জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে সরকারি অনুদানে নির্মিত প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’-এর ‘একটা আঙুল’ শিরোনামের গানটি মাইক সিনেমার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
তরুণ লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল বিপুল।
আরও পড়ুন: দুই বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’
‘একটা আঙুল’ শিরোনামের গানটি ৭ মার্চ, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর একটি তর্জনীকে নিয়ে করা হয়েছে। গানটি মঙ্গলবার ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও গুলিস্তান ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বুধবার ৮ই মার্চ মুক্তি দেয়ার কথা জানিয়েছে চলচ্চিত্র নির্মাতা এফ এম শাহীন।
গানের গীতিকার আশীষ ভট্টাচার্য্য ও এফ এম শাহীন, সুর করেছেন আশীষ ভট্টাচার্য্য এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন লাবিক কামাল গৌরব।
গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লাবিক কামাল গৌরব, রিয়াজুল করিম লিমন, আশীষ ভট্টাচার্য্য, ফারশিদ আলম, মেহবুবা মিনহাজ ও তাসমীম আনছারী হৃদি।
মাইক চলচ্চিত্রটির পরিচালক ও প্রযোজক এফ এম শাহীন বলেন, ২০২২ সালের ৭ই মার্চ আমরা মাইক সিনেমার শুটিং লক্ষ্মীপুরে শুরু করি এবং ২০২৩ সালের এমন সময়ে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শেষ করে মাইক টিম। কিন্তু আপনারা জানেন ৮ ফেব্রুয়ারি মাইক সিনেমার কালার করা সর্বশেষ এডিটেড ফুটেজ চুরি হয়।
যার কারণে এই মাসে মুক্তি দেয়া ভীষণ চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। আমরা খুব দ্রুত সময়ে মুক্তির ঘোষণা দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র আমাদের অনুভূতি ও স্বপ্নের দুনিয়ায় সরাসরি প্রবেশ করতে পারে, তাই এই শক্তিশালী মাধ্যমকে আমি শিশুদের মনোবিকাশে ব্যবহার করতে চাই। তারই ধারাবাহিকতায় শিশুদের নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাইক’ নির্মাণ করা।
বাংলাদেশে চলচ্চিত্রে যে সংকট তৈরি হয়েছে সেখানে ‘মাইক’ আশার আলো দেখাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে ‘মাইক’ শুধু তার প্রথম সিনেমা নয়, বরং বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র হতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
চলচ্চিত্র জগতে প্রথম হলেও সংগঠক, গণমাধ্যম কর্মী ও তরুণ লেখক হিসেবে প্রজন্মের কাছে পরিচিত মুখ এফ এম শাহীন।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে মোট ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তিনটি, শিশুতোষ দুটি ও সাধারণ শাখায় ১৫টিসহ ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।