দরজা-জানালা সব ভেঙে গেছে, দেওয়ালগুলো জরাজীর্ণ, খুলে পড়ছে চালের টিন; বর্ষাকালে বৃষ্টি এলে পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, শীত-রোদ-বৃষ্টি যাই হোক, ক্লাস করতে মন বসে না শিক্ষার্থীদের। এমনই পরিবেশে ঝুঁকি নিয়ে ফেনীর দাগনভূঞার সত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে আসে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১০৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
সরকারি হলেও বিদ্যালয়টিতে খেলার মাঠ নেই; নেই স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার, প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষেরও সংকট। এক কথায়, একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার উপযোগী যে পরিবেশটুকু দরকার তার ছিঁটেফোটাও নেই এখানে। শিক্ষার উপযোগী পরিবেশের অভাবে প্রতি বছরই বিদ্যালয়টিতে কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে অভিভাবকেরা এই বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানদের ভর্তি করাতে আগ্রহী নন বলে মত শিক্ষকদের।
জানা যায়, ১৯৮৭ সালে ৪ কক্ষবিশিষ্ট একটি টিনশেড ঘরের মাধ্যমে সত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। সেই টিনশেডের ঘরটির অবস্থা-ই বর্তমানে জরাজীর্ণ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় মেলা আয়োজিত
২০১১ সালে পুরনো স্কুল ভবন থেকে ১০০ গজ দূরে দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন হলেও দুই শ্রেণিকক্ষের বেশি নেই নতুন ভবনে। তাই বাধ্য হয়েই পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে শ্রেণি-কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এতে পাঠদানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
অপরদিকে, জরাজীর্ণ ভবনটি এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।