মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ২০১৫ সাল থেকে ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’-এর আয়োজন করে আসছে ছায়ানট। তবে করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর এই আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার সেই ধারাবাহিকতা ঠিক থাকছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় আবারও আয়োজিত হচ্ছে সমস্বরে, দৃপ্তকণ্ঠে গাইবার-বলবার এই ব্যতিক্রমী আয়োজন।
‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ এর এবারের আয়োজন উপলক্ষে গতকাল (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা, কোষাধ্যক্ষ নাসেহুন আমীন ও যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত রায়। আয়োজনটি প্রসঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরেন তারা।
আরও পড়ুন: তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রচারে একসঙ্গে ইউনেস্কো-সিসিমপুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাঠে বিজয় দিবসে বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ আয়োজনের সূচনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান ও ছায়ানটের সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল।
অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে দীপ্ত টেলিভিশন। এবারের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নৃত্যসহ ৯টি সম্মেলক গান, দুটি একক গান (বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে) ও দুটি পাঠ নিয়ে। শামসুর রাহমানের স্বাধীনতা তুমি ও আবু হেনা মোস্তফা কামালের ছবি কবিতা আবৃত্তি করবেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
একক গান গাইছেন নাসিমা শাহিন ফ্যান্সি ও সুমন মজুমদার। দেশগানগুলো বেছে নেয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাস, গোবিন্দ হালদার, আবদুল লতিফ, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, মোহাম্মদ মোশাদ আলী, মীরা দেববর্মণ ও শাহ আবদুল করিমের রচনা থেকে।
নৃত্য পরিবেশিত হবে- আজ বাংলাদেশের হৃদয় হতে, এখন আর দেরি নয়, চল্ চল্ চল্, সঙ্ঘ শরণ তীর্থযাত্রা, বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ বাংলার খ্রিষ্টান বাংলার মুসলমান, সামাল সামাল সামাল ওরে সামলে তরী বাইয়ো, বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙ্গালির জয়, আমি টাকডুম টাকডুম বাজাই,লাখো লাখো
ছায়ানটের শিল্পী-শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে এবারের আয়োজনে যুক্ত আছে–থার্টিন হুসার্স ওপেন স্কাউট গ্রুপ, অরণী বিদ্যালয়, আজিমপুর গার্লস হাইস্কুল, আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ, একাডেমিয়া, ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, নালন্দা বিদ্যালয়, সাউথ ব্রিজ স্কুল, সানবীমস, সানিডেল ও ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
মিলিত কণ্ঠে দেশের গান গাইতে আগত সর্বসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠের দোয়েল চত্বর সংলগ্ন সুইমিং পুল গেট।
আরও পড়ুন: প্রাণের শহরকে মাতাল ১৬ ব্যান্ড