বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জীবিকার সুযোগ বৃদ্ধি করতে ভাসানচরে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, ‘উপযুক্ত সুবিধা ও অবকাঠামো’ থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা ‘কিছু চ্যালেঞ্জের’ সম্মুখীন।
ভাসানচরে সাম্প্রতিক সফরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি ইউএনবিকে বলেন, এটা সত্য যে তারা অনেক নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ পাচ্ছে। যেটা কি না তাদের জীবনের একটি ইতিবাচক দিক। তবে চরে জীবিকার সুযোগ তৈরি করতে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকা উচিত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সম্পদ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য আরও জীবিকার সুযোগ, শিক্ষা ও দক্ষতা তৈরি করতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সহ বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে হবে। যাতে তাদের মধ্যে ‘হতাশা’ বৃদ্ধি না পায় যেটা কিনা অস্থিরতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের সহায়ক: জাপান
বাংলাদেশ বলেছে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং বাংলাদেশ তাদের মানবিক কারণে অস্থায়ী ভিত্তিতে আশ্রয় সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা রোহিঙ্গাদের একত্রিত করতে পারবে না এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থায়ী সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। টেকসই প্রত্যাবাসনকেই এক্ষেত্রে একমাত্র সমাধান।
অধিকতর জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে বসতি স্থাপনের স্থায়ী সংকেত দিবে কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, ‘না, আমি তা মনে করি না’।
তিনি বলেন, ‘ভাসানচরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে চায় এবং প্রত্যাবাসনই তাদের লক্ষ্য। তারা বিচার চায়। প্রায় পাঁচ বছর পরও, তারা এখনও তাদের জন্মভূমির দিকে তাকিয়ে আছে। এটা স্পষ্ট যে তারা ফিরে যেতে চায়।’
তাই যতদিন তাদের প্রত্যাবাসনের দৃঢ় সংকল্প থাকবে, ততদিন মিয়ানমারে কোনো ভুল সংকেত পাঠানো যাবে না বলে সতর্ক করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আগে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, দক্ষতা ও জীবিকার সুযোগ অপরিহার্য বিষয়। যেমনটা মনে হচ্ছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে রোহিঙ্গারা এখানে ‘আরও কয়েক বছর’ থাকতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাপানকে বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির আহ্বান মন্ত্রীর