চন্দনা সরকারের স্বামী পতিত পাবন সরকার সাত বছর আগে মারা গেছেন। চার ছেলে ও তিন মেয়ের জননী তিনি।
ছেলে জয়দেব সরকারের কাছেই থাকেন চন্দনা সরকার। জয়দেব নিজে, তার স্ত্রী সুলতা সরকারও অসুস্থ। নাতনি খলিষানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। বাবা মায়ের সঙ্গে ঠাকুর মাকেও দেখভাল করে সে।
স্থানীয়রা আক্ষেপ করে জানান, চন্দনা সরকারের অন্য ছেলেদের অনেকেই স্বচ্ছল। কিন্তু তারা মায়ের কোন খোঁজ খবর নেন না। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকার কারণে তার কাপড়-চোপড়ও ঠিক মত কেনা হয়না। স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের বলেও বিধবা ভাতা বা বার্ধক্য ভাতার কার্ড পাননি বৃদ্ধা চন্দনা।
অন্যরা কম্বল পেলেও প্রচন্ড শীতে তিনি একটি কম্বলও পাননি। আর কত বয়স হলে চন্দনার ভাগ্যে বিধবা বা বার্ধক্য ভাতা জুটবে, এই প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ চন্দনা সরকারের ছেলে জয়দেব ও পুত্রবধু সুলতা সরকারও।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার বলেন, চন্দনাকে বার্ধক্য ভাতার কার্ড দেয়ার ব্যাপারে কেউ তার কাছে আবেদন করেনি। কষ্ট করে বৃদ্ধা চন্দনা দিন পার করছেন তাও জানা ছিলো না। চন্দনা যাতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান আব্দুস সাত্তার।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী বলেন, কেনো এতোদিন বৃদ্ধা চন্দনা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায়নি তার খোঁজ নেয়া হচ্ছে। বৃদ্ধা চন্দনা সরকার যাতে সব ধরনের ভাতা পায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।