এমজিএম হেলথ কেয়ার হাসপাতাল মেডিকেল এক বুলেটিনে জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ৪ মিনিটে (ভারতীয় সময়) শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে এসপিবি নামে পরিচিত বালাসুব্রাহ্মণ্যমের মৃত্যু হয়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পরে প্রায় দুই মাস হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন খ্যাতিমান এ গায়ক।
চেন্নাইয়ে তার ছেলে এসপি চরণ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এসপিবি সকলের কাছেই পরিচিত। তিনি তার গানের মধ্যেই বেঁচে থাকবেন।’
তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
অস্কারজয়ী গায়ক-সুরকার এ আর রহমান এক টুইটে লিখেছেন, ‘বিধ্বস্ত’।
বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমার এক টুইট বার্তায় বলেছেন, বালাসুব্রাহ্মণ্যমের প্রয়াণের খবর শুনে গভীরভাবে শোকাহত। কয়েক মাস আগে এ লকডাউনে একটি ভার্চুয়াল কনসার্ট চলাকালীন তার সাথে আমার কথা হয়েছিল। তিনি বলিষ্ঠ, হৃদয়বান ও স্বভাবজাত কিংবদন্তি বলে আমার মনে হয়েছে। জীবন সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও প্রার্থনা রইলো।
এছাড়াও বলিউডের নাইটিঙ্গেল লতা মুঙ্গেশকার, অভিনেত্রী হেমা মালিনী এবং ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেভ গৌড় শোক জানিয়েছেন।
১৯৪৬ সালে জন্ম নেয়া এসপিবি প্রায় অর্ধশতক আগে দক্ষিণ ভারতে তামিল ও তেলুগু সিনেমায় প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি বলিউডে পাড়ি জমান। দক্ষিণাঞ্চলীয় উচ্চারণ নিয়েও তিনি বলিউডে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
এক সাক্ষাত্কারে বালাসুব্রাহ্মণ্যম বলেছিলেন, ‘আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলাম। পরে সংগীত আমার জীবনের গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়েছে।’
সংগীতে কৃতিত্বের জন্য ২০০১ ও ২০১১ সালে ভারতের সবচেয়ে বড় বেসামরিক সম্মাননা যথাক্রমে পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ খেতাব পান এসপিবি।