তাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় ১২ কেজির ওজনের একটি সিলিন্ডারের দাম ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা বাড়িয়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ১৫০ টাকা দামে। গত মাসের শেষের দিকে যা কেনা যেত ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায়।
দাম বাড়ানোর পেছনে বিভিন্ন কোম্পানির হাত রয়েছে জানিয়ে ওইসব এলাকার খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সিলিন্ডার। একারণে বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িতে রান্নার কাজের গ্যাস কিনতে বাজারে এসেছিলেন চাপড়া সরমজামী ইউনিয়নের লতিফ চাপড়া গ্রামের আতিকুর রহমান। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ১২ কেজির একটি সিলিন্ডার কিনলাম এক হাজার ৮০ টাকা দিয়ে। যা আগে কিনেছিলাম ৯০০ টাকায়। আজকে ১৮০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হলো।
জেলা শহরের মড়াল সংঘ মোড়ের চা বিক্রেতা সুলতান ইসলাম বলেন, ‘দোকানে জ্বালানির কাজে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করি। গ্যাস শেষ হওয়ায় কিনতে গিয়ে দেখি দাম বেড়েছে। যে গ্যাস আগে ৯০০ টাকায় কিনেছিলাম তা কিনলাম এক হাজার ১০০ টাকায়। এখন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভ কম হবে।’
বসুন্ধরা ও যুমনা এলপিজি গ্যাসের পরিবেশক মেসার্স সামী ইলেকট্রনিক্সের মালিক আখতার হোসেন স্বপন বলেন, বছরের শুরুতে বিভিন্ন কোম্পানি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বাড়ায় বাড়তি দামে উত্তোলন করতে হচ্ছে আমাদের। দাম বাড়ার বিষয়টি কোম্পানি থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। তাই বেশি দামে সরবরাহ করতে হচ্ছে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম বলেন, এলপিজি গ্যাস বাজারে বিক্রির নির্ধারিত মূল্য আছে। বর্তমানে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।