এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে স্থায়ীভাবে শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার ইউএনবিকে জানান, এবার হরিসভা রোডে শহররক্ষা বাঁধের প্রায় একশ মিটার এলাকায় আকস্মিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ভাঙন রোধে বুধবার পর্যন্ত বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোতে বালিভর্তি প্রায় দেড় হাজার জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে।
এছাড়া শহররক্ষা বাঁধের মোলহেড পর্যটন এলাকাও বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে সেখানে চার হাজার বালিভর্তি ব্যাগ প্রস্তুত রাখার কথাও জানান তিনি।
বাবুল আখতার বলেন, ‘পুরো চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধটি ৩৩৬০ মিটার। এরমধ্যে ১২৫০ মিটার বাঁধ নতুনবাজারে। নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়েছে এ বাঁধ মেরামতে। আজও চাঁদপুর শহর রক্ষার জন্য স্থায়ী কোনো বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।’
‘ছয় মাস আগে শহররক্ষা বাঁধের জন্য জরিপ করে ৪৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা করতে হবে জানিয়ে তা ফেরত পাঠানো হয়েছ,’ বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরও বর্ষা মৌসুমে শহররক্ষা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গুগুলোতে আকস্মিক ভাঙ্গন দেখা দিলে তা বালিভর্তি ব্যাগ দিয়ে মেরামত করা হয়।