অনেক সরিষার চাষ হওয়ায় সেখানে হয় মধুরও চাষ। বিঘা-খানেক জমিতে মধু সংগ্রহের জন্য বসানো হয়েছে ১২০টি কাঠের তৈরি বাক্স। মৌচাক বক্স।
স্থানীয় কৃষকরা জানান,আগে ধান তুলে গম, ভুট্টা আবাদ করা হতো। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথের উৎসাহে এবার দীঘিয়া গ্রামের প্রায় ৭০ একর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ বিঘা জমির সরিষার বীজ বিনামূলে ১৫ জন কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
তারা আরও জানায়, এক গ্রামেই এত পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ এবারেই প্রথম। তাছাড়া এবারে সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে।
সাধারণত আমন ধান ঘরে তোলার পরে গম ভুট্টা রোপন করলে বোরো ধান রোপন করতে পারতো না কৃষকরা। কৃষকদের সরাসরি আউশ ধান রোপন করতে হতো। অপরদিকে সরিষা আবাদ মাত্র ৬০ থেকে ৭০ দিনে মত সময় লাগে। এতে মাত্র ২-৩ হাজার টাকা খরচে বিঘায় কমপক্ষে ৭ মণ করে সরিষা উত্তোলন করা যায়,যা বাজারে ১৮ শত থেকে থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি করতে পারে কৃষকরা। সরিষা তোলার পর আবার কৃষকরা বোরো ও আউশ ধানও আবাদ করতে পারে। এক কথায় এক জমিতেই তিন ফসল উৎপাদন করতে পারছে কৃষকরা। আবাদী জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকছেনা।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, উপজেলা জুড়ে এবারে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি এবারে সরিষার আবাদের অর্জন হয়েছে যার পরিমাণ ৩ হাজার ৩ শত ৫০ হেক্টর। এর মধ্যে উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের দিঘীয়া গ্রামেই প্রায় ৭০ একর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকরা এবারে বারি সরিষা-১৪, ১৫ বিনা সরিষা,৪,৯ জাতের সরিষা আবাদ করছে।
এদিকে, দিনাজপুর জেলার সেতাগঞ্জ উপজেলা থেকে মৌ-চাষী সোহেল রানা ব্যাপক সরিষার আবাদ হওয়ার সু-বাদে সরিষার গ্রাম খ্যাত দিঘীয়া এলাকায় ১২০টি মৌচাক বক্স বসিয়ে সপ্তাহে দু-মণের মত খাঁটি মধু সংগ্রহ করেন। এতে তিনি প্রতি কেজি মধু ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করে থাকেন। মানুষ খাঁটি মধু হাতের নাগালে পাওয়ায় খুশি ।