অক্সিজেন রপ্তানিকারী দেশ ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সংকট ইতোমধ্যে চরমে পৌঁছেছে। অক্সিজেনের স্বল্পতা হাসপাতালগুলোতে দিন-দিন মহা সংকটে রূপ নিচ্ছে।
গত ১০ দিনে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে দিল্লির ৩টি হাসপাতালে মোট ৬২ জন করোনা রোগী মারা যায়। কিন্তু এবার দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকের একটি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন শেষ হয়ে যাবার কারণে ২৪ জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
প্রাদেশিক রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরের চামারাজানগর জেলার সদর হাসপাতালে অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোভিড: ভারতে সাড়ে ৩ লাখের অধিক নতুন শনাক্ত, মৃত্যু ৩,৪১৭
কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর এই ঘটনাকে দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু সকল মৃত্যুই অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে হয়েছে এমনটা স্বীকার করতে নারাজ তিনি। ঘটানাস্থান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান এই মন্ত্রী।
তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে দেরি করেননি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রধান রাহুল গান্ধী। তিনি টুইটারে কেন্দ্রীয় সরকারের চরম সমালোচনা করে বলেন, “আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। হাসপাতালের নিহতরা কি মারা গেছেন, নাকি তাদের হত্যা করা হয়েছে? আর কত কষ্ট সহ্য করার পর শাসনতন্ত্র জেগে উঠবে?”
আরও পড়ুন: করোনা: ভারতে প্রায় ৪ লাখ নতুন শনাক্ত, মৃত্যু ৩৬৮৯
ভারতের হাসপাতালগুলোর অক্সিজেন সংকটের তীব্রতা প্রকাশ্যে আসে গত ১০ দিনে দিল্লির তিনটি হাসপাতালে ৬২ জনের মৃত্যুর পর।
শনিবার (১ মে) সকালে দিল্লির অন্যতম আধুনিক বাতরা হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের কারণে মারা যায় ১২ জন রোগী।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মাত্র ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট হাসপাতালটিতে অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় ১২ জন করোনা রোগী প্রাণ হারায়। মৃতদের অধিকাংশই লাইফ সাপোর্ট ছিলেন।
এছাড়া শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের কারণে ২৫ জন রোগী প্রাণ হারায়। অপরদিকে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির স্বনামধন্য স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে মারা যায় আরও ২৫ জন।
আরও পড়ুন: ভারতে করোনায় একদিনে রেকর্ড মৃত্যু ও শনাক্ত
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের সরকারি জাকির হোসেন হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ লাইনের লিকেজের কারণে ২৪ জন রোগী মারা যায়।