এরপর ‘ব্লাক ডায়মন্ড’এর মতো আরও অনেক সিনেমায় অভিনয় করে হয়েছেন সফল নায়ক। শুধু অভিনয়ে নয়, সিনেমার প্রযোজক হিসেবেও তিনি সফল। যদিও টেলিভিশনে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। তবে এ সব কিছু ছাপিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন ঘটনার কারণে তিনি সমালোচিত হয়েছেন।
এবার ডাইনোসরের ফসিল কিনতে চেয়ে ঝামেলা পড়েছেন কোটিপতি এই হলিউড স্টার। এমন কী ডাইনোসর কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করায় তার ওপরে ভীষণ চটেছেন বিজ্ঞানীরা। খবর ‘এবেলা’
সম্প্রতি লিওনার্দো ১৫০ মিলিয়ন বছরের পুরনো অ্যালোসরাসের কঙ্কাল কিনতে চান বলে জানান। এই কঙ্কালটির বিশেষত্ব হলো এটি এক সঙ্গে ডাইনো মা ও শিশুর কঙ্কাল। তাই প্রত্নতাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিকদের কাছে এর গুরুত্বও অনেক। সেই গুরত্বের কথা মাথায় রেখেই বিজ্ঞানীরা প্রশ্ন তুলেছেন, শুধুমাত্র পয়সা থাকলেই কি ডাইনোসরের কঙ্কাল কেনা যায়?
ডাইনোসরের কঙ্কালের প্রতি একটা বিশেষ টান রয়েছে লিওনার্দোর। ২০০৭ সালে এক নিলাম থেকে ৬৭ মিলিয়ন বছরের পুরনো টিরানোসরাসের খুলির একটি ফসিল ২৭৬,০০০ মার্কিন ডলারে কেনেন তিনি। ভারতীয় অর্থমূল্যে যা এক কোটি ৯৭ লাখ টাকারও কিছু বেশি। এই নিলামে তার সঙ্গে আর এক হলিউড হিরো নিকোলাস কেজের রীতিমতো লড়াই হয় বিডিং নিয়ে। পরে জানা যায়, এই খুলিটি চোরাই।
হলিউড স্টারদের পয়সার শেষ নেই। তাই বলে ডাইনোসরের জীবাশ্মের মতো দুষ্প্রাপ্য এবং বৈজ্ঞানিক প্রয়োজনে সংরক্ষণযোগ্য বস্তুকে নিজেদের ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখাটা কতটা নৈতিক? এই প্রশ্ন তুলছেন বিজ্ঞানীরা। এই সব ‘বড়লোকের’ দাপটে বিশ্বজুড়ে ফসিলের চোরাই ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে বলে দাবি তুলছেন অনেকেই।
সোসাইটি ফর ভার্টেব্রেট প্যালিওন্টোলজির তরফে প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, ডাইনোসর বা প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর ফসিল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। ফসিল উদ্ধারে বিপুল শ্রম জড়িত থাকে বিশেষভাবে। সে কারণে এর মূল্য নিলামে নির্ধারিত হতে পারে না। পয়সা থাকলেই সব কিছু হাতে পাওয়া যায় না, এটা এসব মানুষের বোঝা উচিত।