পদ্মার দক্ষিণ পাড়ের শরীয়তপুরের মানুষকে 'পদ্মা সেতু' স্বপ্ন দেখাচ্ছে সোনালি সম্ভাবনার। পদ্মা সেতু চালু হলে শরীয়তপুরসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দেশের অন্যতম মৎস্য উৎপাদনকারী শরীয়তপুর জেলার মৎস্য খাতের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।
মৎসজীবীরা বলছেন, পদ্মা সেতু খুলে দিলে বছরে পাঁচশ থেকে ছয়শ কোটি টাকার মাছ ঢাকার বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। পরিবহন খরচ কম ও দামে বেশি হওয়ায় লাভ বেশি হবে বলে ধারণা তাদের। বিশেষ করে পদ্মা নদীর সুরেশ্বর পয়েন্ট থেকে আহরণকৃত ইলিশসহ যে কোন মাছ খুব সহজেই পাঠানো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্তত ৪০টি জেলায় পাঠানো যাবে। এতে উপকৃত হবেন মৎস খামারি, ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক জেলেরাও।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা ও মেঘনায় ঘেরা শরীয়তপুর জেলার ১৫ হাজার ৮৪০ হেক্টর এলাকাজুড়ে নদীতে মাছ ধরা হয়। এছাড়া ২ হাজার ৬২৬ হেক্টর জমিতে ১৫ হাজার ১৮২টি মাছের খামার রয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলা থেকেই মাছ সড়ক পথে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। আগে শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় যেতে ফেরিঘাটে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হতো। অপেক্ষমাণ সময়ে গাড়িতে থাকা মাছ অনেক সময় নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে আমূল পরিবর্তন আসবে মৎস্য ব্যবসায়। খুব দ্রুত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঢাকার বাজারে পৌঁছে যাবে মাছ। ফলে সময় ও খরচ সাশ্রয়ের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটবে অনেক বেশি।
পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে পদ্মা সেতু এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত: ইইউ রাষ্ট্রদূত