ্ছেন আইফোনের ডিজাইনার জনি আইভ
২ বছর আগে
নতুন আইফোনে যে তিনটি পুরানো ফিচার মিলবে না
সবশেষ প্রযুক্তির আইফোন ১২ বাজারের আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। নতুন আইফোনের জন্য আবারও একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে প্রযুক্তি প্রেমীদের। ক্যামেরার গুণমান ও প্রসেসিং গতি উন্নয়ন প্রচেষ্টা সবসময়ই প্রশংসা করার মতো। তবে, বছরের পর বছর ধরে চলে আসা কিছু ফিচারের কথা বরাবরই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি, আরও বেশি ব্যবহারকারী-বান্ধব ফিচারের অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে কাজ করাই অ্যাপলের লক্ষ্য। তারপরও আমরা আইফোন নিয়ে আলোচনা করতে চাই এবং বাজারে আসা আগের আইফোনগুলোর কিছু পুরানো ফিচারের বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
৪ বছর আগে
নতুন স্মার্টওয়াচ, আইপ্যাড আনল অ্যাপল
মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মঙ্গলবার অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৬, অ্যাপল ওয়াচ এসই, দুটি নতুন মডেলের আইপ্যাড এবং অ্যাপল ওয়ান সাবস্ক্রিপশনের পরিকল্পনা উদ্বোধন করেছে।
৪ বছর আগে
শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তি দূর করতে সফটওয়্যার আনছে অ্যাপল
বর্তমানে সময়ের অন্যতম বড় সমস্যা হল শিশুদের স্মার্টফোনের আসক্তি। এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবও মারাত্মক। তাই শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তি মোকাবিলার জন্য নতুন সফটওয়্যার আনতে যাচ্ছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল।
৪ বছর আগে
২০১৯ সালে বিশ্বের অন্যতম সেরা ১০ উদ্ভাবনী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
আর্থিক খাতে অবদান রাখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে অল্প দিনেই হারিয়ে যাচ্ছে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান, আবার অক্লান্ত পরিশ্রম আর নতুন নতুন উদ্ভাবনী পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে অনেকে। প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করাচ্ছেন ব্রান্ড হিসেবে।
৪ বছর আগে