২৭ জাতির ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আগামী বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ব্রেক্সিট হিসেবে পরিচিত এ বিচ্ছেদের পর ইইউ’র বাণিজ্য নীতিরও বাইরে থাকবে যুক্তরাজ্য, যা বড় পরিবর্তন বয়ে নিয়ে আসবে ইউরোপীয় অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে।
বিশ্বব্যাপী কোভিড আক্রান্ত ৮ কোটি ছাড়াল
তবে এসব প্রতিবন্ধকতা কাটাতে অবশেষে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে একমত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও ইইউ।
‘ইইউ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য ও সহযোগিতা চুক্তি’র ১২৪০ পৃষ্ঠার নথিতে এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ চালাবেন উভয় পক্ষের রাষ্ট্রদূত এবং আইনপ্রণেতারা। এছাড়া নথিগুলোর বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার বৈঠকে বসতে পারেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে যুক্তরাজ্যের যাত্রীদের
বিস্তারিত প্রকাশ না করা হলেও এ চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার পর বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য ব্লকের (ইইউ) সাথে শুল্ক বা কোটামুক্তভাবে যুক্তরাজ্যর ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি।
তবে অন্য অনেক বাধা রয়েছে যুক্তরাজ্যের সামনে। কারণ ব্রেক্সিটের পর তারা বড় একটি বাজার হারাবে যেখান থেকে কেবলমাত্র ইইউ’র সদস্য দেশগুলোই সুবিধা পেয়ে থাকে।
যুক্তরাজ্যে করোনা টিকার ওপর নতুন ভাইরাসের প্রভাব নেই: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো যুক্তরাজ্যের সাথে সম্পাদিত চুক্তিতে সমর্থন জানাতে পারে আগামী সপ্তাহে। আর ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা এতে ভোট দিতে পারেন বুধবার। তবে তারা এটি অনুমোদন করলেও, চুক্তিটি কেবলমাত্র নববর্ষের দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি অস্থায়ীভাবে কার্যকর হবে কারণ এ ক্ষেত্রে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং মন্ত্রিপরিষদের সমর্থনও প্রয়োজন হবে।
গত ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করলেও ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়সীমা রয়েছে।
নতুন ধরনের করোনা নিয়ে গবেষণায় বিজ্ঞানীরা
২০১৬ সালে গণভোটের পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য। সে অনুযায়ী গত ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ছাড়ার পর আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়ে যাবে নতুন নিয়মকানুন। তবে শেষ সময়ে এসে উভয় পক্ষের পৌঁছানো বাণিজ্য চুক্তি অনুমোদিত হলে, ব্যবসা বাণিজ্যের নিরবচ্ছিন্ন ধারা কিছুটা হলেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।