প্রজেক্টটি গত বছর আয়োজিত তৃতীয় ঢাকা ডকল্যাবে প্রথম পুরস্কার জয় করে নেয়। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন রফিকুল আনোয়ার রাসেল। সহ-পরিচালনায় ছিলেন সুজন ভট্টাচার্য।
ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এ প্রামাণ্যচিত্রের সম্প্রচার ও মিডিয়া পার্টনার।
প্রামাণ্যচিত্রটির আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ইউএনবির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে এক ভার্চুয়াল প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইউএনবির সিনিয়র করসপন্ডেন্ট মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক ও সারা যাকের এবং প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক রাসেল।
সারা যাকের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা উদ্বাস্তু হওয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের সার্বিক সংকটটি আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ও পরিচিত। তরুণ ও স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের তাদের প্রতিভা দেখাতে উৎসাহিত করছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং আমরা বিশ্বাস করি ইতিহাস সংরক্ষণে সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো চলচ্চিত্র, যেমন এ প্রজেক্টটি।’
মফিদুল হক বলেন, যখন উদ্বাস্তুদের জন্য অনেক দেশ তাদের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামার তৃতীয় বার্ষিকীর সময়ে মুক্তি পাওয়া এ প্রামাণ্যচিত্রটি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের পেছনের গল্প হিসেবে পরিচালক রাসেল জানান, সহ-পরিচালক সুজন একটি এনজিও’র হয়ে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ৪ নম্বর শিবিরে কাজ করতেন। সেখানেই তিনি প্রথম কৌতূহলোদ্দীপক চরিত্রের ম্যান্ডোলিনবাদক মোহাম্মদ হোসেনের দেখা পান।
রাসেল বলেন, নিজ দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা শেষ মুহূর্তে যা পেরেছেন তাই নিয়ে চলে আসেন। মোহাম্মদ হোসেন শুধুমাত্র সাথে নিয়ে এসেছিলেন তার প্রিয় ম্যান্ডোলিনটি। তার গল্পের চিত্রনাট্যটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সপ্তম লিবারেশন ডকফেস্টে প্রথম পুরস্কার পায়। সেই সাথে তারা বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ও ঢাকা ডকল্যাব থেকে তহবিল পান।
প্রামাণ্যচিত্রটি এখন ইউএনবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেখা যাচ্ছে।