রাফাহতে আগ্রাসনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বোমা সরবাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধ সত্ত্বেও রাফাহতে আগ্রাসনের কারণে ওয়াশিংটন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪ লাখের বেশি মানুষ দক্ষিণ গাজার শহর রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই কর্মর্তা বলেন, রাফাহর মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তারা কীভাবে বোমাবাজি করতে পারে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি আলোচনার মাঝেই রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েলের
বোমার ওই চালানে ৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও ২২৫ কেজি বোমা তৈরির কাঁচামাল ছিল বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এ কর্মকর্তা।
ঐতিহাসিকভাবেই ইসরায়েলকে প্রচুর পরিমাণ সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকে তার আরও বেড়েছে।
তবে এবারের বোমার চালান বন্ধের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কথা না মানার স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে গাজায় আগ্রাসন নিয়ে যে মতবিরোধ চলছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, তা এবার পরিষ্কার আলোর মুখ দেখল।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন গাজার নারীরা: ইউএনআরডব্লিউএ
হোয়াইট হাউসের বিরোধিতা সত্ত্বেও এপ্রিল মাসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সামরিক সহায়তা দেওয়া ও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন বাইডেন।
ওই কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহেই ইসরায়েলকে বিস্ফোরক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াশিংটন। তবে পরবর্তীতে তা পাঠানো হবে কি না বা আদৌ পাঠানো হবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনার বেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল বলে সোমবার জানা যায়। এরপর মঙ্গলবারই হঠাৎ করে রাফাহতে আগ্রাসনের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। তাদের এ ঘোষণার ফলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ও ফিলিস্তিনের মানুষের দুর্ভোগ আরও দীর্ঘায়িত হতে চলেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।