সরেজমিনে আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর চরে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় কৃষকদের। চর থেকে মুলা সংগ্রহের পর পরিষ্কার করে আটি বাঁধছেন তারা। জমির পাশে অপেক্ষা করেন পাইকাররা। মুলা সংগ্রহ ও পরিষ্কারের পরেই গাড়িতে তোলা হয়। গোমতী চরের মুলা কুমিল্লা জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানী শহর ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও।
বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের কৃষক আবুল কালাম। গোমতী চরে তিনি ৪০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছেন। বীজ সার, কীটনাশক ও কৃষি মজুরি মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এখন সেই মুলা বিক্রি করেছেন ৭৫ হাজার টাকায়। সব খরচ বাদ দিয়ে মাত্র এক মাসেই তার মুনাফা হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। আর এজন্যই তৃপ্তির হাসি লেগেছে সবজি চাষী আবুল কালামের মুখে।
এই মুলা কিনেছেন চট্টগ্রামের সবজি ব্যবসায়ী আরাফাত মৃধা। তিনি জানান, ৭০ হাজার টাকার মুলার সাথে পরিবহন খরচ হবে আরো ১০ হাজার টাকা। এই মুলা বিক্রি তিনি করবেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়। চট্টগ্রামের মুলার চাহিদা বেশি।
তবে সম্প্রতি মুলা খেতে কেঁচোর উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেক কৃষক।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘কৃষকদের যেকোনো সমস্যায় সহায়তার জন্য কৃষি কর্মকর্তারা প্রস্তুত আছেন।’