প্রতিবেদনে বলা হয়, পাহাড়ি এলাকার ছিটমহলটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত হলেও ১৯৯৪ সালে একটি যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে এটি আর্মেনিয়ানরা দখল করে রয়েছে।
স্ব-ঘোষিত প্রজাতন্ত্র আর্মেনিয়া বলছে, গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে তাদের ৮৪ জন সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বেসামারিক অনেক নাগরিকও মারা গেছে।
এদিকে, আজারবাইজান তাদের কতজন সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, সেটা নিশ্চিত না করলেও সাতজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল থেকে সংঘর্ষটি তিনদিন আগে শুরু হলেও এটি এখন নানাদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
মঙ্গলবার আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, পূর্ব আর্মেনিয়ান শহর ভার্ডেনিসে একটি যাত্রীবাহী বাস আজারবাইজানীয় একটি ড্রোনের হামলার শিকার হয়। তবে তাতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে আজারবাইজান জানিয়েছিল, আজারবাইজানে আর্মেনিয়ান গোলাগুলিতে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যুর পর সোমবার আরও দুজন আজারবাইজান নাগরিক নিহত হয়েছে।
২০১৬ সালের পর বিতর্কিত অঞ্চলটিতে এবারে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ সংঘঠিত হচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা করতে আজ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি জরুরি বৈঠকও ডাকা হয়েছে।