বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বহুল প্রতিক্ষিত এ আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আন্তঃনগর ট্রেন চালু হতে যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী উত্তরাঞ্চলের অন্যতম জেলা কুড়িগ্রামবাসী। এর মাধ্যমে নিজেদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের স্বপ্নও দেখছে তারা।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনবার কুড়িগ্রাম সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে জেলার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি ঢাকা-কুড়িগ্রাম একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুরও প্রতিশ্রুতি দেন। সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ আন্তঃনগর ট্রেনের সুবিধা পেতে যাচ্ছে কুড়িগ্রামবাসী।
এর আগে ২০১৮ সালে কুড়িগ্রাম থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত একটি সাটল ট্রেন চালু হয়। কিন্তু আন্তঃনগর ট্রেন চালু হলে দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ব্যবস্থার দৈন্যদশা থেকে মুক্তি এবং ভাগ্যোন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন জেলাবাসী।
নতুন এ আন্তঃনগর ট্রেনটির নামকরণ এখনও চুড়ান্ত না হলেও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ নামকরণ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে ২০০ নতুন রেক (বগি) ইতোমধ্যে আনা হয়েছে। যা বুধবার কুড়িগ্রাম থেকে চালু হতে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেনসহ রংপুর-লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন বগি হিসেবে সংযুক্ত হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগ সূত্র জানায়, ঢাকা-কুড়িগ্রামের রেলপথে দূরত্ব ৪৬১ কিলোমিটার। প্রস্তাবিত ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দ্যেশে কুড়িগ্রাম ছাড়বে। আর ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা দেবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিট।
সপ্তাহে শুধু শুধু বুধবার বন্ধ থাকা এ ট্রেনটি মাঝ পথে রংপুর-বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর-জয়পুরহাট-সান্তাহার-মাধবনগর-ঢাকা-বিমানবন্দর স্টেশনগুলোতে বিরতি দিবে। ট্রেনটিতে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাত্রায় ৬২৬টি আসন এবং ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ফেরার পথে ৫৯৬টি আসন থাকবে।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।