অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ইজারাদাররা গত দেড় মাস ধরে ১০ টাকার পরিবর্তে মাথাপিছু ৩০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছেন। আর এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া আদায়কারীদের কথা কাটাকাটিসহ নানান সমস্যা হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে ইউএনবির এই প্রতিনিধি জানতে পারেন, সড়ক পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে যাতায়াতের জন্য হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ রাস্তাটি ব্যবহার করে। তাছাড়াও উপজেলার উত্তরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এ খেয়াঘাট দিয়ে নবীনগর উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। কিন্তু খেয়াঘাটের ইজারাদারদের লোকজন যাত্রীদের কাছ থেকে প্রথমে জনপ্রতি পাঁচ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা ভাড়া নিতে শুরু করে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকে এখন ১০ টাকার ভাড়া মাথাপিছু ৩০ টাকা করে আদায় করছেন। পাশাপাশি মোটরসাইকেল পারাপারে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নবীনগর সদরে প্রশাসনের চোখের সামনে দীর্ঘদিন ধরে এমন জুলুম অত্যাচার চললেও, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবরই রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকায় রয়েছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাবিবুর রহমান অতিরিক্ত ভাড়া আাদায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছোট্ট একটা নদী একবার পারাপারে একজনের ৩০ টাকা ভাড়া গুনতে হলে আসা যাওয়ায় তার খরচ হয় ৬০ টাকা। এ অভাবের দিনে একজন মানুষ কতই বা আয় করেন। এসব কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝি বলেন, ‘অনেক টাহা (টাকা) দিয়া ঘাট ডাইকা আনছি। ভাইরাসের কারণে মাঝে মাঝেই ঘাট বন্ধ থাকে। সেইডা উশুল করার লাইগা ৩০ টাহা কইরা ভাড়া তুলি।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘নৌঘাটে মাশুল তালিকা টাঙানো আছে। এরপরেও কেউ বেশি ভাড়া নিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’