অক্টোরর থেকে নির্মাণ মৌসুম শুরু হয়েছে। এ সময় ব্যবসার করার জন্য মুখিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। অথচ কয়লার দামের বৃদ্ধির কারণে খুলনাঞ্চলের ইটভাটার ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এক কথা বলা চলে বন্ধই রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মৌসুমের শুরুতে ইট তৈরির জ্বালানি কয়লার দাম দ্বিগুণেরও বেশি থাকায় গত ১৫ দিন ধরে খুলনাঞ্চলের দুই শতাধিক ইটের ভাটা বন্ধ রয়েছে। ফলে খুলনায় স্থবির হয়ে পড়েছে নির্মাণ খাত।
সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, কয়লার দাম দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইটভাটা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালী গণপূর্তের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মানুষের বসবাস
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,গত বছর এক টন কয়লার মূল্য ছিল আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা। সেই কয়লার দাম বেড়ে এখন ২২ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলে অতিরিক্ত মূল্যে কয়লা কিনলে লোকসান দিতে হবে ইটভাটা মালিকদের। সে কারণে তারা ইটের ভাটা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
খুলনা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও ডুমুরিয়ার বাহার ব্রিক্সের মালিক আব্দুল হাই বাহার বলেন, ‘কিছুদিন আগেও এক টন কয়লার দাম ছিল আট হাজার টাকা। বর্তমানে সেই কয়লার দাম বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার টাকা। এত টাকা দিয়ে কয়লা কিনে ইটভাটা চালাতে গেলে লোকসানে পড়তে হবে। ফলে ডুমুরিয়া উপজেলার ৩১টি ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ভাটায় এক হাজার ইট বিক্রি করতে হচ্ছে ১০ হাজার টাকায়। সেই ইট খুলনা শহরে পৌঁছাতে আরও দেড় হাজার টাকা খরচ পড়ছে। ফলে এক হাজার ইট কিনতে গ্রাহকের খরচ পড়ছে সাড়ে ১১ হাজার টাকা।’
খুলনা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুস সাত্তার জানান, গত বছর ইন্দোনেশিয়ার যে কয়লা যশোরের নওয়াপাড়ার বাজারে টন প্রতি ৮-৯হাজার টাকা ছিল সেই কয়লা এখন ২১ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পুরাতন কয়লা টন প্রতি ১৮ হাজার টাকা থেকে ১৯ হাজার টাকা দরে কিনতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘ফকির মিসকিনও এই গ্রামোত আসপের চায় না’
তিনি জানান, এক হাজার ভালো ইট পোড়াতে খরচ পড়ে ১৪ হাজার টাকা। ফলে লোকসান দিয়ে ইটের ব্যবসা করা সম্ভব নয়। এছাড়া লোকসানের আশঙ্কায় গত ১৫ দিন ধরে খুলনা জেলার প্রায় ২০০ ইট ভাটা মালিক তাদের ভাটা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বাজারে এখন ইটের সংকট দেখা দিয়েছে।