ভোগান্তি
লালমনিরহাটে সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ২০ হাজার মানুষ
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মহিষতুলি মালদাহা নদীতে সেতু না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।
নদীটি পারাপারে নৌকা ব্যবহার করতে হয় স্থানীয়দের। সেতু না থাকায় শিক্ষার্থীসহ ৩ ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে মালদাহা নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের।
প্রতিয়িত ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হচ্ছেন স্কুল-কলেজ, মাদরাসার কয়েক শত শিক্ষার্থী, ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও।
এলাকাবাসীরা জানান, গত কয়েক বছরে একাধিকবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলীরা এসে মাপযোগ ও মাটি পরীক্ষার কাজ করলেও বাস্তবে কোনো ফল পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা।
তারা দাবি জানান, মহিষতুলির মালদাহা নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে চলাচলে সুবিধার পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলে চাহিদা বাড়ছে নোনা ইলিশের
স্থানীয় বাসিন্দা মুরাদ মিয়া বলেন, ‘সেতু না থাকায় আমরা ব্যাপক ভোগান্তিতে আছি। আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মহিষতুলি, ফলিমারী, দুলালী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর, উত্তর গোবধা, শঠিবাড়ী এবং পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচি এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিয়মিত চলাচল করেন।’
তিনি আরও বলেন, সেতু না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়, তাই তারা ন্যায্য মূল্য পান না। শিক্ষার্থীসহ এই পথে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সেতু নির্মাণ হলে চলাচলে দুর্ভোগ কমার পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে লক্ষাধিক মেট্রিক টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রত্যাশা
নওগাঁ থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে নওগাঁয় বাস-অটোরিকশা শ্রমিক-মালিকদের দ্বন্দ্বের জেরে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে বাস ও অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকরা। এতে নওগাঁ ঢাকা-রাজশাহীসহ আন্তঃজেলা ও জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: মালিক সমিতির দ্বন্দ্ব: ১৩ দিন সিলেট-ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
নওগাঁ জেলা বাসমালিক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি আইন অনুযায়ী মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ। প্রশাসন, বাসমালিক ও মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও অটোরিকশা চালকেরা নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে জোর করে গাড়ি চালিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, এ নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের পর প্রশাসনের মধ্যস্ততায় দুই পক্ষের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল করবে না। কিন্তু সিএনজি চালকেরা এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে চলছে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিএনজি চালানোয় বাসশ্রমিকেরা বাধা দিলে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে মান্দার ফেরিঘাট এলাকায় সিএনজি শ্রমিকেরা বাস শ্রমিকদের মারধর করেন।
তিনি বলেন, ওই ঘটনার জেরে গতকাল সন্ধ্যায় নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ডে আরেক দফা উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য শান্ত নামে এক শ্রমিক আহত হয়েছেন। এই ঘটনার বিচার দাবিতে বাসের চালক ও সহকারীরা আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশিক হোসেন বলেন, বাচ্চু সরদার নামে আমাদের একজন সিএনজি চালককে সোমবার বিকেল ৩টার দিকে মান্দার ফেরিঘাটে বাস মালিক সমিতির লাঠিয়াল বাহিনীর লোকজন মারধর করেছে। বাস শ্রমিকেরা তিনটি সিএনজিও ভাঙচুর করেছে। এ রকম ঘটনা প্রতিনিয়িতই ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, বাসের লোকজন প্রতিদিনই আমাদের রাস্তায় সিএনজি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করছে, যা অন্যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা আশানুরূপ সহযোগিতা পাচ্ছি না। যার কারণে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। এর সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা সিএনজি চালবো না এবং বাসও চলাচল করতে দিবো না।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, নওগাঁয় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। দ্বন্দ্বের জেরে প্রায় প্রায় ধর্মঘটের ডাক দেন বাস-মালিক-শ্রমিকেরা। গতকাল বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনার জেরে আজ সকাল থেকে উভয়পক্ষ যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন বিবদমান উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: পরিবহন শ্রমিকদের বিরোধের জেরে নাটোর-রাজশাহী রুটে উভয় জেলার বাস চলাচল বন্ধ
বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে খুলনায় ২ দিন বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা
লালমনিরহাটে সেতু থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ
লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৬৯ লাখ টাকার সেতু আছে, কিন্তু নেই সংযোগ সড়ক। সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো বেয়ে।
সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচলের ভোগান্তিতে পড়েছেন ৫ গ্রামের হাজারও মানুষ। সেতুর নির্মাণ মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ মাস পেরিয়ে গেলেও হয়নি সড়ক।
লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা ছড়ার উপর নির্মিত ওই সেতুটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের বছর পার হয়ে গেলেও দু’পাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্মাণাধীন সেতুর মাটি ধসে ৩ জনের মৃত্যু, আহত ৪
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা ছড়ার (বিল) উপর ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থ একটি ব্রিজ নির্মাণের বরাদ্দ দেয়।
সেতুটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শেষ হয়। ওই মাসেই সেতুটি হস্তান্তর করার চুক্তি ছিল ঠিকাদারের সঙ্গে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি এখনো হস্তান্তর করেননি ঠিকাদার লিটন ইসলাম। কিন্তু ঠিকাদারকে ৮০ শতাংশ বিল দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কালুরঘাট সেতু
নাটোর শহরে অব্যাহত ভারী বর্ষণে অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
অব্যাহত ভারী বর্ষণে নাটোর শহরের অধিকাংশ এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের ব্যস্ততম কানাইখালী, নিচাবাজার, চৌকিরপাড়, কালুর মোড়, আলাইপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। বিপণিবিতান,বাজার, আবাসিক এলাকাসহ সব স্থানে থৈ থৈ করছে পানি।
বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সব শ্রেণি পেশার মানুষ। এক পর্যায়ে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী শহরের কালুর মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। সন্ধ্যায় পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মলয় কুমার পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: বর্ষা এলেই জলাবদ্ধতায় নাজেহাল রাজধানীবাসী
পরে এলাকাবাসী নিজেরাই ভরাট হয়ে যাওয়া খাল সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন। পৌর এলাকার ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনা ও খালগুলো দখল করে স্থাপনা তৈরি করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আজকের (বৃহস্পতিবার) মতো ভারী বৃষ্টিপাত না হলে আগামীকাল স্কেভেটর দিয়ে দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খাল ও ড্রেনগুলো সংস্কার করে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি হলেই শান্তিগঞ্জের বাজারে জলাবদ্ধতা
ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
একদিনের বর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুটি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণে হলে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন তারা।
হল দুটি হলো- নিউমার্কেট এলাকার আজিমপুর কবরস্থানের কাছে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল।
এদিকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ওই হলের শিক্ষার্থীরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
এই দুই হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- শুক্রবার ভোর থেকে হলগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
কুয়েত মৈত্রী হলের নিচতলার কয়েকটি কক্ষে পানি জমে আছে। এদিকে এ ঘটনায় নিচতলার শিক্ষার্থীদের উপরের তলায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে কুয়েত মৈত্রী হলের একটি দোকানে ফ্রিজ বিস্ফোরিত হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খাওয়ার পানির সংকটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্র লাবন্ন তাসফি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে পড়ব কখনো কল্পনাও করিনি। গত ১২ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই, খাওয়ার পানি নেই, শৌচাগারেও পানি নেই।
তিনি আরও বলেন, আজ আবার বৃষ্টি হলে কী অবস্থা হবে জানি না। তবে বৃষ্টি থামার পর থেকে পানির স্তর একই রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ওয়াসা থেকে পানির গাড়ি ভাড়া করে এবং ক্যান্টিনে খাবার রান্না করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেত, জহুরুল হক হল প্রাঙ্গণ, সলিমুল্লাহ হল প্রাঙ্গণ ও সীমান্ত সড়ক, শামসুন্নাহার হলের কিছু অংশসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নাজমুন নাহার বলেন, আমরা ও আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট পাচ্ছি। যেহেতু আমাদের নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকছে না তাই আমরা পানীয় জল পাম্প করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে আমাদের কাছে যে পানীয় জল রয়েছে তা শিগগিরই শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা ওয়াসার সঙ্গে কথা বলেছি- তারা আমাদের পানি সরবরাহ করবেন।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। ওই এলাকা থেকে পানি সরাতে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের তিনটি দল।
তিনি আরও বলেন, সাময়িকভাবে আমরা ওয়াসা থেকে পানির ব্যবস্থাপনা করছি।
আরও পড়ুন: বরিশালে অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
কুড়িগ্রামে পাকিস্তান আমলে নির্মিত সেতুর মেরামত হয়নি, ভোগান্তিতে ৬ গ্রামের মানুষ
বন্যা ও ভূমিকম্পে ২০১৬ সালে ভেঙে পড়ে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ি ইউনিয়নের বেরুবাড়ী ছড়ার উপর নির্মিত সেতুটি। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন ৬টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।
স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, পণ্যবাহী পরিবহন, গুরুতর অসুস্থ রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিতে না পারা এবং আগুন ধরলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে না পারায় মহাবিপাকে পড়েছেন স্থানীয়া। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দফায় দফায় অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার এসব গ্রামবাসী।
৭ বছর থেকে কেন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন এখানকার মানুষ - এ প্রশ্ন সর্বত্র। তাই জনদুর্ভোগ নিরসনে অবিলম্বে নতুন করে সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পাটের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ
স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, পাকিস্তান শাসনামলে বেরুবাড়ীর ছড়ার উপর প্রায় ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে আর মেরামত করা হয়নি। ২০১৬ সালে ভূমিকম্পে সেতুর পশ্চিম দিকে ২০ মিটার অংশ এবং পূর্ব দিকে ১০ মিটার অংশ ভেঙে যায়। এতে চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে সেতুটি।
একই বছর সেতুর নিচ দিয়ে একটি ট্রাক্টর যাওয়ার সময় সেতুটিতে ধাক্কা লাগে। এতে আরও ভেঙে যায় সেতুটি। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে বেরুবাড়ী সেতুটি। ফলে নাগেশ্বরী উপজেলার সঙ্গে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন বেরুবাড়ী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।
২০১৭ সালে বেরুবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতা ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে ওই সেতুর উপর কাঠ একটি সাঁকো নির্মাণ করে এলাকাবাসী। কিন্তু দীর্ঘদিন ওই কাঠের সাঁকোটি সংস্কার না করায় সেটিও ভেঙে যায় এবং সম্প্রতি বন্যায় সেতুর একটি অংশ দেবে গিয়ে সেতুটি এখন এলাকাবাসীর মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। এমতাবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছে স্থানীয়রা। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা।
নাগেশ্বরী উপজেলার হাজিপাড়া, সরকারপাড়া, মন্ডলপাড়া, মিরারভিটা, চর বেরুবাড়ী, চর শালমারা, আকন্দপাড়া ও বেরুবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন ওই সেতু ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া স্কুল কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বেরুবাড়ী বাজার হয়ে উপজেলা শহরে অফিস-আদালতে যেতে এই সেতু দিয়ে পারাপার হতে হয়।
স্থানীয় মিরারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর বেরুবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাগেশ্বরী মহিলা সরকারি কলেজ, নাগেশ্বরী সরকারি কলেজ এবং ওই ইউনিয়নের প্রায় ৫টি ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে।
বেরুবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান আলী বলেন, ‘২০১৬ সালে ভূমিকম্পে সেতুটির দু’পাশে দেবে গিয়ে ভেঙে যায় এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও কাজ হচ্ছে না। সেতুতে যাতায়াতের সড়কটি আইডিভূক্ত না হওয়ায় উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, জটিলতটা আছে, সেতুটি সহসাই হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে কথা হলে কুড়িগ্রাম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘২০১৬ সালে সেতুটি ভেঙে যায় বলে শুনেছি। উপজেলা প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ২৩৬টি নতুন রাস্তাকে আইডিভূক্তির তালিকায় সেতুটির নাম পাঠানো হয়েছে। যদি সড়কটি আইডিভূক্ত হয় তাহলে সেতু নির্মাণ সহজ হবে। আশা করছি সেটি দ্রুত সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় এখনো ৭০০০ পরিবার পানিবন্দি
খুমেক হাসপাতালে অপর্যাপ্ত শয্যা ও জনবল, চিকিৎসায় ভোগান্তি
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রোগীদের অতিরিক্ত ভিড় ও জনবল সংকটের কারণে যথাযথ চিকিৎসা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
৫০০ শয্যার হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় রোগীর সংখ্যা ৩ গুণ বেশি হওয়ায় শয্যা স্বল্পতার কারণে খুমেক কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
এছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসকদেরও প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৫০০ রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
খুমেকের উপ-পরিচালক ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী বলেন, নতুন বিভাগ খোলার পর কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা সম্প্রসারিত করায় রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভিড় করছেন।
তিনি আরও বলেন, যদিও আমরা রেকর্ড সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে অনেক সংগ্রাম করছি, তবুও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
সম্প্রতি হাসপাতালে পরিদর্শনের সময় ইউএনবির এই সংবাদদাতা দেখতে পান, হাসপাতাল ভবনের প্রবেশদ্বারের কাছে মেঝে, বারান্দা এবং সিঁড়িগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। বিছানার স্বল্পতার কারণে অনেকেই মেঝেতে মাদুর, বাথরুমের কাছে এবং সিঁড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
রূপসা উপজেলা থেকে বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে আসা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাবাকে নিয়ে এসেছি। গত ৭ দিন ধরে তিনি বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বারান্দায় ফ্যান না থাকায় গরমে বাবার খুব কষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে খুমেক হাসপাতালের ৩ চিকিৎসক নিখোঁজ
শিগগিরই শেষ হচ্ছে না হাতিরঝিলে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি
ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের তারের কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে চরম ভোগান্তির শিকার হাতিরঝিলের দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী যাত্রীরা। এদিকে এ বিপত্তি থেকে মুক্তি পেতে যাত্রীদের আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এক দিকে খোঁড়াখুঁড়ি, অপরদিকে বর্ষা- নগরীর যাত্রীদের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মূলত হাতিরঝিল সড়ক ব্যবহার করে যেসব যাত্রী দ্রুত গুলশান বা রামপুরা থেকে মগবাজারে পৌঁছাতে চান তাদেরই এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে গেছে এবং প্রায়ই যানবাহন গর্তে আটকে যাচ্ছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) তাদের ওভারহেড তারগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য এলাকার রাস্তা খননের মাধ্যমে উচ্চ ভোল্টেজের ভুগর্ভস্থ তারগুলো স্থাপন করছে।
ডিপিডিসির মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে হাতিরঝিলের ওভারহেড ট্রান্সমিশন লাইনগুলো মাটির নিচে চলে যাচ্ছে।
পিজিসিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ডিপিডিসির তার স্থাপনের কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে। তবে পিজিসিবির কাজ এখনও চলছে। আর এটি সম্পূর্ণ হতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চাইতে সুন্দর ও নান্দনিক হবে: মেয়র তাপস
নারায়ণগঞ্জের ডিএনডি এলাকায় ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলছে না এলাকাবাসীর
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ডিএনডি এলাকায় কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা এখন জটিল আকার ধারণ করেছে। এই অসহনীয় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি থেকে রক্ষা না পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ওপর এলাকাবাসীদের মনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।
ডিএনডির জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসনে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পে আদৌ কি সমাধান হবে বা হলেও কতদিনে? - এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বাসিন্দারা।
অনেকের মতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নজরদারির অভাবেই ভোগান্তিতে পড়েছেন ডিএনডিবাসীরা।
স্থানীয়রা বলেন, ‘আমরা এখন পানির মধ্যে কারাবাসে আছি! মানুষ অপরাধ করলে কারাগারে বন্দি থাকে, কিন্তু আমাদের কি অপরাধ? কী কারণে আমাদের প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এভাবে কারাগারে থাকতে হয়! জানি না সরকার আমাদের এই কারাবাস থেকে কবে মুক্তি দেবে! আমরা মুক্তি চাই আমাদের এমপি (সংসদ সদস্য) মহোদয়ের কাছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।’
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
ডিএনডি এলাকার বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় পয়ঃনিষ্কাশনের পানি জলাবদ্ধতার পানির সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
যে কারণে ঠাণ্ডা, জ্বর, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, আমাশয়সহ পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
শিমরাইলে অবস্থিত পাম্প হাউজের পুরোনো চারটি পাম্পের মধ্যে তিনটি পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। এর একটি পাম্প দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকলেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই।
ডিএনডি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, ডিএনডি প্রকল্পের আওতাধীন ডিএনডির নিজস্ব জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা উচ্ছেদ করার ক্ষেত্রে ব্যাপক আইনি জটিলতা রয়েছে। পাশাপাশি তিতাস, ডিপিডিসিসহ (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড) বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনগুলোও সরানো হয়নি। এতে আমরা অনেক স্থানেই অবকাঠামোর কাজ করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, পানি নিষ্কাশনের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো- নিষ্কাশনের শাখা খালগুলো সংস্কার করার পর আবার ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরে ফেলা হয়েছে। অনেক স্থানে আমরা খাল পুনরুদ্ধার করেছি, নতুন খাল খনন করেছি। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেগুলো আবার ময়লা দিয়ে স্থানীয় লোকজন ভরে ফেলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা
অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, অর্থ সংকটের কারণে ধীরে এগোচ্ছে ডিএনডির এই মেগা প্রকল্পটি। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এ প্রকল্প বাবদ ৩৫০ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ের কার্যক্রম পরিকল্পনা করা হলেও ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা থাকলেও অর্থ সংকটে অধিকাংশ চলমান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই এলাকার জলাবদ্ধতার সমাধান চেয়েছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কাছে।
গত রবিবার দুপুরে ডিএনডি বাঁধের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ডিএনডি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা শুনে সেটি সমাধানের তড়িৎ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, আমি নিজেই বিষয়টি দেখতে ও প্রকল্পের দায়িত্বরতদের সঙ্গে রবিবার কথা বলে কীভাবে দ্রুত সমাধান করা যায় এবং মানুষের দুর্ভোগ কীভাবে লাঘব করা যায় সেটি করার ব্যবস্থা করব।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধিদের ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে সেটি যেভাবে দরকার সেভাবেই করব। মানুষ কষ্ট-দুর্দশা দূর করাটাই এখানে মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস নেদারল্যান্ডসের
বৃষ্টিতে ঢাকায় যান চলাচল ব্যাহত, ভোগান্তিতে নগরবাসী
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঈদুল আজহার দিনও ঢাকাসহ সারাদেশে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে সৃষ্ট বিরতিহীন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ তারিফুল নেওয়াজ কবির বলেছেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া অফিস সারাদেশে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
আরও পড়ুন: ঈদ উল আযহায় সারাদেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে: বিএমডি
তিনি বলেন, তবে বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
তিনি বলেন, এ বৃষ্টিপাত বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিকালে তা হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে কাছের মানুষদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি রওনা হওয়া মানুষেরা বৃষ্টির কারণে যানজট ও অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এছাড়া যারা এখনো কোরবানির পশু কিনতে পারেননি তারা গরুর হাটে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
অন্যদিকে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
বৃষ্টি ও ঈদের ছুটিতে রাস্তায় যানবাহন কম থাকায় ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’