প্রায় তিন মাস আগে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে রাস্তাটি দখল মুক্ত করে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ কলেজ, নারায়ণগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, টিঅ্যান্ডটি কার্যালয়, লঞ্চ এবং বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য মানুষজন এই রাস্তা ব্যবহার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানান, অস্থায়ী দোকানগুলো সারাবছরই এই রাস্তাটি দখল করে রাখে।
নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর কয়েকমাস রাস্তাটি দখলমুক্ত ও পরিষ্কার থাকলেও, বর্তমানে আবারও অস্থায়ী দোকানগুলো রাস্তা দখল করে নিয়েছে এবং রাস্তার যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
সরেজমিনে ইউএনবির প্রতিনিধি গিয়ে দেখেন, রাস্তাটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এবং মানুষজনের জন্য এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
অবৈধ দখলের কারণে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় রাস্তাটিতে যানবাহনও প্রবেশ করতে পারে না।
এ বিষয়ে প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে গেলে ইউএনবির সংবাদদাতার সাথে কিছু দোকান মালিক দুর্ব্যবহার করেন এবং রাস্তার অবস্থা নিয়ে করা প্রতিবেদন বৃথা যাবে বলে উল্লেখ করেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, সাবেক জেলা পুলিশ প্রধান মীর জুমলা সড়ক থেকে সব অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করেছিলেন। কিন্তু তার বদলি হয়ে যাওয়ার পরপরই দোকান মালিকরা আবারও রাস্তাটি দখল করে নেয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবকে দায়ী করে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরিদর্শক শ্যামল বলেন, ‘বেশ কয়েকজন মুরগি ব্যবসায়ী ওই রাস্তায় দোকান বসিয়েছে এবং সিটি করপোরেশনের ময়লা সংগ্রহকারী যানবাহন সেখানে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এ কারণেই রাস্তায় বর্জ্য রয়েছে।’
যত দ্রুত সম্ভব বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।