চীনের কফি উৎপাদনকারীরা তাদের পণ্য ও কফি বিন রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে নতুন গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে।
সম্প্রতি চীনের ইউনান প্রদেশের পুয়েরের সিমাও জেলায় একদল বাংলাদেশি সাংবাদিক তার কফি বাগান ও উৎপাদন ইউনিট পরিদর্শনকালে বেইগুই কফি কোম্পানির ব্যবস্থাপক ডেং জিয়ালু বলেন, ‘আমরা চীনে সেরা কফি উৎপাদন করছি এবং এগুলো বাংলাদেশে রপ্তানি করতে আগ্রহী।’
বেইগুই কফি কোম্পানি চীনের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের উৎপাদক। ৪০০ হেক্টর জমিতে তাদের বেশ কয়েকটি কফি বাগান রয়েছে, যা সিমাও জেলার কফি রোপণ এলাকার ২ দশমিক ৮ শতাংশ। তারা বার্ষিক ৭২০০ টনেরও বেশি তাজা কফি ফল উৎপাদন করে, যা তাজা কফির বার্ষিক উৎপাদনের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
ডেং জানান, নেসলে ও স্টারবাকসের মতো অনেক আন্তর্জাতিক কফি ব্র্যান্ড তার কোম্পানি থেকে কফি বিন আমদানি করছে সারা বিশ্বে সরবরাহ করার জন্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় নতুন গন্তব্য খুঁজছি। বাংলাদেশ আমাদের পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে, কারণ কফির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে।’
বৈশ্বিক বাণিজ্যের অনলাইন ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন প্ল্যাটফর্ম অবজারভেটরি অব ইকোনমিক কমপ্লেক্সিটি (ওইসি) অনুসারে, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলার কফি আমদানি করেছে, যার মধ্যদিয়ে দেশটি বিশ্বের ১৩৬তম বৃহত্তম কফি আমদানিকারক হয়ে উঠেছে। একই বছরে, কফি ছিল বাংলাদেশে ৭৯২তম আমদানিকৃত পণ্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের একটি জাতীয় হাইড্রোজেন কৌশল প্রয়োজন: অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী ড. নওশাদ
বাংলাদেশ মূলত: সিঙ্গাপুর (৬৫০ হাজার ডলার), সংযুক্ত আরব আমিরাত (৫৫ হাজার ডলার), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৮৮ দশমিক ৭ হাজার ডলার), নেদারল্যান্ডস (৪৬ দশমিক ৯হাজার ডলার), এবং অস্ট্রেলিয়া (৪৩ দশমিক ৫হাজার ডলার) থেকে কফি আমদানি করে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা স্ট্যাটিস্তার মতে, ২০২১-২২ কফি শস্য বছরের জুন পর্যন্ত চীন প্রায় ২ মিলিয়ন ৬০ কিলোগ্রাম ব্যাগ কফি উৎপাদন করেছে, যা আগের বছরে ছিল ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন। চীনে উৎপাদিত কফির বেশিরভাগই ইউনান প্রদেশ থেকে আসে।