বয়স্ক ভাতা
আগামীতে বয়স্ক ভাতা শতভাগে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকার প্রতি বছরই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়াচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামীতে বয়স্ক ভাতা শতভাগে উন্নীত করা হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘সরকার দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
সোমবার নওগাঁর সাপাহারে সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে সাপাহার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্তমান সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল ও চিনি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ, কেউ সরাসরি উপকৃত হয় কেউ বা পরোক্ষভাবে।
তিনি আরও বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় নানা রকম ভাতা দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ছাড়াও বয়স্ক ভাতা, স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, বিধবা ভাতা, দরিদ্র মায়ের মাতৃত্বকালীন ভাতা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানী ভাতা, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ভাতা রয়েছে। এ ছাড়াও কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছে কৃষক। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা চলে যাচ্ছে অভিভাবকদের মোবাইলে।
সাপাহার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাদেকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন- সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহজাহান হোসেন।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মহজিদ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: জনগণ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়, উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকবে: খাদ্যমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের মননশীলতার বিকাশই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার নিয়ম
দেশের বার্ধক্যে পীড়িত মানুষের সহায়তা ও সামাজিক মর্যাদার পরিপ্রেক্ষিতে চালু করা উদ্যোগের নাম বয়স্ক ভাতা। এই কার্যক্রমের সূত্রপাত ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর থেকে। শুরুতে পাঁচ জন পুরুষ ও পাঁচ জন মহিলাসহ মোট ১০ জন গরিব বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে ১০০ টাকা হারে মাসিক ভাতা দেয়া হত। ২০২১-২২ অর্থ বছর থেকে ৫০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের জন্য বয়স্ক ব্যক্তিদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ লাখ এক হাজার। চলুন জেনে নেয়া যাক বয়স্ক ভাতা পাওয়ার আবেদন পদ্ধতির ব্যাপারে।
কাদের জন্য বয়স্ক ভাতা
সর্বপ্রথম বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। যেহেতু বয়স্কদের জন্যই এই ভাতা তাই প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স্ক ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বয়স্কদের মধ্যে যারা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে উপার্জনে শারীরিকভাবে অক্ষম তাদের অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। নিম্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থার অধিকারী যেমন ভূমিহীন, উদ্বাস্তু এবং নিঃস্ব ব্যক্তিরা এই ভাতার আওতাভুক্ত। এক্ষেত্রে কারো জমি ০.৫ একর বা তার কম পরিমাণের হলে তাকে ভূমিহীন ধরা হয়।
এছাড়া বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত, বিপত্নীক, নিঃসন্তান এবং সবশেষে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বয়স্ক ব্যক্তিগণ ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার পাবেন।
আরও পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
বয়স্ক ভাতা পাওয়ার শর্তাবলি
১) কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে।
২) জাতীয় পরিচিতি নম্বর থাকা আবশ্যক; নূন্যতম জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করা যেতে পারে।
৩) বয়স যাচাইয়ের সময় পুরুষের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬৫ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে নূন্যতম ৬২ বছর গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘বীরাঙ্গনা’ মাজেদাকে কেন ভাতা দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল
৪) বায়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির বার্ষিক গড় আয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার মধ্যে হলে তাদের বয়স্ক ভাতা আওতায় আনা হয়।
৫) সর্বসাকূল্যে সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত বাছাই কমিটির মাধ্যমে এই ভাতা প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হতে হয়।
৬) সরকারি কর্মচারী অর্থাৎ পেনশন প্রাপ্তরা এই আওতার বাইরে।
৭) ভিজিডি (ভালনারেবশ গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট)-এর কার্ডধারীরা বয়স্ক ভাতা কার্যক্রমের বাইরে।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
৮) অন্য কোনো কর্মসূচির মাধ্যমে নিয়মিত সরকারি বা বেসরকারি অনুদান/ভাতা/আর্থিক সাহায্য প্রাপ্তরা বয়স্ক ভাতা পাবেন না।
বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন পদ্ধতি
এখন সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট ফরম পূরনের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করা যায়
ফর্মের লাল তারকা চিহ্নিত শূন্যস্থানগুলো পূরণের দিকে অধিকতর সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। প্রথমেই আসবে সমাজসেবা কার্যালয় নির্বাচনের বিষয়টি। এখানে প্রার্থী যে এলাকায় বাস করছেন সেই উপজেলা বা শহরের সংশ্লিষ্ট সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের নাম দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিচারকদের ভাতা বৃদ্ধি: ২টি বিল পাস
ছবির আপলোডের জন্য আগে থেকেই প্রার্থীর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি স্ক্যান করে রাখতে হবে। অতঃপর জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী প্রার্থীর প্রতিটি ব্যক্তিগত তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদান করতে হবে।
ফরমের শেষের দিকে প্রার্থীর নমিনীর পাসপোর্ট সাইজ ছবির স্ক্যান কপিসহ যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। বয়স্ক প্রার্থী অসুস্থ বা চলাফেরায় অক্ষম হলে তার পরিবর্তে যিনি ভাতা তুলতে যাবেন তার বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে এ অংশে।
সব তথ্য প্রদানের কাজ সম্পন্ন হলে এটি সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের ডাটাবেজে সংরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে ফরমে প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে প্রাপ্তি স্বীকারমূলক বার্তার সঙ্গে একটি আইডি নম্বর দেয়া হবে। এই নম্বরটির মাধ্যমে পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আবেদনের হালনাগাদ সম্পর্কে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
পরিশেষে অনলাইনে পাঠানো আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে। প্রিন্ট কপিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌরসভা অথবা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরের মাধ্যমে সত্যায়িত করে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের জমা দিতে হবে।
বয়স্ক ভাতা সংগ্রহের স্থান
প্রতিটি উপজেলাতেই সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। তাছাড়া এর বিকল্প হিসেবে তফসিলি যে কোন ব্যাংক থেকে বয়স্ক ভাতার টাকা তোলা যায়। এর জন্য উপজেলা হিসাব সংরক্ষণ কিংবা এলাকার সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রার্থীর ছবি, পরিচয় ও স্বাক্ষর রেজিস্টার করাতে হবে। এরপর সেখান থেকে পাস বই ইস্যু করা হবে, যা দিয়ে মাসিক ভাতা তোলা যাবে।
শেষাংশ
দেশজুড়ে ডিজিটাল লেনদেনের কার্যক্রমের প্রভাব পড়েছে বয়স্ক ভাতার ওপরেও। এখনো প্রক্রিয়াধীন থাকা এই পরিষেবাগুলো ব্যবহারের জন্য প্রার্থীদের পাশের মানুষটির তথা তাদের আত্মীয়দের সহায়তার প্রয়োজন। যদিও গ্রাম পর্যায়ের অনেক বায়োজ্যেষ্ঠদের কষ্ট হলেও বেশ আগ্রহ নিয়ে প্রতিটি কার্যকলাপ সম্পন্ন করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
২ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ত্রাণ চাওয়ায় বৃদ্ধকে পেটালেন ইউপি সদস্য
ঠাকুরগাঁওয়ে ত্রাণ চাওয়ায় ইসলামউদ্দিন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে ইউপি সদস্য বেদম পিঠিয়েছেন।
বুধবার রাত ৯ টার সময় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০ নম্বর রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে ইউপি ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুহিয়া ৬ নম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসলামউদ্দিন ইউপি ভবনের সামনে এক দোকানে লোকজনের সামনে বলছিলেন, 'আমি একজন গরীব মানুষ অথচ সরকারি কোন সাহায্য পাইনা। একটা বয়স্ক ভাতার কার্ডও পেলাম না। সরকার তো অনেক কিছুই দিচ্ছে। আর মেম্বারের কাছে গিয়ে ত্রাণ চাইলে তিনি বলেন কিছুই আসেনি।'
এ কথা শুনে গ্রাম পুলিশ বলাই চন্দ্র মুঠোফোনে ইউপি সদস্য বিশ্বনাথকে এসব কথা জানান। ইউপি সদস্য বিশ্বনাথ একথা শুনে ঘটনাস্থলে এসে বৃদ্ধ ইসলামউদ্দিনকে বেধরক মারধর করেন। এক পর্যায়ে বৃদ্ধ ইসলামউদ্দিন মাটিতে পড়ে গেলে তার ছেলে মোস্তফা এগিয়ে আসলে চৌকিদার ও মেম্বারের লোকজন তাকেও মারধর করে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য বিশ্বনাথ বলেন, 'গ্রাম পুলিশ আমাকে ফোনে জানায় ইসলামউদ্দিন আমাকে ও চেয়ারম্যানকে গালিগালাজ করছে। আমি চেয়ারম্যানকে বিষয়টা জানালে তিনি আমাকে ওই বৃদ্ধকে ২/৪টা চড় থাপ্পড় দিতে বলেন।'
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মারধরে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ
অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন জানান, 'বৃদ্ধকে মারপিটের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।'
রুহিয়া থানার ওসি চিত্য রঞ্জন রায় বলেন, 'ইউপি সদস্য এক বৃদ্ধকে মারধর করেছেন এটা শুনেছি। স্থানীয়ভাবে বসে মিমাংসার কথা রয়েছে।'
৩ বছর আগে
সিলেটে ভাতা নিতে এসে ভোগান্তিতে প্রবীণরা
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় ‘বয়স্ক ভাতা’প্রাপ্তিতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন দু’শতাধিক প্রবীণ।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ও লকডাউনের মধ্যে সকাল-সন্ধ্যা অপেক্ষা করেও ভাতা পাচ্ছেন না তারা। সংশ্লিষ্টদের অপব্যবস্থাপনার কারণে দিনের পর দিন ধর্না দিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান বয়স্ক এসব নারী-পুরুষ।
বুধবার সরেজমিন উপজেলা সদরের ডিজিটাল ডাক ঘরের ‘ব্যাংক এশিয়ার’ এজেন্ট শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, ডাক ঘরের সামনে ভাতা নিতে আসা বয়স্ক নারী-পুরুষের ভিড়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাতার জন্যে সকাল থেকেই ওখানে অবস্থান নিয়েছেন তারা। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও, কাউকে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। অনেকেই আবার মাস্কও পরেননি। দীর্ঘ অপেক্ষায় ক্লান্ত তারা। কখনও দাঁড়িয়ে, কখনও বসে বার্ধক্যের শরীর নিয়ে চরম বিরক্তির সময় কাটছিল তাদের।
আরও পড়ুন: জীবনযুদ্ধে হার না মানা প্রতিবন্ধী মাজহারুল, অনেক ঘুরেও পাননি সরকারি ভাতা
অনেকে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন। সময় তখন সাড়ে ১১টা হলেও তখনও অনুপস্থিত, ডাক ঘরের উদ্যোক্তা ও ভাতা প্রদানকারী কর্তা কৃপেশ দেবনাথ।
কথা হয় ভাতাভোগী রাজনগর গ্রামের ৬৫ বছর বয়সি মছব্বির আলীর সাথে।
তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের বাইরে আসা উচিত নয়। আমরা গরীব মানুষ, তাই ঝুঁকি নিয়ে এসেও নিরাশ হয়ে ফিরে যাই বার বার। লকডাউনের মধ্যে এ নিয়ে চারদিন এসেছি। উদ্যোক্তা (কৃপেশ দেবনাথ) প্রতিবারই ল্যাপটপে সমস্যা বলে ফিরিয়ে দেন। আর প্রতিদিন অল্প কয়েক জনকে ভাতা দিয়েই চলে যান তিনি।
মুফতির গাঁও গ্রামের ৮০ বছর বয়সি আমরুজা বেগম বলেন, আমাকে প্রথমে একটি ‘বিশেষ টোকেন’ দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ভাতা নিতে বলা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকে গেলে তারা আবার ব্যাংক এশিয়ায় পুনরায় আমাকে পাঠান। অসুস্থ শরীর নিয়ে কয়দিন ধরে আমি এভাবেই ঘুরছি।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার করার প্রস্তাব
ভাতা প্রদানকারী ডিজিটাল ডাক ঘরের উদ্যোক্তা ও ব্যাংক এশিয়ার এজেন্টের পরিচালক কৃপেশ দেবনাথ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়নে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট রয়েছে, সবাই ঠিক মতো সেবা দিচ্ছে না। ভাতা প্রদান কার্যক্রম সবাই অব্যাহত রাখলে এ সমস্যার সৃষ্টি হতো না। উপজেলা পর্যায়ে সার্ভিস দেয়ার জন্যই লকডাউনের মধ্যেও আমি সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। মাঝে মধ্যে সার্ভার সমস্যার কারণে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, ‘বিষয়টি আমি দেখছি।’
কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই যাতে প্রবীণরা ভাতা পান সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
৩ বছর আগে
কোম্পানীগঞ্জে বয়স্ক ভাতা তুলতে যেয়ে ব্যাংকের রেলিং ভেঙে বৃদ্ধের মৃত্যু
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরে রবিবার সোনালী ব্যাংকে রেলিং ভেঙ্গে বয়স্ক ভাতা তুলতে আসা এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও তিন জন।
৪ বছর আগে
বয়স্ক ভাতা পেতে চেয়ারম্যান নেন ৫০০ টাকা!
কুমিল্লা তিতাসের নারান্দিয়া ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতা পেতে চেয়ারম্যানকে ৫০০টাকা দিতে হয় বলে ইউপি সদস্যসহ ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
৪ বছর আগে
২০২৫ সালের মধ্যে সব বয়স্ক নাগরিক ভাতা পাবেন: মন্ত্রী
দেশের সব প্রবীণ নাগরিককে ২০২৫ সালের মধ্যে বয়স্ক ভাতার আওতায় নিয়ে আসতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে মঙ্গলবার সংসদে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
৪ বছর আগে
আর কত বয়স হলে বার্ধক্য ভাতা পাবেন চন্দনা সরকার!
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সদরের শবদলপুর গ্রামের চন্দনা সরকারের বয়স ৮৮ বছর। বিধবা এই অশীতিপর বৃদ্ধার ভাগ্যে জুটেনি সামাজিক নিরাপত্তার বয়স্কভাতার কার্ড।
৪ বছর আগে